Header Ads



আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম জরুরি সেবার আওতায় আনার অনুরোধ-খোরশেদ আলম সুজনের

 

আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম

দেশের আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রমকে জরুরি সেবার আওতায় আনার অনুরোধ জানিয়েছেন চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের সাবেক প্রশাসক এবং চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি আলহাজ্ব খোরশেদ আলম সুজন।

 

এসময় তিনি বলেন, হঠাৎ করেই পণ্য পরিবহনে ধর্মঘটের ফলে অচলাবস্থা শুরু হয় দেশের আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্যে। এতে করে উদ্বেগ সৃষ্টি হয় আমদানি-রপ্তানিকারক, শিপিং এজেন্ট, অফডক ডিপোসহ বন্দর ব্যবহারকারীদের মাঝে। পৃথিবীর কোন দেশে দাবী আদায়ে ধর্মঘটের নজির না থাকলেও বাংলাদেশে হরহামেশাই ধর্মঘট করে দাবী আদায় করা হয়। আজ দুপুরে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সাথে বৈঠক শেষে দুইদিন ধরে চলা ধর্মঘট প্রত্যাহার করায় পরিবহন সংশ্লিষ্ট মালিক শ্রমিকসহ স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর প্রতি ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন সুজন।

 

তবে দুইদিন ধরে চলা ধর্মঘটে দেশের যে কোটি কোটি টাকা ক্ষতি হয়েছে সে দায় কে বহন করবে সে প্রশ্ন রয়েই যায়। তিনি আরো বলেন ধর্মঘট আহ্বানকারীদের কোন যৌক্তিক দাবী থাকতে পারে তবে তার সমাধান হতে হবে অবশ্যই আলোচনার মাধ্যমে। সংশ্লিষ্ট সকল মন্ত্রণালয় কিংবা পক্ষকে অনুরোধ জানাবো যাতে আলোচনার মাধ্যমে সবসময় সংশ্লিষ্ট দাবীগুলো সমাধান করা হয়।

 

তিনি বলেন, করোনাকালীন সময়ে অনেক অর্থনৈতিক সমৃদ্ধশালী দেশের অর্থনীতি ভঙ্গুর হয়ে পড়েছে। কিন্তু বাংলাদেশের সকল শ্রেণী পেশার মানুষের সহযোগিতায় দেশ অর্থনীতির সংকট কাটিয়ে উঠতে সক্ষম হয়েছে। এ সাফল্য সারা দেশবাসীর। এছাড়া মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বাধীন বর্তমান সরকারের নানামূখী পদক্ষেপের ফলে করোনাকালীন সময়েও দেশের আমদানি-রপ্তানি সচল রেখেছে সরকার।

 

 যার ফলে বৈশ্বিক মন্দা আমাদের দেশকে গ্রাস করতে পারেনি। তাছাড়া পরিবহন শ্রমিকদেরও নানারকম সুযোগ সুবিধা দিয়ে সরকার সবসময় তাদেরকে উৎসাহিত করেছে। করোনা মহামারী দেশের অর্থনীতির যতটুকু ক্ষতি করেছে তা কাটিয়ে উঠতে এখন আমাদের সকলেরই যার যার অবস্থান থেকে সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দেওয়া উচিত। শ্রমিকদেরও যৌক্তিক দাবী থাকতে পারে তবে তা কোনভাবেই কাউকে জিম্মি করে নয়। আমাদের মনে রাখতে হবে এ দেশ আমাদের সকলের। বাংলাদেশ এখন উন্নয়শীল দেশের কাতারে।

 

এ অবস্থায় হঠাৎ করে ধর্মঘটের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা সঠিক নয়। দেশের অর্থনৈতিক অগ্রগতি মানেই বাংলাদেশের সামনের দিকে এগিয়ে যাওয়া। বন্দর কর্তৃপক্ষ করোনাকালীন সময়েও সকলের সহযোগিতায় অপারেশনাল কার্যক্রম চালু রেখে বর্তমানে জাহাজ জট শুন্যের কোটায় নিয়ে এসেছে। কার্যক্রম চালু রাখতে গিয়ে বন্দর পরিবারের অনেকেই করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন আবার অনেকেই মৃত্যুবরণ করেছেন। তাদের পরিবারের প্রতি রইলো আমাদের সহমর্মিতা। যখন তখন পরিবহন ধর্মঘটের কারণে পূণরায় জাহাজ জট সৃষ্টি হতে পারে। আর সময়মতো আমদানি পণ্য খালাস করতে না পারলে বাজারে এর ব্যাপক প্রভাব পড়বে।

 

 নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যাদির দামও এর ফলে বৃদ্ধি পেতে পারে বলে আশংকা প্রকাশ করেন তিনি। অন্যদিকে রপ্তানি পণ্য যদি সঠিকসময়ে জাহাজীকরণ করা না যায় তাহলে বিদেশী ক্রেতাদের কাছে বাংলাদেশের নেতিবাচক ভাবমূর্তি সৃষ্টি হতে পারে। তাই দেশের উন্নয়ন ও অগ্রগতির স্বার্থে যে কোন বিষয় আলাপ আলোচনার মাধ্যমে সমাধান করার জন্য পরিবহণ সংশ্লিষ্ট সকলের প্রতি উদাত্ত আহবান জানান তিনি।

 

এছাড়া দেশের আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্য সচল রাখার লক্ষ্যে স্বরাষ্ট্র, নৌ-পরিবহন, বাণিজ্য মন্ত্রণালয়, বিআরটিএ এবং পরিবহন সংশ্লিষ্টদের সমন্বয়ে একটি যৌথ সেল গঠন করার অনুরোধ জানান আলহাজ্ব খোরশেদ আলম সুজন।

কোন মন্তব্য নেই

please do not enter any spam link in the comment box.

merrymoonmary থেকে নেওয়া থিমের ছবিগুলি. Blogger দ্বারা পরিচালিত.