কোনো নির্দিষ্ট রাজনৈতিক দল এই বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করেনি-শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী
যারা দেশে জঙ্গিবাদ,মৌলবাদ ও অরাজকতা সৃষ্টির সঙ্গে জড়িত,তারা কোনোভাবেই কোনো বিশ্ববিদ্যালয় পরিচালনায় যুক্ত থাকতে পারে না। শিক্ষা উপমন্ত্রী
স্বাধীনতার সুবর্ণা জয়ন্তী উপলক্ষে আন্তর্জাতিক ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে "মুজিব কর্ণার এবং বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান রিসার্চ সেন্টার ফর ইসলাম এন্ড ইন্টাররিলিজিয়াস ডায়ালগ" এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মাননীয় শিক্ষা উপমন্ত্রী চট্টলরত্ন মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল।
প্রধান বক্তার বক্তব্যে শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল বলেন, ‘কোনো নির্দিষ্ট রাজনৈতিক দল এই বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করেনি। কোনো নির্দিষ্ট রাজনৈতিক দলের সম্পদ নয় এটি। ইসলামী শিক্ষার পাশাপাশি বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি শিক্ষার মধ্য দিয়ে যারা সব ধর্মের মানুষকে উচ্চশিক্ষায় শিক্ষিত করতে চেয়েছিলেন, তাদের প্রচেষ্টায় এই বিশ্ববিদ্যালয় আজ এখানে এসেছে। যে রাজনৈতিক দলের নিবন্ধন আদালত বাতিল করেছে, তাদের কিছু ব্যক্তি এটাকে নিজেদের পৈত্রিক সম্পত্তির মতো ব্যবহার করেছে। এটা কখনো কাম্য হতে পারে না।’
মাননীয় শিক্ষা উপমন্ত্রী আরও বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয় পরিচালনার জন্য সুনির্দিষ্ট আইন আছে। যারা দেশে জঙ্গিবাদ, মৌলবাদ ও অরাজকতা সৃষ্টির সঙ্গে জড়িত, তারা কোনোভাবেই কোনো বিশ্ববিদ্যালয় পরিচালনায় যুক্ত থাকতে পারে না। রাষ্ট্রের নির্বাহী বিভাগের ওপর দায়িত্ব আছে এই আইনের বলে যারা এ ধরনের কার্যকলাপে যুক্ত, তাদের অপসারণের। তদন্তের মাধ্যমে সেই আইনি দায়িত্ব এখানে পালন করা হয়েছে। দালিলিক কাগজপত্র অনুসন্ধান করে দেখেছি, চট্টগ্রামসহ দেশ-বিদেশের অনেক অনুরাগী দানশীল ব্যক্তি সবসময় অনুদান দিয়ে এই বিশ্ববিদ্যালয়কে আজকের পর্যায়ে এনেছেন। তাদের উত্তরসূরীরা আজ এই বিশ্ববিদ্যালয়ের দায়িত্ব নিয়েছেন, এটি আমাদের জন্য গৌরবের বিষয়।
আন্তর্জাতিক ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রাস্টি বোর্ডের চেয়ারম্যান সাংসদ আবু রেজা মুহাম্মদ নেজামউদ্দিন নদভীর সভাপতিত্বে আরও বক্তব্য দেন সাংসদ খাদিজাতুল আনোয়ার সনি, উপাচার্য আনোয়ারুল আজিম আরিফ, ট্রাস্টি বোর্ডের সদস্য রিজিয়া রেজা চৌধুরী, ইসলামি আরবী বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য আহসান উল্লাহ, অধ্যাপক ছালেহ জহুর, শাহরিয়ার জাহান।
কোন মন্তব্য নেই
please do not enter any spam link in the comment box.