পুনর্বাসন ছাড়া উচ্ছেদ,চলে যাচ্ছেন বাসিন্দারা ফেলে যাচ্ছেন চোখের জল,হেরে গেল মানবতা।
বিভিন্ন আইনি জটিলতার ফাঁকে লালদিয়ার চরের ওই ভূমি চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের অনুকূলে বিএস জরিপে লিপিবদ্ধ করা হয়।
১৯৭২ সালে বিমান বাহিনীর জহুরুল হক বিমান ঘাঁটি সম্প্রসারণের কাজের কারণে ঘাঁটি সংলগ্ন এলাকার বাসিন্দারা নিজেদের ভিটেমাটি ছেড়ে লালদিয়ার চরে বসতি স্থাপন করেন।
তাদের নিস্কণ্টক জায়গার পরিবর্তে ৪০০ পরিবারকে জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে লালদিয়ার চরে জায়গা দিয়েছিল জাতির জনক ১৯৭২ সালে। বর্তমানে চট্টগ্রামস্হ পতেঙ্গা লালদিয়ার চরে ২৩শ পরিবারে ১৪ হাজারের মতো বাসিন্দা রয়েছে।
১৯৭৫ সালের পর বিভিন্ন আইনি জটিলতার ফাঁকে লালদিয়ার চরের ওই ভূমি চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের অনুকূলে বিএস জরিপে লিপিবদ্ধ করা হয়। এর পর থেকে লালদিয়ার চরের বাসিন্দাদের বেআইনিভাবে বসবাসকারী হিসেবে চিহ্নিত করা হচ্ছে,নদী রক্ষার কথা বলে ৪৯ বছর পর তাদের উচ্ছেদ করা হলো।
আজ তাদের মাথা গোঁজার ঠাঁই নেই। রান্না করার মতো খাবার নেই। অথচ এখানে প্রাথমিক বিদ্যালয়, তিনটি মসজিদ, দুটি কিন্ডারগার্টেনসহ বেশ কিছু প্রতিষ্ঠান রয়েছে।
এ সময় দীর্ঘদিনের আবাসস্থল ছেড়ে যাওয়া নারী ও শিশুদের কান্নাকাটি, আহাজারিতে হৃদয়বিদারক দৃশ্য দেখা গেছে। বন্দরের অনড় অবস্থানের কারণে অর্ধশত বছরের পুরোনো আবাসস্থল লালদিয়ার চর ছেড়ে গেলেও বাসিন্দারা এই চরে ফেলে যাচ্ছেন চোখেরর জল। যে অশ্রু প্রতিবেশীর কাছ থেকে বিচ্ছিন্ন হওয়ার, চিরচেনা পরিবেশ থেকে দূরে সরে যাওয়ার কষ্টের। এখানকার বাসিন্দারা উচ্ছেদের আগে পুনর্বাসনের দাবি জানিয়ে এলেও তাদের সেই দাবিও মিলিয়ে গেছে হাওয়ায়। অজানা গন্তব্যের উদ্দেশে লালদিয়ার চর ছেড়েছেন এখানকার প্রায় ১৪ হাজার বাসিন্দা।
কোন মন্তব্য নেই
please do not enter any spam link in the comment box.