বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার কার্যাবলিতে অটিজমের বিষয়টি সংযুক্ত করেন,সায়মা ওয়াজেদ পুতুল।
সায়মা ওয়াজেদ পুতুলের আজ জন্মদিন
১৯৭২ সালের ৯ ডিসেম্বর সায়মা ওয়াজেদ পুতুল ঢাকায় জন্মগ্রহণ করেন,তিন জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মজিবুর রহমার এর নাতনি তার পিতা বিশিষ্ট পরমাণু বিজ্ঞানী ড. ওয়াজেদ মিয়া ও মাতা গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সারাবিশ্বেই তিনি অটিস্টিক শিশুদের নিয়ে তাদের অধিকার ইত্যাদি নিয়েই কাজ করে যাচ্ছেন। পুতুল বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মানসিক স্বাস্থ্যের উপর বিশেষজ্ঞ প্যানেলের একজন সদস্য। সায়মা ওয়াজেদ পুতুল একজন প্রখ্যাত অটিজম বিশেষজ্ঞ।
বাংলাদেশে অটিজম বিষয়ক বিভিন্ন নীতি নির্ধারণে উল্লেখযোগ্য সাফল্য লাভের পর দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ায় বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার পক্ষ থেকে অটিজম বিষয়ক ‘শুভেচ্ছা দূত’ হিসেবে সায়মা ওয়াজেদ কাজ করছেন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার মেয়ে সায়মা ওয়াজেদ পুতুলের ৪৮তম জন্মদিন আজ। ১৯৭২ সালের এই দিনে ঢাকায় জন্মগ্রহণ করেন তিনি। বঙ্গবন্ধুর নাতনি পুতুল একজন প্রখ্যাত অটিজম বিশেষজ্ঞ। তাঁর বাবা বিশিষ্ট পরমাণু বিজ্ঞানী ড. এম এ ওয়াজেদ মিয়া।
সায়মা ওয়াজেদ পুতুল ১৯৯৭ সালে যুক্তরাষ্ট্রের ব্যারি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে মনোবিজ্ঞানে স্নাতক এবং ২০০২ সালে ক্লিনিক্যাল মনস্তত্ত্ব বিষয়ে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করেন। ব্যারি বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার সময় তিনি বাংলাদেশের নারী উন্নয়ন নিয়ে গবেষণা করেন। এ বিষয়ে তাঁর গবেষণাকর্ম ফ্লোরিডার একাডেমি অব সায়েন্স কর্তৃক শ্রেষ্ঠ ‘সায়েন্টিফিক’ উপস্থাপনা হিসেবে স্বীকৃতি পায়। তিনি ২০০৮ সাল থেকে শিশুদের অটিজম এবং স্নায়ুবিক জটিলতা নিয়ে কাজ করছেন। স্বীকৃতি হিসেবে ২০০৪ সালে ‘হু এক্সিলেন্স’ সম্মাননা পান তিনি। এ ছাড়া ২০১৩ সাল থেকে তিনি বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থায় মানসিক স্বাস্থ্যবিষয়ক পরামর্শক হিসেবে কাজ করছেন।
বিশ্ব মানসিক স্বাস্থ্য নিয়ে সৃষ্টিশীল নারী নেতৃত্বের ১০০ জনের তালিকায় স্থান করে নিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সুযোগ্য কন্যা সায়মা ওয়াজেদ পুতুল। দীর্ঘদিন ধরে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) বিশেষজ্ঞ হিসেবে মানসিক স্বাস্থ্য নিয়ে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে কাজ করে যাচ্ছেন তিনি।
সায়মা ওয়াজেদ পুতুল বাংলাদেশে অটিজম বিষয়ক জাতীয় কমিটির চেয়ারপারসন তিনি। সেই সঙ্গে তাঁর পরিচালিত সূচনা ফাউন্ডেশন বাংলাদেশে মানসিক স্বাস্থ্য উন্নয়ন ও সচেতনতা তৈরিতে কাজ করে যাচ্ছে। তিনি ডব্লিউএইচওর মানসিক স্বাস্থ্য বিষয়ক বিশেষজ্ঞ প্যানেলে থেকেও কাজ করে যাচ্ছেন। সায়মা ওয়াজেদ পুতুলের উদ্যোগেই ২০১১ সালে ঢাকায় প্রথমবারের মতো অটিজমের মতো অবহেলিত একটি বিষয় নিয়ে আন্তর্জাতিক সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়, যেখানে ভারতের কংগ্রেস সভানেত্রী সোনিয়া গান্ধী অংশগ্রহণ করেন। তাঁর অক্লান্ত পরিশ্রমের ফলে বাংলাদেশে ‘নিউরোডেভলোপমেন্ট ডিজঅ্যাবিলিটি ট্রাস্ট অ্যাক্ট ২০১৩’ পাস করা হয়। সেই সঙ্গে তাঁর প্রদান করা পরামর্শের ওপর ভিত্তি করেই জাতিসংঘ বেশি কিছু সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে।
মানসিক স্বাস্থ্য ও অটিজম নিয়ে কাজের স্বীকৃতিস্বরূপ বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থাও ২০১৪ সালে সায়মা ওয়াজেদকে ‘এক্সেলেন্স ইন পাবলিক হেলথ অ্যাওয়ার্ড’ প্রদান করে। এখানে উল্লেখ্য যে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার কার্যাবলিতে অটিজমের বিষয়টি তিনিই সংযুক্ত করেন। বাংলাদেশে অটিজম বিষয়ক বিভিন্ন নীতি নির্ধারণে উল্লেখযোগ্য সাফল্য লাভের পর দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ায় বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার পক্ষ থেকে অটিজম বিষয়ক ‘শুভেচ্ছা দূত’ হিসেবে সায়মা ওয়াজেদ কাজ করছেন।
মানসিক স্বাস্থ্য ও অটিজম নিয়ে কাজের স্বীকৃতিস্বরূপ বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থাও ২০১৪ সালে সায়মা ওয়াজেদকে ‘এক্সেলেন্স ইন পাবলিক হেলথ অ্যাওয়ার্ড’ প্রদান করে।
কোন মন্তব্য নেই
please do not enter any spam link in the comment box.