রবিবার চালু হচ্ছে দেশের সবচেয়ে বড় করোনা হাসপাতাল-শিক্ষা উপমন্ত্রী নওফেল।
আমাদের অসচেতনতা, নির্লিপ্ত মনোভাব,আর অসতর্কতা। এভাবে চললে সকল শয্যা পূর্ণ হতে সময় লাগবেনা।
কভিড১৯ সংক্রমণ সমগ্র পৃথিবীর সকল স্বাস্থ্য ব্যবস্থার জন্য একটি চ্যালেঞ্জ। এর মধ্যেও বঙ্গবন্ধু কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনার সরকার বাংলাদেশে আমাদের শত প্রতিবন্ধকতা মধ্যেও সীমিত সম্পদের সঠিক ব্যবহারের মাধ্যমে যথেষ্ট কার্যকর ভূমিকা রেখে চলেছে বলেই, মৃত্যুহার তুলনামূলক পার্শ্ববর্তী দেশগুলোর চেয়ে এখনো বাংলাদেশে কম।
চট্টগ্রামে গত বছর যেই অপ্রতুলতা দেখা যায়, পাশাপাশি এক শ্রেনীর মানুষের অপপ্রচারে বিভ্রান্ত হয়ে চিকিৎসা সংশ্লিষ্টদের শংকা এবং বেসরকারি হাসপাতাল গুলোর অনীহা সব মিলিয়ে একটি খারাপ অবস্থা আমরা দেখি।
কিন্তু এ বছর ২০২১ সালে, মহামারির দ্বিতীয় ঢেউ এ চট্টগ্রামের জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে স্বাস্থ্যসেবা পরিস্থিতি এখনো পর্যাপ্ত আছে। উপজেলা পর্যায়ে বেশ কিছু স্বাস্থ্য কেন্দ্রে পূর্নাঙ্গ অক্সিজেন লাইন স্থাপিত হয়েছে যেখানে অক্সিজেন সিলিন্ডার এর মাধ্যমে কভিড রোগীদের যথাযথ সেবা দেয়া সম্ভব হচ্ছে।
শহরে, চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, জেনারেল হাসপাতাল ও এই হাসপাতালের সাথে সম্পৃক্ত দুটি অস্থায়ী সরকারি স্থাপনা রেলওয়ে হাসপাতাল ও হলি ক্রিসেন্ট, বিআইটিআইডি তে সব মিলিয়ে প্রায় ৭০০ করোনা রোগীকে চিকিৎসা দেয়ার ব্যবস্থা আছে এবং এখনো প্রায় অনেক শয্যা খালি আছে। বন্দরের হাসপাতালের শয্যাগুলোও প্রস্তুত থাকবে।
তাছাড়া, সেচ্ছাসেবী সংগঠন বিদ্যানন্দ ও চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের আইসোলেশন সেন্টার মিলিয়ে আরো ১৫০ রোগী সেবা দেয়া সম্ভব৷ বেসরকারী হাসপাতালগুলো অন্যান্য রোগীদের মতো করোনা রোগী ভর্তি করাচ্ছে, সুতরাং পরিস্থিতি এখনো পর্যাপ্ত সেবা দেয়ার পর্যায়ে।
শংকার জায়গা হচ্ছে, আমাদের অসচেতনতা, নির্লিপ্ত মনোভাব, আর অসতর্কতা। এভাবে চললে সকল শয্যা পূর্ণ হতে সময় লাগবেনা এবং মৃত্যুর হার নিয়ন্ত্রনের বাইরে চলে যাবে।
আমরা এখনই সতর্ক হয়ে অন্তত কিছুদিন নিজেদের আবদ্ধ না করতে পারলে, সবার জন্য পরিস্থিতি স্বাস্থ্যগতভাবে এবং অর্থনৈতিক ভাবে আরো খারাপ হবে। তাই আসুন এই কিছুদিন আমরা আরেকটু ধৈর্য ধারণ করি। দেশের অর্থনীতি রক্ষা করতে, নিজের ও অন্যের স্বাস্থ্য রক্ষা করতে আমরা আর কিছুদিন কষ্ট করলে আশা করা যায় সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে আসবে। নয়তো রমজানের বাকি সময়ও লকডাউনেই থাকতে হবে!
রাজধানী ঢাকায় যেহেতু সারাদেশের রোগীদের সবচেয়ে বেশি চাপ, সংক্রমণের উর্ধগতিতে বিদ্যমান হাসপাতালগুলোর পাশাপাশি নতুন এই ১০০০ বেডের হাসপাতালের ব্যবহার শুরু হয়েছে। ১৮ই এপ্রিল রবিবার চালু হচ্ছে দেশের এই সবচেয়ে বড় করোনা হাসপাতাল। ১০০০ বেডের এই হাসপাতালের নাম দেয়া হয়েছে
‘ডিএনসিসি ডেডিকেটেড করোনা হাসপাতাল’
এখানে ১০০ শয্যার আইসিইউ এবং ১১২টি এইচডিইউ স্থাপন করা হয়েছে। এছাড়া রোগীদের জন্য সেন্ট্রাল অক্সিজেন সরবরাহের ব্যবস্থাও রয়েছে। এই হাসপাতালে চিকিৎসাসেবা দিতে ৫০০ চিকিৎসক, ৭০০ নার্স, ৭০০ স্টাফ এবং ওষুধ, সরঞ্জামের ব্যবস্থা করছে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়। সকলেই আশাবাদী গত বছর এই সময়ে তৈরি হওয়া অস্থায়ী হাসপাতালটির চাইতে আরো বেশি দীর্ঘমেয়াদি সেবা এই কাঠামো থেকে মানুষ পাবে।
ধন্যবাদ মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা। আমরা আবারো বিশ্ববাসীকে প্রমান করবো করোনা সহিষ্ণু দেশ হিসেবে অর্থনীতি ও স্বাস্থ্য দুটোই আমরা ভালো রাখতে পারি।
মাননীয় শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল এর facebook থেকে।
কোন মন্তব্য নেই
please do not enter any spam link in the comment box.