বঙ্গবন্ধুকে হত্যার গ্রিন সিগন্যাল দেন জিয়াউর রহমান-শিক্ষা উপমন্ত্রী নওফেল
জেনারেল
জিয়া আমাকে বলেন, আমি সিনিয়র অফিসার, আমি এধরনের কাজে সরাসরি ইনভল্ভ হতে পারিনা। যদি
তোমরা জুনিয়র অফিসাররা এটা করতে চাও, তাহলে গো এহেড’।
তৎকালীন আর্মির সেকেন্ড ইন কমান্ড, মেজর জেনারেল জিয়াউর রহমান বঙ্গবন্ধুর
খুনিদের বলেছিলেন, ‘ গো এহেড’। এ বিষয়ে একটি ডকুমেন্টারি তৈরি করেন
সাংবাদিক এন্থনি মাসকারেনহাস। সেখানে কর্নেল ফারুক রহমান এবং কর্নেল আব্দুর রশিদ সাংবাদিক
এন্থনিকে দেয়া ভিডিও সাক্ষাৎকারে পরিষ্কার বলেন, জিয়াউর রহমান তাদেরকে বঙ্গবন্ধু-হত্যা
পরিকল্পনা নিয়ে ‘এগিয়ে যাওয়ার’ পরামর্শ দিয়েছিলেন।
কর্নেল রশিদকে মাসকারেনহাস জিজ্ঞেস করেন, 'আপনারা কি কখনো জাতির পিতা
মুজিবকে বলার চেষ্টা করেছিলেন যে, রাষ্ট্রে পরিবর্তন আনার দরকার?'
এর উত্তরে কর্নেল রশিদ, 'আমরা কখনো তাকে (শেখ মুজিব) বলতে পারিনি যে, তার শোধরানো উচিত, কারণ আমরা ছিলাম জুনিয়র অফিসার।'
কর্নেল রশিদকে জিজ্ঞেস করা হয়, ‘আপনারা তাকে (বঙ্গবন্ধু) হত্যা না করে তাকে রিজাইন (পদত্যাগ) করতে বাধ্য করতে পারতেন। তাকে হত্যা করা কি জরুরী ছিল?'
এর উত্তরে আত্মস্বীকৃত খুনি কর্নেল রশিদ বলেন, ‘সাধারণ মানুষকে চটিয়ে তুলতে তার (শেখ মুজিব) একটা বিশেষ দক্ষতা ছিল। আমরা যদি তাকে হত্যা না করতাম, তাহলে সে হয়ত নতুন করে এমন কিছু করত যাতে আবার সে ক্ষমতায় আসত। তাকে (শেখ মুজিব) বাঁচিয়ে রাখলে তিনি হয়ত আবার ফিরে আসতেন’। তাই তাকে হত্যা করেছি আমরা’।
মাসকারেনহাস তার ডকুমেন্টারিতে বলেন, মুজিবকে হত্যার পরিকল্পনায় উপরের
সহযোগিতা পেতে একজন উচ্চপদস্থ সামরিক কর্মকর্তার আশ্রয় দরকার ছিল। তাই হত্যাকারী জুনিয়র
কর্মকর্তারা তৎকালীন আর্মির বড় অফিসার মেজর জেনারেল জিয়াউর রহমানকে বেছে নেয়।
মাননীয় শিক্ষা উপমন্ত্রী ব্যারিস্টার মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল’র facebook page থেকে।
কোন মন্তব্য নেই
please do not enter any spam link in the comment box.