আগষ্ট মাস বাঙালী জাতির শোকের মাস।এ শোক ভাষায় প্রকাশের নয়- একেএম বেলায়েত হোসেন।

 

নিরাশার আশা জাগানিয়া বার্তা বয়ে আনল বঙ্গবন্ধু কন্যার স্বদেশ প্রত্যাবর্তন।

আগষ্ট মাস বাঙালী জাতির শোকের মাস। এ শোক ভাষায়  প্রকাশের নয়। যদ্দিন জীবিত থাকব ততদিন এ শোকের তীব্রতা এবং পিতার অযোগ্য অক্ষম অথর্ব সন্তা - নের অসহায়ত্বের লজ্জা বুকে নিয়ে বেঁচে থাকতে হবে।

নিরাশার আশা জাগানিয়া বার্তা বয়ে আনল বঙ্গবন্ধু কন্যার স্বদেশ প্রত্যাবর্তন। দলের নেতা কর্মীরা আবার আশায় বুক বেঁধে ছিল বঙ্গবন্ধু কন্যা জননেত্রী শেখহাসিনার নেতৃত্বে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে বঙ্গবন্ধু হত্যার বদলা নেবে। ১৯৮১ সালের ১৪-১৬ ফেব্রুয়ারী বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের কাউন্সিল অধিবেশনে বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনাকে তার অনুপস্থিতিতে দলের সভাপতি নির্বাচিত করা হয়। এটা ছিল দলের জন্য যুগোপযোগী এক যুগান্তকারী সিদ্ধান্ত।

এ সিদ্ধান্ত দলের কর্মী সমর্থক এবং দেশের স্বাধীনতা কামী জনগনের জন্য একটি আশীর্বাদ বানী হিসেবে এসেছিল। একই বছর  ১৭ মে তারিখে জননেত্রী স্বদেশ প্রত্যাবর্তন করেন। সেদিন শেখহাসিনার আহাজারিতে বাংলাদেশের প্রতিটি মানুষের  ছোখে অশ্রু গড়িয়ে পরছিল। কিছু কুচক্রী মহল ছাড়া। বঙ্গ- বন্ধুর আদর্শের সৈনিক যারা তারা শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়তে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ হল। এবছর ৩১ মে মেজর জিয়াকে সেনাবাহিনীর কিছু অফিসার চট্ট গ্রামের সার্কিট হাউসে হত্যা করে। এরপরে অনেক ছরাই উৎরাই পার হয়ে স্বৈরাচারী এরশাদ রাষ্ট্র ক্ষমতা দখল করে।

এরশাদ তার ক্ষমতার ভীত মজবুত করার লক্ষে আওয়ামী - লীগকে বিভক্ত করার ষড়যন্ত্র শুরু করে। অর্থবিত্তের লোভ-আওয়ামীলীগের সিনিয়র নেতাদের একাংশ দলভাঙ্গার এক অদ্ভুত খেলায় মেতে উঠে। দলের বিপ্লবী সাধারন সম্পাদক নিজেই দলভাঙ্গার এ ষড়যন্ত্রে নেতৃত্ব দেন।একেই বলে  ঘরের শত্রু বিভীষণ। এরা বঙ্গবন্ধু কন্যাকে নেতা মানতে পারেনি। তারা বাকশাল নাম দিয়ে আলাদা দল গঠন করে। উদ্দেশ্য ছিল শেখ হাসিনাকে একলা করে দিয়ে তাকে আবার দেশ -ত্যাগ করতে বাধ্য  করা।

------------------------------------ চলবে ------------------------------------

একেএম বেলায়েত হোসেন-উপদেষ্টা বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ চট্টগ্রাম মহানগর।