Header Ads



আসলে কি নরেন্দ্র মোদী প্রতি উষ্মা প্রকাশ নাকি আড়ালে অন্য হিসাব?

ইতিহাস পড়লে বুঝার কথা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের কন্যা শেখ হাসিনা কেমন দৃঢ়চেতা নেতা।

আসলে কি নরেন্দ্র মোদী প্রতি উষ্মা প্রকাশ নাকি আড়ালে অন্য হিসাব?

আসলে কি নরেন্দ্র মোদী প্রতি উষ্মা প্রকাশ নাকি আড়ালে অন্য হিসাব?আসুন চিন্তা করি।বঙ্গবন্ধু হত্যাকান্ডের পর নির্বাসন থেকে প্রথম যখন১৯৮১ সালের ১৭ মে শেখ হাসিনা বাংলাদেশে আসলেন,তাঁকে অভ্যর্থনা জানাতে যাওয়া উপচে পড়া জনতার ঢল দেখে,  জিয়াউর রহমান এবং তাঁর সাথে বাংলাদেশের রাজনীতিতে গুছিয়ে বসতে যাওয়া সকল স্বাধীনতা বিরোধীদের কপালে ঠিকই ভাঁজ পড়েছিল।জিয়াউর রহমানের দোর্দণ্ডশাসনে দলিত বাংলাদেশে, অসমসাহসী শেখ হাসিনা কখনো জিয়াউর রহমানের লালচোখের পরোয়া করেননি।

পাশাপাশি দলের অতি শক্তিধর নেতাদেরও সমানে মোকাবেলা করে নিজকে, দলকে শক্ত অবস্থানেই নিয়ে গেছেন।তখনকার বোদ্ধা মহল বুঝে গিয়েছিল বঙ্গবন্ধু তাঁর জাত ঠিকই বাংলাদেশে রেখে গেছেন।এরপর১৯৮২ সালের ২৪ মার্চ এরশাদের ক্ষমতা দখলের পর নির্মম দমন পিঁড়নের মুখে তিনি ছিলেন দেশ ও দলের জিয়নকাঠি। এমন দৃঢ় নেতৃত্ব একমাত্র বঙ্গবন্ধু ছাড়া আর কেউ দিতে পারেননি।শেখ হাসিনার দৃঢ়তায়, কৌশলে এরশাদের পতন ঠেকানোর কোন পথই বাকী ছিলনা।শেখ হাসিনার ক্ষুরধার নেতৃত্বে ৯০এর গণঅভ্যুত্থানে এরশাদ পতন পরবর্তি ১৯৯১ সালের  নির্বাচনে, আওয়ামিলীগের দুর্ভাগ্য জনক পরাজয়ের পর, তাঁর নিজের এবং দলকে ঠিকিয়ে রাখার বহুমাত্রিক  লড়াইয়ে, শেখ হাসিনা  একাধারে খালেদা জিয়ার বিএনপি এবং বাকী কট্টরপন্থী আওয়ামী লীগ বিরোধীদের শোচনীয়ভাবে পরাজিত করে ১৯৭৫ সালের পরে ১৯৯৬ সালে আওয়ামী লীগকে  পুনরায় ক্ষমতায় নিয়ে আসেন।

১৯৯৬ থেকে ২০০১ সাল ছিল বাংলাদেশের অন্যতম সোনালী অধ্যায়।বাংলাদেশ ও এদেশের মানুষের প্রতি তাঁর ভালবাসায় শেখ হাসিনা প্রথম প্রধানমন্ত্রী হয়ে স্বল্পকালে যেভাবে দেশকে এগিয়ে নিয়েছিলেন তাও কিন্তু কম বিস্ময় উদ্রেক করেনি দেশবিদেশে।তারপরেও পরবর্তী জাতীয়  নির্বাচনে সর্বাধিক ভোট পাওয়া এই নেত্রীকে ও তাঁর দলকে ঠিকই হারিয়ে দেওয়া হয়েছিল।২০০১ সালের পর যে নজিরবিহীন তাণ্ডব শেখ হাসিনা ও বাংলাদেশ আওয়ামি লীগের উপর চালানো হয়েছিল তারপরেও  বাংলাদেশে শেখ হাসিনা টিকবেন এ আশা কোথাও ছিলনা।কিন্তু অপ্রতিরোধ্য শেখ হাসিনা রাজনীতির  খেলায় ঠিকই জয়ী হয়েছিলেন।সমস্ত মাইনাস ফর্মুলা ইত্যাদি ব্যর্থ করে দিয়ে২০০৮ সালের ২৯ ডিসেম্বরের অবাধও সুষ্ঠু নির্বাচনে এদেশের জনগন আবারো শেখ হাসিনাকে তাঁদের নেত্রীর আসনে বসান।

তাঁর ক্যারিশমাটিক নেতৃত্বে তলা ছাড়া বাংলাদেশ এখন পৃথিবীর বিস্ময়এবং সেই থেকে শেখ হাসিনা বাংলাদেশের চালকের আসনে।তর্কবিতর্ক ইত্যাদি বাদ দিলে তাঁর জনপ্রিয়তা বাংলাদেশে আকাশচুম্বী। সব পরিক্ষা নিরীক্ষা শেষ করে ভেবেচিন্তে মতিঝিলে পতন হওয়া মাথাগরম বাবুনগরী,মামুনুল ইত্যাদি কওমী নেতাদের শরণাপন্ন হয়েছেন আপাতঃব্যর্থ বিএনপি জামাত ইদ্যাদি দলের নেতারা।এখানে ধর্মের জিগির তোলা ছাড়া তেমন কিছু কিন্তু শেখ হাসিনা তথা আওয়ামী লীগ বিরোধীদের হাতে অবশিষ্ট নাই।কিন্তু ইতিহাস পড়লে বুঝার কথা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের কন্যা শেখ হাসিনা কেমন দৃঢ়চেতা নেতা। অতএব সাধু কওমি সাবধান।তিনি মা কিন্তু অবাধ্য সন্তানদের ক্ষেত্রে তিনি ঠিকই কঠোর হবেন তা বলাই বাহুল্য।

মোঃ ফরিদুল আলম ফরিদ এর facebook থেকে

কোন মন্তব্য নেই

please do not enter any spam link in the comment box.

merrymoonmary থেকে নেওয়া থিমের ছবিগুলি. Blogger দ্বারা পরিচালিত.