Header Ads



অ্যাডঃ জিনাত সোহানা চৌধুরী সম্পাদিত‘শেখ হাসিনা দিন বদলের নেত্রী’বইয়ের মোড়ক উন্মোচন।

 

অ্যাডঃ জিনাত সোহানা চৌধুরী

সুচিন্তা ফাউন্ডেশন এর চট্টগ্রাম বিভাগীয় সমন্বয়ক অ্যাডভোকেট জিনাত সোহানা চৌধুরী সম্পাদিত শেখ হাসিনা দিন বদলের নেত্রী বইয়ের মোড়ক উন্মোচন করা হয় চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবের বঙ্গবন্ধু মিলনায়তনে।

 

প্রিমিয়ার বিশ্ববিদ্যালয় চট্টগ্রামের উপাচার্য সমাজবিজ্ঞানী ড. অনুপম সেন বলেছেন, যিনি চরম প্রতিকূল পরিবেশেও শান্ত থাকতে পারেন, স্বপ্ন দেখতে পারেন, তা দেখাতেও পারেন তিনি বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা। ঠিক যেন বঙ্গবন্ধুর মতোই।

তিনি বলেন, তিনি নিরন্তর সমৃদ্ধ সোনার বাংলা গড়ার স্বপ্নে বিভোর। অনেক দূরে দেখতে পারেন। ২১০০ সালের ব-দ্বীপ পরিকল্পনা করেন। পঞ্চবার্ষিকী ও প্রেক্ষিত পরিকল্পনা করেন। একচল্লিশ সালে উন্নত বাংলাদেশের ছবি আঁকেন। অথচ আমরা জানি এ পথচলা কতটা চ্যালেঞ্জিং হতে পারে। তবুও তিনি নিকষ অন্ধকারে বসেও আলোর সন্ধান করেন। ঠিক যেমন করে বঙ্গবন্ধু অন্ধকার কারাগারে বসেও স্বাধীন বাংলাদেশের স্বপ্ন দেখতেন, ঠিক তেমনি আগামী দিনের সমৃদ্ধ বাংলাদেশের ছক কষেন তাঁর কন্যা।

 

মঙ্গলবার (৫ অক্টোবর) শেখ হাসিনা দিন বদলের নেত্রী বইয়ের মোড়ক উন্মোচন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

 

এদিন বিকেলে সুচিন্তা ফাউন্ডেশন এর চট্টগ্রাম বিভাগীয় সমন্বয়ক অ্যাডভোকেট জিনাত সোহানা চৌধুরী সম্পাদিত শেখ হাসিনা দিন বদলের নেত্রী বইয়ের মোড়ক উন্মোচন করা হয় চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবের বঙ্গবন্ধু মিলনায়তনে।

 

মুক্তিযুদ্ধের বিজয় মেলা পরিষদের চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা ইউনুচ চৌধুরীর সভাপতিত্বে মিলি চৌধুরীর সঞ্চালনায় এসময় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ড. অনুপম সেন।

 

প্রধান অতিথির বক্তব্যে ড. অনুপম সেন বলেন,শেখ হাসিনা দিন বদলের নেত্রী বইটি তরুণ প্রজন্মের জন্য একটা অনুপ্রেরণাদায়ক কাজ। জিনাত সোহানার মত সাহসী, প্রগতিশীল, মুক্তিযুদ্ধের স্বপক্ষের তারুন্যই পারে দিনবদলের কাফেলায় নেতৃত্ব দিতে। ইতোমধ্যে জিনাত সোহানা চৌধুরীর জঙ্গিবাদবিরোধী কর্মকাণ্ড, মাদ্রাসায় জাতীয় সঙ্গীত ও জয় বাংলা স্লোগান নিয়ে কাজ নিঃসন্দেহে একটা দুরহ কাজ ও প্রশংসনীয়।

 

বিশেষ অতিথির বক্তব্যে চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি অ্যাডভোকেট ইব্রাহিম হোসেন বাবুল বলেন, বাংলাদেশের বিভিন্ন সেক্টরের উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখার জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ১৯৯৭ সাল থেকে এ পর্যন্ত আন্তর্জাতিক পর্যায়ে ৩৭টির অধিক পুরস্কার ও পদক অর্জন করেছেন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ক্রাউন জুয়েল বা মুকুট মণি আখ্যায়িত করেছে আর্থ ইনস্টিটিউট, কলাম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়, গ্লোবাল মাস্টার্স অব ডেভেলপমেন্ট প্র্যাকটিস এবং ইউএন সাসটেইনেবল ডেভেলপমেন্ট সল্যুশনস নেটওয়ার্ক।

 

বিশেষ অতিথির বক্তব্যে নিরাপত্তা বিশ্লেষক মেজর (অব.) এমদাদ বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এখন ক্ষমতায় থাকা বিশ্বের সবচেয়ে দীর্ঘমেয়াদি নারীনেত্রী। ভারতের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধী, ব্রিটেনের মার্গারেট থ্যাচার, জার্মানির অ্যাঙ্গেলা মের্কেল এবং শ্রীলঙ্কার চন্দ্রিকা কুমারাতুঙ্গাকেও টপকে গেছেন শেখ হাসিনা। উইকিলিকসের সর্বশেষ গবেষণা মতে, শেখ হাসিনা বর্তমান বিশ্বের পুনরুত্থান করা সবচেয়ে আইকনিক নেত্রী।যার অনেক কিছুই শেখ হাসিনা দিন বদলের নেত্রী বইটিতে উল্লেখ করা হয়েছে।

 

বিশেষ অতিথির বক্তব্যে চট্টগ্রাম আইনজীবী সমিতির সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট এ এইচ এম জিয়া উদ্দীন বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা টানা তৃতীয় ও চতুর্থবারের মতো প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করছেন। ১৯৯৬ সালের ২৩ জুন শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় আসার পর ভারতের সঙ্গে ৩০ বছর মেয়াদী গঙ্গা নদীর পানি চুক্তি, পার্বত্য চট্টগ্রাম শান্তি চুক্তি, যমুনা নদীর উপর বঙ্গবন্ধু সেতু নির্মাণ এবং খাদ্য উৎপাদনে স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জন করে। তিনি কৃষকদের জন্য বিভিন্ন কল্যাণমূলক কর্মসূচি এবং ভূমিহীন-দুস্থ মানুষের জন্য সামাজিক নিরাপত্তামূলক কর্মসূচি চালু করেন।

 

এসময় অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন রাশিয়ার অনারারি কনসাল, নগর পরিকল্পনাবিদ আশিক ইমরান, এশিয়ান টেলিভিশন চট্টগ্রামের হেড অব নিউজ ওয়াহিদ জামান, চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবের সাবেক সাধারণ সম্পাদক কবি ও সাংবাদিক শুকলাল দাশ, চট্টগ্রাম মহানগর ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক নুরুল আজিম রনি।

 

সভাপতির বক্তব্যে মুক্তিযুদ্ধের বিজয় মেলা পরিষদের চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা ইউনুচ চৌধুরী বলেন, বিশ্বের বুকে বাংলাদেশ এখন শুধু উন্নয়নের রোল মডেলই নয়, একটি মানবিক রাষ্ট্র হিসেবেও প্রশংসিত। কথিত তলাবিহীন ঝুড়ির বাংলাদেশ আজ ১০ লাখ রোহিঙ্গাকে আশ্রয় দেয়ার পাশাপাশি খাদ্য,বস্ত্র-চিকিৎসার ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে। এছাড়াও নিজস্ব অর্থায়নে পদ্মা সেতু নির্মাণ কাজ প্রায় শেষের দিকে। রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র স্থাপন করেছে। দেশের প্রথম স্যাটেলাইট বঙ্গবন্ধু-১’ মহাকাশে উৎক্ষেপণ করা হয়েছে। মেট্রোরেল, এলিভেটেট এক্সপ্রেস সহ আরও অনেক বড় বড় প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে সরকার। দেশের আইটি খাতের নতুন সম্ভাবনা যশোরে শেখ হাসিনা সফটওয়্যার টেকনোলজি পার্ক’ করা হয়েছে।’

 

অনুষ্ঠানে ছাত্রনেতা মোহাম্মদ খোরশেদ, মিজানুর রহমান, নাঈমুর রহমান দূর্জয়, মাইমুন উদ্দিন মামুন, মোহাম্মদ তুহিন, নেছার আহমেদ, মৌলানা এহসানুল হকসহ অন্যান্য নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।

কোন মন্তব্য নেই

please do not enter any spam link in the comment box.

merrymoonmary থেকে নেওয়া থিমের ছবিগুলি. Blogger দ্বারা পরিচালিত.