Header Ads



জননেতা এম এ মান্নান ছিলেন একজন মিষ্টভাষী,বিনয়ী ও নিরহংকারী রাজনীতিবিদ।

 

জননেতা এম এ মান্নান ছিলেন একজন মিষ্টভাষী,বিনয়ী ও নিরহংকারী রাজনীতিবিদ

জননেতা এম এ মান্নান আজীবন সাধারণ মানুষের রাজনীতি করেছেন।

এম এ মান্নান জন্ম ১৯৩৬বাংলাদেশের চট্টগ্রাম জেলার রাজনীতিবিদ, মুক্তিযুদ্ধের সংগঠক ও সাবেক মন্ত্রী যিনি চট্টগ্রাম-৯ ও চট্টগ্রাম-৭ আসনের সংসদ সদস্য ছিলেন।

এম এ মান্নান কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদ সদস্য, চট্টগ্রাম নগর আওয়ামী লীগের সভাপতি ও মুক্তিযুদ্ধের সংগঠক ছিলেন। তিনি ৬ দফা আন্দোলন, ভাষা আন্দোলন ও বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধে অংশগ্রহণসহ তৎকালীন সকল রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডে সক্রিয় ভূমিকা রাখেন।

 

১৯৭৩ সালের প্রথম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের প্রার্থী হিসেবে তিনি তৎকালীন চট্টগ্রাম-৭ আসন থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। ১২ জুন ১৯৯৬ সালের সপ্তম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের প্রার্থী হিসেবে চট্টগ্রাম-৯ আসন থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়ে ছিলেন।

 

এম এ মান্নান যে ত্যাগ-আদর্শ আর দেশপ্রেমের উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত রেখেছেন তা আমাদের সবার অনুসরণ করা উচিত। তিনি ছিলেন সৃজনশীল-আদর্শ-দেশপ্রেমিক রাজনৈতিক কর্মী তৈরির অন্যতম কারিগর। তিনি আজীবন জনকল্যাণমুখী রাজনীতির সাধনা করে গেছেন, কর্মীদের কাছে তিনি একজন শিক্ষক ছিলেন এবং কর্মীদের সঙ্গে বন্ধুর মতো আচরণ করতেন।

 

জননেতা এম এ মান্নান দামপাড়ার এক বনেদি এবং সম্পদশালী পরিবারে জন্মগ্রহণ। শুদ্ধ রাজনীতির বটবৃক্ষ জননেতা এম এ মান্নান। তিনি আজীবন গণমানুষের রাজনীতি করেছেন। রাজনীতি দুই ভাবে হয়- রাজনীতির প্রতি নিষ্ঠা এবং দায়বোধ থেকে অন্যটি গণ-মানুষকে সাথে নিয়ে। তিনি আজীবন সাধারণ মানুষের রাজনীতি করেছেন। গণমানুষের রাজনীতি করতে গিয়ে তিনি বহু কষ্ট, ত্যাগ শিকার করেছেন। জেল জুলুম নির্যাতন নিপীড়নের শিকার হয়েছেন। এক কথায় এম এ মান্নানের জীবন সংগ্রাম এর ইতিহাস বিসতৃতি-পরিধি, বিশাল ও ব্যাপক ।।

 

৭৩ সালে তিনি চট্টগ্রাম মহানগরের ডবলমুরিং সংসদীয় এলাকায় এমপি নির্বাচিত হন। ৭৫ পরবর্তী সময়ে জেল জুলুম নির্যাতন এবং নানা প্রলোভনকে উপেক্ষা করেও তিনি চট্টগ্রাম আওয়ামী লীগের হাল ধরে ছিলেন দৃঢ় হাতে। ৯৬ সালে তিনি চট্টগ্রামের কোতোয়ালী সংসদীয় আসন হতে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন এবং আওয়ামী লীগ সরকার গঠন করলে তিনি প্রথমে প্রতিমন্ত্রী ও পরে পূর্ণ মন্ত্রী হন। রাষ্ট্রনায়ক জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন আওয়ামী লীগ সরকারের শ্রমমন্ত্রী হিসেবে তিনি সুনামের সাথে দায়িত্ব পালন করেন।

 

জননেতা এম এ মান্নান একজন মিষ্টভাষী, বিনয়ী ও নিরহংকারী ব্যক্তি ছিলেন। বুদ্ধিমান ছিলেন, কম কথা বলতেন। অদ্ভুত এক সম্মোহনী ব্যক্তিত্বের অধিকারী ছিলেন তিনি। দলমত নির্বিশেষে চট্টগ্রাম গণমানুষের কাছে তিনি ছিলেন পরম শ্রদ্ধেয় রাজনীতিবিদ। নেতা-কর্মীদের কাছে তার একটা আলাদা ভাবমূর্তি গড়ে ওঠেছিল। ৭১ এর মুক্তিযুদ্ধে এম এ মান্নান  এর ব্যাপক অবদান রয়েছে। বিশেষ করে ছাত্রলীগের মাধ্যমে ৬০ দশকে নিউক্লিয়াস যখন গঠিত হয় তাতেও তিনি অন্যতম ব্যক্তি ছিলেন। শহীদ শেখ ফজলুল হক মনি, সিরাজুল আলম খান ও  জননেতা আবদুর রাজ্জাক এর সাথে এম এ মান্নান  এর ঘনিষ্ঠ যোগাযোগ ও সম্পর্ক ছিলো এবং এম এ মান্নান  কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সাথে সম্পৃক্ত থাকার সময় হতে এ ঘনিষ্ঠতা সৃষ্টি হয়। নিউক্লিয়াস, বি এল এফ বা মুজিব বাহিনী গঠনে তার ব্যাপক ভূমিকা ছিল। 


তিনি বি এল এফের উপ প্রধান এবং পাশাপাশি বৃহত্তর চট্টগ্রাম ও পার্বত্য চট্টগ্রাম অর্থাৎ পূর্বাঞ্চলীয় জোনের প্রধান ছিলেন। বি এল এফ এর সেকেন্ড ইন কমান্ড ছিলেন তিনি। মহান মুক্তিযুদ্ধে চট্টগ্রামের ভূমিকা ছিল ব্যাপক। মুক্তিযুদ্ধের শুরুর দিকে যে কজন নেতা চট্টগ্রামে মুক্তিযোদ্ধাদের সংগঠিত করে মুক্তিযুদ্ধকে এগিয়ে নেয়ার দায়িত্ব পালন করেছিলেন তারা হলেন, বাঙালি জাতির জনক বঙ্গবন্ধুর ঘনিষ্ঠ সহকর্মী জননেতা জহুর আহমদ চৌধুরী, এম আর সিদ্দিকী, এম এ হান্নান, এম এ মান্নান,আলহাজ্ব এ বি এম মহিউদ্দিন চৌধুরী,মোসলেম উদ্দিন আহাম্মেদ,অধ্যাপক মোহাম্মদ খালেদ, অধ্যাপক নুরুল ইসলাম চৌধুরী, আবদুল্লাহ আল হারুন, আবদুল ওহাব, জননেতা আখতারুজ্জামান চৌধুরী বাবু, জননেতা ইঞ্জি: মোশারফ হোসেন, ডা. জাফর প্রমুখ।


বাঙালির মুক্তিসনদ ৬ দফার কারণে এদেশে স্বাধীকার স্বাধীনতা আন্দোলন সৃষ্টি হয়। এ ৬ দফা প্রচারে চট্টগ্রাম সিটি আওয়ামী লীগের ব্যাপক ভূমিকা ছিল। উল্লেখ্য যে, চট্টগ্রামের লালদীঘি মাঠের জনসভায় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব জাতির সামনে প্রথম ৬ দফা ঘোষণা করেন।

 

একজন আদর্শ রাজনীতিবিদের প্রতিকৃতি জননেতা এম এ মান্নান। আওয়ামী রাজনীতির চিরবিশ্বস্ত গণমানুষের অধিকার আদায়ের লড়াকু সৈনিক ছিলেন তিনি। গণতন্ত্রের প্রতি শ্রদ্ধা, সমাজতন্ত্রে আস্থা, ধর্মনিরপেক্ষতায় বিশ্বাসী এবং বাঙালি জাতীয়তাবাদের ধারক ছিলেন এম এ মান্নান।

মৃত্যু

এ মহান রাজনীতিবিদ ২০০৯ সালের ২১ সেপ্টেম্বর মত্যৃ বরণ করেন- আল্লাহ তাঁকে জান্নাতবাসী করুন।

কোন মন্তব্য নেই

please do not enter any spam link in the comment box.

merrymoonmary থেকে নেওয়া থিমের ছবিগুলি. Blogger দ্বারা পরিচালিত.