আলহাজ্ব এ বি এম মহিউদ্দিন চৌধুরী শুধু একজন রাজনীতিবিদ নয়।
আর্তমানবতার সেবাই চট্টলবীর আলহাজ্ব এ বি এম মহিউদ্দিন চৌধুরী।
মানুষ মানুষের জন্য,এই চিরন্তন সত্য বানীটি বুকে ধারন করে ,জাতির জনক বংগবন্ধুর আদর্শে দীক্ষিত হয়ে জীবন বাজী রেখে,মানুষের আপদে বিপদে. ঘুর্ণিঝড় ,মহামারী. জলোচ্ছাসে, যে মানুষটি বার বার এগিয়ে আসেন বীরের বেশে আর্তমানবতার সেবাই,তিনি আর কেউ নন, তিনি হচ্ছেন চট্টলবীর চট্টলাবাসীর সুখ দুঃখের সাথী,জীবন্ত কিংবদন্তী,চট্টলশার্দুল জননন্দিত নেতা আলহাজ্ব এ বি এম মহিউদ্দিন চৌধুরী, সেই ভয়াল ২৯শে এপ্রিল ১৯৯১ সালের প্রলয়ঙ্করী ঘুর্ণিঝড় ও জলোচ্ছ্বাসে পতেংগা হালিশহরসহ সারা চট্টগ্রামে হাজার হাজার বাড়ীঘর ধ্বংস হয়ে যায় ও পানির নিচে তলিয়ে যায়। হাজার হাজার মানুষ মৃত্যুবরণ করেন।
বাতাসে লাশের গন্ধ,লক্ষ লক্ষ মানুষের আজাহারিতে আকাশ ভারী উঠে ছিল,সারা চট্টগ্রামে মহামারির রূপ নিচ্ছে ঠিক তখনই দুঃখি মানুষের সাহায্যে ছুটে এসেছিলেন চট্টলবীর আলহাজ্ব এ বি এম মহিউদ্দিন চৌধুরী ,তাৎক্ষণিক নোঙ্গরখানা খুলে সেবার ব্রত নিয়ে নেমে পড়েন মাঠে হাজার.হাজার মুখে তুলেদেন খাবার।
অসহায় দুস্থ রোগীদের চিকিৎসা সেবা দেন অস্হায়ী হাসপাতাল খুলে তাদের ঔষধ থাকা ও খাওয়ার ব্যবস্থা করে, এবং হাজার হাজার মৃতব্যক্তির লাশের দাফন কাফনের ব্যবস্থা করেন ,হিন্দু হলে সৎকারের ব্যবস্থা করেন।
১৯৯১ সাল ২৯ এপ্রিলের পর চাকুরীর সুবাধে আমাকে প্রতিদিন যেতে হত পতেঙ্গায়,২৯ এপ্রিলের পর জননেতা আলহাজ্ব এ বি এম মহিউদ্দিন চৌধুরীকে পতেঙ্গায় আমি দেখেছি,নিজ হাতে লাশ উঠাতে জলোচ্ছাসের পর কারো লাশ চকির নীচে কারো লাশ ভেঙ্গে পড়া ঘরের চাপায়, কারো লাশ নালা নর্দমা বা পুকুরে ভাসছে অনেক লাশ কাদায় একাকার,কিন্তু চট্টল বীর কে দেখেছি ময়লা কাদা র্দুগন্ধ কোন কিছুর থোয়াক্কা না করে লাশ গুলি তুলতে কাদামাঠি আর লোনা পানিতে চট্টলবীর একাকার হয়ে নিজ হাতে লাস গুলি তুলে কাঁধে বহন করে মমতা মাখা হাতে অতি নিকট জনের মত যত্ন করে গোসল দিচ্ছেন,কাপন দাপনের ব্যবস্হা করছেন।
অতঃপর স্বজন হারানোদের শান্তনা দিচ্ছেন।যারা বেচেঁ আছেন তাদের খাওয়ার জন্য লঙ্গরখানা খুলেছেন, চিকিৎসার জন্য অস্হায়ী চিকিৎসা কেন্দ্র খুলেছেন,ঔষধ পত্র সহ হাজার হাজার স্যালাইন সরবরাহ করছেন। আলহাজ্ব এ বি এম মহিউদ্দিন চৌধুরীকে ১৯৯১ সাল ২৯ এপ্রিলের জলোচ্ছাসের পর যা করতে দেখেছি,তা নিজ চোখে না দেখলে কারো থেকে শুনলে রূপ কথার কাহিনী মনে হতো। অনুরূপ ভাবে বন্দরটিলায় যখন নৌবাহিনীর সাথে এলাকাবাসীর সংঘর্ষে গুলি বর্ষণে মানুষ মারা যাচ্ছিল, যখন তৎকালীন বিএনপি সরকারের মন্ত্রী এম পি রা কাপুরুষের মতো ভয়ে লেজ গুটিয়ে পালিয়ে গেল। হালিশহর পতেঙ্গার মানুষ যখন দিক হারা পতঙ্গের ন্যায় দিগ্বিদিক ছুটাছুটি করছিল একটু সাহায্যের আশায় একজন সাহসী দিগ্দর্শী নেতার খুজে, তখনই সিংহের মতো গর্জে উঠে বীর মহিউদ্দিন হালিশহর পতেঙ্গার অসহায় মানুষের সাহায্যে ঝাপিয়ে পড়লেন।
চট্টল শার্দুল মহিউদ্দিন চট্টগ্রাম ই পি জেড চত্বর থেকে পায়ে হেটে বা নৌ জা ইসা খাঁর দিকে রওয়ানা দিলেন, এলাকাবাসী চট্টলবীর আলহাজ্ব এ বি এম মহিউদ্দিন চৌধুরীকে বানৌজা ইসা খাঁ না যেতে বার বার নিষেধ করছেন,বিকল্প ভাবে যোগাযোগ করতে অনুরোধ করলেন,কারণ তখনও নৌবাহিনী বেপরোয়া গুলি বর্ষণ করছিলেন,না চট্টলবীরের সেদিকে কোন ভ্রক্ষেপ নেই চট্টল শার্দুল শুধু চিৎকার দিয়ে বলছিলেন আমি যাব ওরা যদি গুলি করে আগে আমি মহিউদ্দিনকে করবে।আমি মহিউদ্দিন মৃত্যুকে আলিঙ্গন করতে প্রস্তুত আমি চাই না আমার চট্টলার আর একটি সন্তান ও মৃত্যুর কোলে ঢেলে পড়ুক।জনতার বাধাঁ উপেক্ষা করে ঢুকে পড়লেন নৌ ঘাটিঁতে বীর মহিউদ্দিন।
সে দিন চট্টলবীরের সাহসী পদক্ষেপের কারণে নৌবাহিনীর সদস্যরা গুলি করা বন্ধ করতে বাধ্য হয়েছিল। চট্টলবীর আলহাজ্ব এ বি এম মহিউদ্দিনের এ রকম হাজারো উদাহরন আছে যাহা লিখে শেষ করা যাবে না,তাইতো মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জাতির জনকের কন্যা দেশরত্ন শেখ হাসিনা বলেছেন বীর মহিউদ্দিন একদিনে সৃষ্ট হয় নাই, অনেক লড়াই সংগ্রাম আন্দোলন ও ত্যাগের বিনিময়ে একজন জননন্দিত জননেতা বীর মহিউদ্দিনের সৃষ্টি হয়,এরা ক্ষনজন্মা শতশতবছরে একজন মহিউদ্দিনের জন্ম হয়, হে চট্টলবীর আপনার মতো একজন জীবন্ত কিংবদন্তী জননন্দিত জননেতার সার্নিধ্য পেয়ে চট্টলবাসী আজ গর্বিত।
চট্টল বীর গনমানুষের নেতা আলহাজ্ব এ বি এম মহিউদ্দিন চৌধুরী শুধু একজন রাজনীতিবিদ নয়। যেকোনো প্রয়োজনের মুহূর্তে অসহায় দুঃখি মানুষের পাশে থাকার এমন নজির অন্তত এ অঞ্চলে দ্বিতীয়টি নেই।মানুষ মানুষের জন্য ভূপেন হাজারিকার এ কালজয়ী গানের কলিটির বাস্তবে রূপদান করলেন,আর এক কালজয়ী জীবন্ত কিংবদন্তী মানব প্রেমীনেতা আলহাজ্ব এ বি এম মহিউদ্দিন চৌধুরী।
মোঃ আখতার উদ্দিন চৌধুরী
কোন মন্তব্য নেই
please do not enter any spam link in the comment box.