Header Ads



চট্টগ্রাম বধ্যভূমি সমূহ

চট্টগ্রাম বধ্যভূমি সমূহ

মুক্তিযুদ্ধ চলাকালীন চট্টগ্রাম নগরীর অন্যতম এই বধ্যভূমিতে ১০ হাজারের বেশি বাঙালিকে হত্যা করা হয়।

বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় পাক হানাদার বাহিনী ও তাদের দোসর রাজাকার, আল-বদর, আল-শামস্‌ সাধারণ নাগরিক, মুক্তিযোদ্ধা, বুদ্ধিজীবী, সরকারি - বেসরকারি চাকুরীজীবী ও সশস্ত্র বাহিনীর সদস্যদের ধরে নিয়ে হত্যার জন্য কিছু নির্দিষ্ট স্থানকে ব্যবহার করতো যেগুলো পরবর্তীতে বধ্যভূমি হিসেবে পরিচিতি লাভ করে।


চট্টগ্রাম বধ্যভূমি

দক্ষিণ বাকলিয়া মোজাহের উলুম মাদ্রাসা বধ্যভূমি: বাকলিয়া, চট্টগ্রাম

চাক্তাই খালপাড় বধ্যভূমি: বাকলিয়া, চট্টগ্রাম

শুলকবহর হামদু মিয়া সড়কের দক্ষিণ পশ্চিম কর্নার বধ্যভূমি: শুলকবহর, পাঁচলাইশ, চট্টগ্রাম

চামড়ার গুদাম চাক্তাই খাল পাড় বধ্যভূমি: সুজা কাঠগড়, বাকলিয়া, চট্টগ্রাম

লালখান বাজার গাছের নীচ বধ্যভূমি: লালখান বাজার

তুলশী ধাম সেবায়েত মন্দির বধ্যভূমি: আন্দরকিল্লা, চট্টগ্রাম

হাইওয়ে প্লাজা ভবন বধ্যভূমি: ইষ্পাহানী মোড়, লালখান বাজার, চট্টগ্রাম

জেনারেল হাসপাতালের লাশ মর্গের বধ্যভূমি: জেনারেল হাসপাতাল, আন্দরকিল্লা, চট্টগ্রাম

বাটালী পাহাড়ের রেলওয়ে বাংলো বধ্যভূমি: লালখান বাজার, চট্টগ্রাম

পাঁচলাইশ সড়কে আল বদর বাহিনী ক্যাম্প বধ্যভূমি: পাঁচলাইশ, চট্টগ্রাম

লালখান পাহাড় বধ্যভূমি: লালখান বাজার, চট্টগ্রাম

চট্টগ্রাম জেনারেল পোষ্ট অফিস বধ্যভূমি: আন্দরকিল্লা, চট্টগ্রাম

সার্সন রোডে পাহাড়ের উপরে বাংলো বধ্যভূমি: জয়পাহাড়, চট্টগ্রাম

সি.আর.বি নির্যাতন কেন্দ্র বধ্যভূমি: রেলওয়ে এলাকা, লালখান বাজার, চট্টগ্রাম

হোটেল টাওয়ার বধ্যভূমি: , জামালখান, রহমতগঞ্জ, চট্টগ্রাম

চন্দনপুরা রাজাকার ক্যাম্প বধ্যভূমি: চন্দনপুরা, চট্টগ্রাম

হোটেল দেওয়ান বধ্যভূমি: দেওয়ান হাট মোড়, লালখান বাজার, চট্টগ্রাম

চট্টগ্রাম ষ্টেডিয়ামের পার্শ্বের সেনাক্যাম্প বধ্যভূমি: আলমশাহ, কাঠগড়, চট্টগ্রাম

সার্কিট হাউজ বধ্যভূমি: আলমশাহ, কাঠগড়, চট্টগ্রাম

গুডসহিল বধ্যভূমি: রহমতগঞ্জ, চট্টগ্রাম

মহামায়া ডালিম ভবন বধ্যভূমি: টিএন্ডটি ভবনের সামনে, আন্দরকিল্লা, চট্টগ্রাম

আগ্রাবাদ বিদ্যুৎ সাব ষ্টেশন বধ্যভূমি: আগ্রাবাদ, গোসাইলডাঙ্গা, চট্টগ্রাম

জাম্বুরীমাঠ সেনা ক্যাম্প বধ্যভূমি: গোসাইলডাঙ্গা, চট্টগ্রাম

নৌবাহিনী ক্লাব বধ্যভূমি: গোসাইলডাঙ্গা, চট্টগ্রাম

১নং জেটি গেইট বুকিং অফিস বধ্যভূমি: -বন্দর, গোসাইলডাঙ্গা, , চট্টগ্রাম

বন্দর আর্মি ক্যাম্প বধ্যভূমি: বন্দর থানার পার্শ্বে, নলসা, চট্টগ্রাম

পাকিস্তান বাজার ক্যাম্প বধ্যভূমি: গোসাইলডাঙ্গা, চট্টগ্রাম

১নং জেটি থেকে ১৫নং জেটি বধ্যভূমি: চট্টগ্রাম বন্দর, গোসাইলডাঙ্গ, চট্টগ্রাম

লবন ঘাটা বধ্যভূমি: সদরঘাট-মাঝিরঘাট মাঝামাঝি, মাদারবাড়ী, চট্টগ্রাম

সদরঘাট রাজাকার ক্যাম্প বধ্যভূমি: সদরঘাট, মাদারবাড়ী, চট্টগ্রাম

ঝাউতলা বিহারী কলোনী বধ্যভূমি: ঝাউতলা রেলওয়ে কলোনী, দক্ষিণ পাহাড়তলী, চট্টগ্রাম

নেভাল অফিস বধ্যভূমি: টাইগারপাস, দক্ষিণ পাহাড়তলী, চট্টগ্রাম

পুলিশ মাঠ বধ্যভূমি: দামপাড়া, দক্ষিণ পাহাড়তলী, চট্টগ্রাম

চট্টগ্রাম পুলিশ লাইন এর পুরাতন গেইট গণ কবর বধ্যভূমি: দক্ষিণ পাহাড়তলী, চট্টগ্রাম

পাহাড়তলী হাজী ক্যাম্প বধ্যভূমি: দক্ষিণ পাহাড়তলী, চট্টগ্রাম

ঈদগাঁ রেডিও ষ্টোর আর্মি ক্যাম্প বধ্যভূমি: দক্ষিণ পাহাড়তলী, চট্টগ্রাম

রেলওয়ে ওয়ার্কশপ বধ্যভূমি: আম বাগান, দক্ষিণ পাহাড়তলী, চট্টগ্রাম

সিভিল গোডাউন বধ্যভূমি: দেওয়ানহাট, দক্ষিণ পাহাড়তলী, চট্টগ্রাম

হযরত গরীব উল্লাহ শাহ মাজারের পিছন বধ্যভূমি: দক্ষিণ পাহাড়তলী, চট্টগ্রাম

আমবাগান স্কুলের সামনে বধ্যভূমি: দক্ষিণ পাহাড়তলী, চট্টগ্রাম

হালিশহর বিহারী কলোনী বধ্যভূমি: হাউজিং এষ্টেট, উত্তর হালিশহর, চট্টগ্রাম

বিডিআর ক্যাম্প বধ্যভূমি: উত্তর হালিশহর, চট্টগ্রাম

সী-ম্যান্স হোস্টেল বধ্যভূমি: দক্ষিণ হালিশহর, চট্টগ্রাম

এয়ারপোর্ট সেনা ক্যাম্প বধ্যভূমি: বিমানবন্দর, পূর্ব পতেঙ্গা, চট্টগ্রাম

জেলে পাড়া বধ্যভূমি: উত্তর্র পতেঙ্গা, চট্টগ্রাম

নৌবাহিনী সদর দপ্তর বধ্যভূমি: পতেঙ্গা, দক্ষিণ হালিশহর, চট্টগ্রাম

ডক ইয়ার্ড ক্যাম্প বধ্যভূমি: দক্ষিণ হালিশহর, চট্টগ্রাম

বিমান বন্দরের সর্ব দক্ষিণ পার্শ্ব বধ্যভূমি: দক্ষিণ পতেঙ্গা, চট্টগ্রাম

পদ্মা অয়েল কোং লিঃ-এর ভিতর বধ্যভূমি: উত্তর পতেঙ্গা, চট্টগ্রাম

কাস্টম একাডেমীর পার্শ্বে - চট্টগ্রাম বিভাগীয় ষ্টেডিয়াম সংলগ্ন বধ্যভূমি: দক্ষিণ কাট্টলী, চট্টগ্রাম

বাংলাদেশ বেতার কেন্দ্রীয় ভান্ডারের সম্মুখে বধ্যভূমি: পশ্চিম নাসিরাবাদ, চট্টগ্রাম

পূর্ব পাহাড়তলী বধ্যভূমি: পূর্ব পাহাড়তলী, চট্টগ্রাম

পশ্চিম রামপুর বধ্যভূমি: পশ্চিম রামপুরা, চট্টগ্রাম

পূর্ব নাসিরাবাদ বধ্যভূমি: পূর্ব নাসিরাবাদ, চট্টগ্রাম

চক্ষু হাসপাতালের সামনে বধ্যভূমি: পাহাড়তলী, চট্টগ্রাম

ডাঃ মাজহার উচ্চ বিদ্যালয়ো পিছন বধ্যভূমি: শেরশাহ হাউজিং এষ্টেট, চাঁনমারী, পশ্চিম ষোলশহর, চট্টগ্রাম

এ্যাপোলো ফার্মেসির পিছন বধ্যভূমি: মেডিকেল কলেজের সামনে, মুরাদপুর, চট্টগ্রাম

পবর্তক সংঘের পাহাড় বধ্যভূমি: মুরাদপুর, চট্টগ্রাম

কালূরঘাট বেতার কেন্দ্র বধ্যভূমি: চান্দগাঁও, চট্টগ্রাম

নাথ পাড়া / আবদু পাড়া বধ্যভূমি: দক্ষিণ কাট্টলী, চট্টগ্রাম

সিটি গেইট বধ্যভূমি: ঢাকা ট্রাঙ্ক রোডের পূর্ব পার্শ্ব, উত্তর পাহাড়তলী, চট্টগ্রাম


চট্টগ্রাম নগরীর ৬১ বধ্যভূমির ৫৮টিতেই নেই কোনও স্মৃতিচিহ্ন!

চট্টগ্রামের পাহাড়তলী ওয়ারলেস কলোনির মোড়ে টিএনটি অফিসে ছিল ২০ বেলুচ রেজিমেন্টের ক্যাম্প। এর কয়েক গজ দূরে ছিল জল্লাদখানা। এই জল্লাদখানা বর্তমানে পূর্ব পাহাড়তলী বধ্যভূমি হিসেবে পরিচিত। মুক্তিযুদ্ধ চলাকালীন চট্টগ্রাম নগরীর অন্যতম এই বধ্যভূমিতে ১০ হাজারের বেশি বাঙালিকে হত্যা করা হয় বলে দাবি করেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক অধ্যাপক মুক্তিযোদ্ধা ড. গাজী সালেহ উদ্দিন।



মুক্তিযুদ্ধ চলাকালীন এপ্রিল থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত বিভিন্ন সময়ে দোহাজারী নাজির হাট ট্রেন হতে নামিয়ে বাঙালিদের এই জল্লাদখানায় এনে হত্যা করা হতো। বধ্যভূমির পেছনে পাহাড়ের ওপর নজির আহমেদ চৌধুরীর একটি সাদা বাংলো ছিল, যেখানে মেয়েদের ধরে এনে ধর্ষণের পর হত্যা করে জল্লাদখানায় হত্যা করা হতো। মুক্তিযুদ্ধ চলাকালীন এখানে ১০ হাজারের বেশি বাঙালিকে এভাবে ধরে এনে হত্যা করা হয়েছে। কিন্তু দুঃখের বিষয় হচ্ছে, মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতিবিজড়িত এই স্থানটি এখনও সংরক্ষণ করা হয়নি।’



শুধু পূর্ব পাহাড়তলী বধ্যভূমি নয়, সরকারি হিসাব অনুযায়ী চট্টগ্রাম নগরীতে মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতিবিজড়িত এ রকম ৬১টি বধ্যভূমি রয়েছে। যেগুলোর একটিও এখনও সংরক্ষণ করা হয়নি। অনেকগুলোতে কোনও স্মতিচিহ্নও নেই। খোঁজ নিয়ে দেখা গেছে, এই ৬১টি বধ্যভূমির ৫৮টিতেই স্মৃতি চিহ্ন নেই।


৬১টি বধ্যভূমির মধ্যে নগরীর পাহাড়তলীতে আছে ১৫টি, লালখান বাজারে ৬টি, হালিশহরে ৫টি, গোসাইলডাঙ্গায় ৫টি, আন্দরকিল্লায় ৪টি, বাকলিয়ায় ৩টি, রহমতগঞ্জে ২টি, কাট্টলীতে ২টি, পতেঙ্গায় ২টি, বন্দর এলাকায় ২টি, কাটগড়ে ২টি, মুরাদপুরে ২টি, নাসিরাবাদে ২টি, মাদারবাড়িতে ২টি, পাঁচলাইশে ২টি এবং চন্দনপুরা, জয়পাহাড়, চান্দগাঁও, ষোলশহর ও রামপুরায় একটি করে বধ্যভূমি রয়েছে। এসব বধ্যভূমির মধ্যে পূর্ব পাহাড়তলী বধ্যভূমি ও হালিশহর মধ্যম নাথপাড়া বধ্যভূমিতে স্মৃতিচিহ্ন আছে। চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের পেছনে আরেকটি বধ্যভূমিতে স্মৃতিচিহ্ন নির্মাণ করতে যাচ্ছে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন। এই নিয়ে চট্টগ্রাম নগরীর ৬১টি বধ্যভূমির মাত্র তিনটিতে স্মৃতিচিহ্ন নির্মিত হচ্ছে। বাকি ৫৮টি বধ্যভূমিতে এখনও কোনও স্মৃতি চিহ্ন নেই।



এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য কয়েকটি বধ্যভূমি হলো−মহামায়া ডালিম হোটেল বধ্যভূমি, গুডসহিল বধ্যভূমি, পশ্চিম পাহাড়তলী বধ্যভূমি, দক্ষিণ বাকলিয়া মোজাহের উলুম মাদরাসা বধ্যভূমি, চাক্তাই খালপাড় বধ্যভূমি, চামড়ার গুদাম চাক্তাই খাল পাড় বধ্যভূমি, তুলশি ধাম সেবায়েত মন্দির বধ্যভূমি, হাইওয়ে প্লাজা ভবন বধ্যভূমি, বাটালী পাহাড়ের রেলওয়ে বাংলো বধ্যভূমি, পাঁচলাইশ সড়কের আল বদর বাহিনী ক্যাম্প বধ্যভূমি, চট্টগ্রাম জেনারেল পোস্ট অফিস বধ্যভূমি, সিআরবি নির্যাতন কেন্দ্র বধ্যভূমি, চন্দনপুরা রাজাকার ক্যাম্প বধ্যভূমি, সার্কিট হাউজ বধ্যভূমি, বন্দর আর্মি ক্যাম্প বধ্যভূমি, রেলওয়ে ওয়ার্কশপ বধ্যভূমি, প্রবর্তক সংঘের পাহাড় বধ্যভূমি, সদরঘাট রাজাকার ক্যাম্প বধ্যভূমি ও ঝাউতলা বিহারী কলোনি বধ্যভূমি।

কোন মন্তব্য নেই

please do not enter any spam link in the comment box.

merrymoonmary থেকে নেওয়া থিমের ছবিগুলি. Blogger দ্বারা পরিচালিত.