ঐ মহিলা সন্তান সম্ভবা এবং তাঁর স্বামী তাকে ফেলে চলে গিয়েছে-মেজবাহ উদ্দিন মোর্শেদ।

 

ঐ মহিলাকে তাঁর চিকিৎসার জন্য হালিশহর আল-মানাহিল নার্চার হাসপাতালের সাথে কথা বলি যে খরচ আমি দিব আপনারা শুধু তিনি গেলে সঠিক চিকিৎসাটা দিবেন।

 

প্রায়ই শুক্রবার চট্টগ্রাম থাকলে পোর্ট কলোনী ১২নং সড়কস্হ জামে মসজিদে জুমার সালাত আদায় করে প্রাণের স্হান শেখ রাসেল স্মৃতি সংসদ কার্যালয় সম্মুখে বন্ধু ও ছোট ভাইদের সাথে নিয়ে কিছুক্ষন আড্ডায় মেতে উঠি।ঐ সময় ৩৭ নং মুনিরনগর ওয়ার্ড ও অন্যান্য স্হান হতে বিভিন্ন মানুষ তাঁদের অসহায়ত্বের জন্য সহযোগিতার প্রত্যাশায় আসেন যাঁদের অধিকাংশই আমি চিনিনা বা জানিনা।

 

বিগত বছরের আগষ্টের মাঝামাঝি কোন এক শুক্রবার জুমার সালাত আদায়ের পর নগরীর কাট্টলী হতে অজানা এক মহিলা আসেন সাহায্যের জন্য।ঐ মহিলা সন্তান সম্ভবা এবং তাঁর স্বামী তাকে ফেলে চলে গিয়েছে অন্যত্র।

 

তখন ঐ মহিলাকে তাঁর চিকিৎসার জন্য হালিশহর আল-মানাহিল নার্চার হাসপাতালের সাথে কথা বলি যে খরচ আমি দিব আপনারা শুধু তিনি গেলে সঠিক চিকিৎসাটা দিবেন এবং তখন থেকে কয়েকদিন পর পর ঐ মহিলা আমাকে কল করে  হাসপাতালে ডাক্তারের চেকআপে থাকতো এবং ডাক্তারের খরচ আমি পাঠিয়ে দিতাম।

 

অনেক সময় নিজের জরুরী কাজের সময়েও মহিলা ফল খেতে হবে ঔষুধ কিনতে হবে এসবের জন্য ফোন করতো তখন বিরক্ত হলেও পরক্ষনে চিন্তা করতাম মানুষ তো মানুষের জন্যই তাই “বিকাশ বা নগদ”র মাধ্যমে টাকা পাঠিয়ে দিতাম।

এমনি করে ২য় রমজানের দিন তিনি ফোন করলে আমি তাকে পরেরদিন হাসপাতালে যেতে বলি এবং মহান স্বাধীনতা দিবসের দিন তিনি হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার ঘন্টাখানিক পরেই এক ফুটফুটে কন্যা সন্তানের জন্ম দেন।

 

হাসপাতালে তিনদিন থাকার পর আজ নিজের ব্যস্ততার কারনে যেতে না পেরে (যদিও মহিলা বারবার আমাকে অনুরোধ করেছিল তাঁর মেয়েটিকে দেখে যাওয়ার জন্য )আমার প্রিয় দুই রাজনৈতিক সহযোদ্ধা অনুজ Tanjib Ahsan Zibu ও Shanto Barua কে পাঠিয়ে হাসপাতালের সম্পূর্ণ বিল পরিশোধ করে এবং মহিলাকে ঔষধ-ফলমূল দিয়ে তাকে তাঁর গন্তব্যস্হানে পাঠিয়ে দিই।

মহান আল্লাহপাক মহিলা ও তাঁর সন্তানকে সুস্হ রাখুক।

মেজবাহ উদ্দিন মোর্শেদ এর facebook থেকে।

 

মানুষ মানুষের জন্য,জয় হোক মানবতার

মানুষের লক্ষ্য,ইচ্ছা ও সর্বোপরি একটি সুন্দর মননশীল দৃষ্টিভঙ্গিই পারে  অসহায়দের নিরাপদ আশ্রয়স্থল।

প্রিয় মেজবাহ উদ্দিন মোর্শেদেএর মত এভাবে যদি আমরা যারা আর্থিক ভাবে স্বচ্ছল সবাই একটু একটু করে এগিয়ে আসি তাহলে আর কোনো সমস্যা থাকবে না। অসহায়দের আর বাঁচার জন্য আকুতি করতে হবে না।

মোঃ আখতার উদ্দিন চৌধুরী