Header Ads



চেতনা এবং দর্শন সংকটময় রাজনীতিতে অর্থ আর বাহুবলের ভরে ন্যূজ্ব হয়ে পড়ছে-তারেক হোসাইন।

 

চেতনা এবং দর্শন সংকটময় রাজনীতিতে

এক সময়ে আমাদের দেশে রাজনীতি করত সত্যিকারের রাজনীতিবিদরা। অতীতে রাজনীতিতে যারা ভূমিকা রেখেছে তারা ছিল জ্ঞানী,গুণী,সুশিক্ষিত এবং সুশীল।

 

চেতনা এবং দর্শন সংকটময় রাজনীতিতে অর্থ আর বাহুবলের ভরে ন্যূজ্ব হয়ে পড়ছে যোগ্য ও মেধাবী নেতৃত্ব.....

বর্তমান রাজনীতিতে অর্থ আর বাহুবল থাকলেই হয়। অর্থ আর বাহুবল থাকলে তাদেরকে স্বাগত জানিয়ে ফুলের মালা পরিয়ে সানন্দে গ্রহণ করে নেয়। কোনো কিছু বিচার বিবেচনা না করে অর্থের সুভাষিত ঘ্রানে দলে তাদের পদ পদবি দিয়ে নেতা বানিয়ে দেয়া হয় । জ্ঞানী,গুণী আর যোগ্যতার মাপকাঠিতে এগিয়ে থাকা ব্যক্তিদের বর্তমান রাজনীতিতে জায়গা নেই। সব দিক থেকে এগিয়ে থাকা সত্ত্বেও অর্থ ও বাহুবলের ঘাটতি থাকায় রাজনৈতিক চেতনা ও দর্শনে বিশ্বাসীরা আজ রাজনীতিতে মূল্যায়িত হচ্ছে না।

 

এক সময়ে আমাদের দেশে রাজনীতি করত সত্যিকারের রাজনীতিবিদরা। অতীতে রাজনীতিতে যারা ভূমিকা রেখেছে তারা ছিল জ্ঞানী,গুণী,সুশিক্ষিত এবং সুশীল। তারা দেশের মানুষের জন্য রাজনীতি করতো। তাই তখনকার রাজনীতি ছিল চেতনার। আর এখনকার রাজনীতি চলে গেছে অর্থলোভী,চাঁদাবাজ ও ধান্ধাবাজদের হাতে। রাজনীতিতে যাদের কোনো ভূমিকা অতীতেও ছিল না বর্তমানেও নেই। তারা মানব সেবার জন্য রাজনীতি করে না,রাজনৈতিক সাইনবোর্ড ব্যবহার করে নিজের আত্মস্বার্থকে পাকাপোক্ত করার জন্য রাজনীতি করে তারা। আত্মস্বার্থে তারা রাজনীতিকে কুক্ষিগত করে রাখে। বর্তমান সংসদের এখন ৬১ শতাংশ ব্যবসায়ী। কেন?এর কারণ কি? এর কারণ অন্য কিছু নয়।

 

এক মাত্র কারণ হলো বর্তমানে চেতনা আর আদর্শের রাজনীতির চর্চা হয় না। চর্চা হয় শুধু ব্যক্তিস্বার্থ,অর্থ আর বাহুবল সমৃদ্ধের। এই ধরণের ব্যক্তিদেরই বর্তমান রাজনীতিতে কদর বেশি। পরক্ষণে এমন ব্যক্তিরা রাজনৈতিক সমর্থন পাওয়া মানে প্রকাশ্যে অপরাধের জন্য ট্রেড লাইসেন্স পাওয়া একই কথা। অতীতের মতো সৎ-যোগ্য-নিষ্ঠাবান কিংবা ত্যাগী সংগঠক কি বর্তমান রাজনীতিতে নেই, যাদের হাত ধরে সুষ্ঠু ধারার রাজনীতি আবার ঘুরে দাঁড়াবে? হবে কলঙ্কমুক্ত? সচেতন নেতারা কি আজ বুঝে-শুনে চুপ থাকছেন ? নাকি ঐ অর্থলিপ্সু ব্যক্তিদের ভয় পাচ্ছেন? রাজনীতির দুর্দিনে আর কত দিন এভাবে চুপ থাকবেন? আমরা কি ভুলে গিয়েছি কীভাবে আমরা স্বাধীনতা পেয়েছি? পেয়েছি মায়ের মুখের ভাষা? তেমনি আবার কি জেগে উঠতে পারি না?

 

পরিশেষে দলের সিনিয়র নেতৃবৃন্দদের কাছে অনুরোধ এই সকল  দুধের মাছিদের কাছ থেকে স্বল্পমেয়াদি সুযোগ সুবিধার মোহমায়া ত্যাগ করে,শুধু টাকার আর বাহুবলের মাপকাঠিতে বিবেচনা না করে প্রকৃত রাজনীতি প্রেমী,জ্ঞানী,গুণী,সুশিক্ষিত এবং সুশীল ব্যক্তিদেরই দলের দুঃসময়ের কথা চিন্তা করে নেতৃত্ব স্থানে মূল্যায়ন করুন।

তারেক হোসাইন এর facebook থেকে।

কোন মন্তব্য নেই

please do not enter any spam link in the comment box.

merrymoonmary থেকে নেওয়া থিমের ছবিগুলি. Blogger দ্বারা পরিচালিত.