Header Ads



প্রাপ্তির খেরোখাতায় হারানোর পাল্লায় বেশি ভারি।

সারা জীবন গণমানুষের জন্য আন্দোলন সংগ্রাম করেছেন চট্টলবীর এ বি এম মহিউদ্দিন চৌধুরী এবং বিজয়ও এনে দিয়েছেন সবকটিতে ।

প্রাপ্তির খেরোখাতায় হারানোর পাল্লায় বেশি ভারি

২০১৭ সালসারা জীবন গণমানুষের জন্য আন্দোলন সংগ্রাম করেছেন চট্টলবীর এ বি এম মহিউদ্দিন চৌধুরী এবং বিজয়ও এনে দিয়েছেন সবকটিতে । । বেশ ভালো ভাবেই চলছিল চট্টগ্রাম । বিভিন্ন উন্নয়ন মূলক কর্মকান্ডে নেতৃত্ব দিয়েছেন সাগর পাড়ের সাগর মাঝি চট্টলবীর এ বি এম মহিউদ্দিন চৌধুরী । আবার গৃহকর, বর্ধিত ভর্তি ফি, আউটার স্টেডিয়ামে সুইমিং পুল নির্মাণের বিরুদ্ধে বিভিন্ন জনসম্পৃক্ত আন্দোলনে স্বশরীরে নেতৃত্ব নিয়েছেন চট্টগ্রামের গণমানুষের প্রিয় এই নেতা।

কিন্তু বছেরের একেবারে শেষ দিকে (১৪ই ডিসেম্বর ) পুরো চট্টগ্রাম সহ সারাদেশে নেমে এসেছে ঘোর অন্ধকার ।প্রয়াত হলেন চট্টগ্রামের গণমানুষের প্রিয় নেতা চট্টলবীর এবিএম মহিউদ্দিন চৌধুরী।

চট্টলবীরের প্রয়াণে বেদনা হত নেতাকর্মীরা । ২০১৮ই প্রথম বছর যে বছর চট্টলবীর থাকবেন না নেতাকর্মীদের সাথে । বকা দিয়ে আদর করার জন্য তিনি আর আসবেন না । অভিভাবক হারানোর বেদনা তারা কিছুতেই ভুলতে পারছেনা । তাই বিষাদ বেদনায় চট্টলবীরের আদর্শীক নেতাকর্মীরা বিদায় দিচ্ছে ২০১৭ সালকে!

শুধু নেতাকর্মী ,দলীয় এবং প্রশাসনিক পদ-পদবির মধ্যে সীমাবদ্ধ নয় এর বাইরেও চট্টলবীর এ বি এম মহিউদ্দিন চৌধুরী ছিলেন চট্টগ্রামের আপামর মানুষের কাছে তাদের অভিভাবক। তাই নেতাকর্মীদের সাথে অভিভাবক হারানোর বেদনা নিয়েই চট্টগ্রামবাসী বিদায় দিচ্ছে ঘটনাবহুল ২০১৭ সালকে!

সারা জীবন গণমানুষের জন্য আন্দোলন সংগ্রাম করেছেন চট্টলবীর এ বি এম মহিউদ্দিন চৌধুরী এবং বিজয়ও এনে দিয়েছেন সবকটিতে ।

প্রয়ানের বছর এপ্রিলে গৃহকর নিয়ে চট্টলবীর এবিএম মহিউদ্দিন চৌধুরীর নেতৃত্বে আওয়ামী লীগের একাংশের আন্দোলন শুরু হয়। লালদিঘীর মাঠে গৃহকর এবং ফিশারিঘাট থেকে মাছের পাইকারি বাজার সরানো নিয়ে ১০ এপ্রিল মহিউদ্দিন চৌধুরী লালদীঘির মাঠে জনসভা করেন। জীবদ্দশায় ঐতিহাসিক লালদীঘির ময়দানে এটিই ছিল চট্টলবীরের বড় আকারের শেষ জনসভা। অার এই জনসভায় তিনি চট্টলবাসীকে মুক্ত করেছিলেন গৃহকরের বোঝা থেকে ।

চলতি বছরের এপ্রিলেই তিঁনি চট্টগ্রামের আউটার স্টেডিয়ামে সুইমিং পুল নির্মাণ প্রতিহত করে নগরবাসীর জন্য উন্মুক্ত করেন খোলামেলা পরিবেশে বিনোদনের স্থান এবং ছেলেমেয়েদের খেলাধুলার জায়গা ।

‘নিজের দল ক্ষমতায় থাকার পরও মহানায়ক চট্টলবীর এবিএম মহিউদ্দিন চৌধুরী নগরবাসীর অধিকার আদায়ে মাঠে নামতে পিছপা হয়নি তাই তার এই শূন্যতার জন্য চট্টগ্রামবাসীকে অনেক বেগ পেতে হবে বলে মনে করছেন বিশিষ্টজনরা ।

আবার বছরজুড়ে বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে সরকার নির্ধারিত হারের চেয়ে বেশি ভর্তি ফি নেওয়ার বিরুদ্ধে চট্টলবীরের নেতৃত্বে জোরালো আন্দোলন করেছে নগর ছাত্রলীগ।

জানতে চাইলে নগর ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক নূরুল আজিম রণি বলেন , ২০১৭ সালের এই বছরটা আমাদের হৃদয়ে গেঁথে থাকবে।এই বছরটা আমাদের জন্য শোকের বছর। আমরা অভিভাবকহীন হয়েছি। ‌এবিএম মহিউদ্দিন চৌধুরীর আদেশ-পরামর্শে আমরা সাধারণ শিক্ষার্থীদের নিয়ে ভর্তি ফি নিয়ে আন্দোলন করেছি। আগামী দিনের লড়াই-সংগ্রামেও মহিউদ্দিন ভাই থাকবেন আমাদের অনুপ্রেরণা এবং লড়াইয়ের শক্তি।

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সাবেক সহ-সভাপতি অমিত কুমার বসু দেশরিভিউকে বলেন , বছরটা আমদের জন্য বিষাদের বছর। এবছর আমরা অভিভাবক হারা হয়েছি ।

দেশরিভিউ

কোন মন্তব্য নেই

please do not enter any spam link in the comment box.

merrymoonmary থেকে নেওয়া থিমের ছবিগুলি. Blogger দ্বারা পরিচালিত.