মহান সাহাবী(রাঃ)এর মাজার জিয়ারত করে প্রশান্তি লাভ - হাসান মনসুর।
আমাদের দেশে-অনেক বিরূপ মিথ্যা প্রচারণা আছে,যা ওয়াহাবি,মউদুদিবাদি আর দেশের কিছু কাঠ মোল্লারা খুব আনন্দের সাথে প্রচার করে।
ওমানের প্রথম মুসলিম হযরত মাযিন বিন
গাদুবা (রাঃ) , তিনি পায়ে হেঁটে সামান্য খেজুর নিয়ে
হযরত মোহাম্মদ (সঃ) এর সাথে দেখা করতে গিয়েছিলেন। তিনি ছিলেন পৌত্তলিক। মহানবী করিম
(সাঃ) তাকে ইসলাম ধর্মে দীক্ষিত করে- পুনরায় ওমানের সুমাইল এলাকায় ফেরত পাঠান , ইসলাম প্রচারের জন্য। মুলত ওমান ছিল বৌদ্ধ ধর্মের অনুসারীদের
দেশ। আরবদেশ সমুহ সম্পর্কে আমাদের দেশে - অনেক বিরূপ মিথ্যা প্রচারণা আছে,যা ওয়াহাবি,মউদুদিবাদি আর দেশের কিছু কাঠ মোল্লারা
খুব আনন্দের সাথে প্রচার করে।
ধর্মীয় শিক্ষায় শিক্ষিত না হয়েও এরা এক একজন মহা
ইসলামী পণ্ডিত - ইসলামী কোন দিবস এলেই এরা বিধাত বা শিরক ,দলিলে নেই এসব বলে- ধর্মীয় উৎসব পালনে বাঁধা দেয়। স্ত্রী ,ছেলেকে নিয়ে ওমানের রাজধানী মাস্কাটের সমুদ্র তীরবর্তী একটি
এলাকায় অবকাশ যাপনে গিয়েছিলাম ।১৪ দিন হোমকোয়ারেনটাইন।এরপর ঘর থেকে বের হয়েই দেখলাম
- করোনা নিয়ন্ত্রনে চলছিল কঠোর বিধিনিষেধ আর নজরদারি - তারপরও আমরা বিকেল হলে ডাবল
মাস্ক পরে , হাঁটতে বের হতাম -- বাসার ১ কিমি দুরেই
আরব সাগর - তার পাশেই এশিয়ানদের জমজমাট বাজার।
সেখান থেকেই খাওয়ার কিনতে হতো -
বাঙ্গালী অধ্যুষিত বিধায় অনেকে চিনে
ফেলে । একদিন এক পরিচিত বাঙ্গালী ভদ্রলোক বললেন , একদিন আপনাদের বেড়াতে নিয়ে যাবো- এখানে
কাছেই একজন সাহাবী (রাঃ) মাজার আছে। আমার ধারনা ছিল আরব দেশে কোন মাজার বা এ জাতীয়
কিছুর অস্তিত্ব নেই - পরে নিজের চোখে দেখলাম শব- ই বরাত , মেহরাজ , কদর সব আছে। এই বিতর্কে
যাবো না,
ধর্ম সমন্ধে আমার শিক্ষা খুব কম। আরব দেশে আমি যা দেখলাম - যার
ইচ্ছা সে পালন করছে এসব মেরাজ, বরাত বা মাজার জিয়ারত
,
কেউ কাউকে বলছে না - তুমি এটা করছ কেন?? ওমানের প্রথম মুসলিম হযরত
মাযিন বিন গাদুবা (রাঃ) সামাইলে জন্মগ্রহণ করেন এবং তিনি ৬ষ্ঠ হিজরীতে মুসলিম
হন। তার ইসলামের কাহিনী ওমানে বিখ্যাত।
হযরত মাযিন বিন গাদুবা (রাঃ) এর মা খুব অসুস্থ ছিলেন
। সেই সময়, তিনি তার দেবতাকে উৎসর্গ করে বললেন - তার মাকে সুস্থ করতে। হযরত মাযিন
বিন গাদুবা (রাঃ) যখন নিজ বাড়িতে ফিরে আসেন, তখন তিনি দেখতে পান যে তাঁর মা মারা গেছেন। তিনি এতে রাগান্বিত হন এবং দেবতার মূর্তি
ভেঙ্গে ফেলেন। হযরত মাযিন বিন গাদুবা (রাঃ) মদীনায় হযরত মুহাম্মাদ (সাঃ) বলে একজন
আছেন শুনে - তিনি সেখানে পায়ে হেঁটে রওনা দেন তার সাক্ষাৎ লাভে । তিনি সেখানে অবস্থান
করতে চাইলেও রাসুল (সাঃ ) তাকে ওমানে ফিরে গিয়ে ইসলাম প্রচারে নির্দেশ দেন। ওমান সরকার
খুব সম্মানের সাথে তার মাজার সংলগ্ন এলাকাটি সংরক্ষণ করছেন , দারুন ছিমছাম - নির্জন এলাকা , মানুষ জনের আনাগোনা নাই। এই মহা সাহাবীর মাজার জিয়ারত করে প্রশান্তি
লাভ ।
হাসান মনসুর - সাঃ সম্পাদক (সাবেক) কোতোয়ালী থানা আওয়ামী লীগ-চট্টগ্রাম মহানগর।
কোন মন্তব্য নেই
please do not enter any spam link in the comment box.