Header Ads



সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম বলেছিলেন আওয়ামীলীগ যদি ব্যাথা পায়,আমার হৃদয়ে ব্যাথা হয়-হাসান মনসুর


সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম বলেছিলেন

সৈয়দ আশরাফ মেরুদণ্ড শক্ত রেখে-সাহসের সাথে শেখ হাসিনা আর গনতন্ত্রের পক্ষে কথা বলেছিলেন।

আওয়ামীলীগ যদি ব্যাথা পায়, আমার হৃদয়ে ব্যাথা হয়! আওয়ামীলীগের কোন কর্মী যদি ব্যাথা পায়, আমার বুকে ব্যাথা লাগে --বলেছিলেন সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম।  আজ দেশপ্রেমিক ও কর্মীবান্ধব এই  প্রিয় মানুষটার ২য় মৃত্যুবার্ষিকী। ৩রা জানুয়ারি ২০১৯ ব্যাংককের একটি হাসপাতালে তিনি ইন্তেকাল করেছিলেন।

বাংলাদেশের প্রথম অস্থায়ী রাষ্ট্রপতি সৈয়দ নজরুল ইসলাম  ছিলেন তার পিতা। জাতির পিতা শেখ মুজিবকে হত্যা করা হলে - লাইন ধরে,  মুজিব কোট খুলে -- অনেকই খুনিদের সাথে তাল মিলিয়েছিলেন, কিন্ত এই নিষ্ঠুরতম হত্যাকে সমর্থন দেন নাই সৈয়দ নজরুল ইসলাম,  বঙ্গতাজ তাজউদ্দীন সহ অনেকেই। ফলশ্রুতিতে  আওয়ামীলীগেই ঘাপটি মেরে থাকা গুটিকয়েক খন্দকার মোশতাকদের হাতে নিষ্ঠুরভাবে খুন হতে হয় --  সৈয়দ নজরুল, তাজউদ্দীন সহ হাজারো দেশপ্রেমিক নেতাকে। সংগ্রামী দেশপ্রেমিক  বাবার - সুযোগ্য সন্তান সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম।  সেনা সমর্থিত অবৈধ ১/১১ সরকার যখন আওয়ামী লীগের মজবুত খুটি ভাঙতে - দলের মানুষকে দিয়েই চেষ্টা করছিল, তখন সৈয়দ আশরাফ মেরুদণ্ড শক্ত রেখে - সাহসের সাথে শেখ হাসিনা আর গনতন্ত্রের পক্ষে কথা বলেছিলেন।

বঙ্গবন্ধু কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বের প্রশ্নে কখনো আপোষ করেনি, সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম।  আওয়ামী লীগের মুখপাত্র, মন্ত্রী থাকাকালীন সময়ে যখনতখন মিডিয়ায়,  ক্যামেরায় চেহারা দেখাতেন না - গলাবাজি করতেন না, নিজেকে জাহির করার চেয়ে দলের ইমেজটাকেই প্রাধান্য দিতেন আশরাফুল ইসলাম।ঢাকায় শাপলা চত্বরে উগ্র মৌলবাদী গোষ্ঠী হেফাজত ইসলামের রাতভর তান্ডবলীলা চলাকালে - তার সময়োপযোগী দূরদৃষ্টি সম্পন্ন সাহসী বক্তব্য - সেদিন সংকট উত্তরনে ভুমিকা রেখেছিল। ক্ষমতার কেন্দ্রে থেকেও সততা, নিষ্ঠা, নীতি ও আদর্শ নিয়ে দেশ ও জনগণের জন্য কাজ করে গেছেন সৈয়দ  আশরাফ।


এমনকি তার শত্রু এবং রাজনৈতিক প্রতিপক্ষ পর্যন্ত তার সমন্ধে একটা খারাপ কথা বলতে পারেননি। গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রনালয় ও ক্ষমতাশীন দলের সাধারন সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করার পরেও - তার প্রিয়তমা স্ত্রীর চিকিৎসা খরচে মেটাতে তিনি পৈতৃক বাড়ীও বিক্রি করেছেন। এমনকি সবিনয়ে প্রত্যাখান করেছেন রাষ্ট্র বা দলীয় কোনো অনুদান।যৌবনের প্রারম্ভে তিনি লন্ডনে নিরাপদ জীবন ও ভালো চাকরীতে ছিলেন -- ১৯৮০ দশকের শুরুতে আওয়ামী লীগের চরম দুর্দিনে নেত্রী শেখ হাসিনার ডাকে ছুটে আসেন মাতৃভূমি বাংলাদেশে -- জড়িয়ে পরেন রাজনীতিতে। 

অর্থবিত্ত, লোভ-লালসা, ভয়ভীতি কোনো কিছুই তাঁকে তাঁর নীতি থেকে টলাতে পারেনি কখনো। নেতাসুলভ আচরন , শান্ত স্বভাব এবং সততার এক চমৎকার উদাহরণ ছিলেন সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম ভাই।  মহান আল্লাহ তাকে জান্নাতুল ফেরদৌস দান করুন, আমীন। নষ্ট ও দুষ্টদের আধিপত্য - চলমান রাজনৈতিক সংস্কৃতিতে - বেশ ভালোভাবেই  জেকে বসেছে --- সৈয়দ আশরাফের মতো আদর্শবান রাজনৈতিক কর্মীদের  সংখ্যা বর্তমান রাজনীতিতে বেড়ে উঠুক -- এটাই আজকের দিনের প্রত্যাশা।

হাসান মনসুরসাঃ সম্পাদক(সাবেক)কোতোয়ালী থানা আওয়ামী লীগ,চট্টগ্রাম মহানগর।

কোন মন্তব্য নেই

please do not enter any spam link in the comment box.

merrymoonmary থেকে নেওয়া থিমের ছবিগুলি. Blogger দ্বারা পরিচালিত.