Header Ads



সিরাতুন্নবী নয়,সরকারী নির্দেশ মেনে কলেজে মিল্লাদুন্নবী পালন করতে হবে-নুরুল আজিম রনি।

 


যেদিন কলেজ খুললো সেদিন আমাকে আর মেডিকেলের বিছানায় রাখে কে!!

২০১৫ সালের ১৬ ডিসেম্বর, দীর্ঘ তিন দশক পর চট্টগ্রাম কলেজ- হাজী মুহাম্মদ কলেজ থেকে শিবির উৎখাত করার পর ঐদিন সন্ধায় বুকের ব্যাথায় অজ্ঞান হয়ে যায়। পরদিন নিজেকে আবিস্কার করলাম ঢাকার ইউনাইটেড হাসপাতালের সিসিইউতে। এরপর সম্ভবত তিনদিন ঘুমিয়ে কাটিয়েছি। তিনদিন পর মনে হলো চট্টগ্রামে তো একটা যুদ্ধ বাধিয়ে দিয়ে এসেছি।ডাক্তারকে সিসিইউতে ডেকে বললাম আমাকে রিলিজ করেন,আমি চট্টগ্রামের কোন একটা হাসপাতালে সিঁসিইউতে থাকবো।আমাকে ডাক্তার পাগল মন্তব্য করে চলে গেলেও আমি ছিলাম নাছরবান্দা।


৫/১০ মিনিট পর পর তাদের বিরক্ত করার কারনে তারা এক পর্যায়ে অভিভাবকের লিখিত জিম্মায় আমাকে রিলিজ করে। ফিরে এসে আবার ভর্তি হলাম চট্টগ্রামের মেডিকেল সেন্টারের সিসিইউতে। এবার শুয়ে শুয়ে ডা. রজক দাদা, ডা. শাহেদ ভাইকে বিরক্ত শুরু। ঐদিকে সংঘর্ষের পরেই সপ্তাহখানেক কলেজ বন্ধ ছিল। যেদিন কলেজ খুললো সেদিন আমাকে আর মেডিকেলের বিছানায় রাখে কে!! বের হয়ে গেলাম। ঘরে গিয়ে কাপড় পাল্টে সোজা চট্টগ্রাম কলেজ।

 কলেজের একটা বিল্ডিংয়ের জানালা দিয়ে সেদিন ঝর্দার ডিব্বা মানে ককটেল ছুড়ে মারা হয়েছিল। কলেজ ছাত্রলীগ নেতারা ঐ বিল্ডিংয়ের রুমে গিয়ে আবিস্কার করে সব নেকাপ-বোরকাওয়ালী। ছাত্রী সংস্থার শয়তানদের তো আর তল্লাশি করা যাচ্ছেনা- এরপর কলেজ ছাত্রলীগ মিছিল করলো- আমি ভাবলাম- এখানে মাটির শিকড় শুদ্ধা জামাতিরা ধর্মের আড়ালে মুড়িয়ে রেখেছে। রাজনৈতিক ভাবে সম্পূর্ন উৎখাতের জন্য ধর্মীয়  লেবাসও ছিন্ন করতে হবে। কলেজ ছাত্রলীগের মিছিল শেষে বক্তব্য রাখতে গিয়ে বললাম- সিরাতুন্নবী ঘরে পালন করুন,সরকারী নির্দেশ মেনে কলেজে মিল্লাদুন্নবী পালন করতে হবে। এরপর এক এক করে মসজিদ থেকে মওদুদীবাদে বিশ্বাসী  খতিব, ইমাম, মুয়াজ্জিন বিদায় নিল। বিশাল আঁকারে মিলাদুন্নবী পালন হলো।।

লেখাটা মামুনুল প্রেমে অন্ধ কথিত সুন্নি জনতার জন্য- যারা এ কদিন আমাকে গালাগাল করছেন।

নুরুল আজিম রনি-সাঃ সম্পাদক (সাবেক) চট্টগ্রাম মহানগর ছাত্রলীগ।

কোন মন্তব্য নেই

please do not enter any spam link in the comment box.

merrymoonmary থেকে নেওয়া থিমের ছবিগুলি. Blogger দ্বারা পরিচালিত.