২৯ এপ্রিল প্রলয়ঙ্করী ঘূর্ণিঝড় ও চট্টলবীর মহিউদ্দিন চৌধুরী
মহিউদ্দিন চৌধুরীরা যেমন প্রতিদিন জন্মায়না তেমনি নিঃশেষও হয়ে যায়না।
জনদরদী চট্টলবীর আলহাজ্ব এ বি এম মহিউদ্দিন চৌধুরী কে নিয়ে কিছু লিখব সে দুঃসাহস আমার নেই, মহিউদ্দিন চৌধুরী কোন ব্যক্তির নাম না, কোন নেতার নাম না,মহিউদ্দিন চৌধুরী একটি প্রতিষ্টানের নাম,মহিউদ্দিন চৌধুরীরা যেমন প্রতিদিন জন্মায়না তেমনি নিঃশেষও হয়ে যায়না।
মহিউদ্দিন চৌধুরীরা চিরদিন বেচেঁ থাকে মানুষের মনের মনিকোটায়।আলহাজ্ব এ বি এম মহিউদ্দিন চৌধুরীকে কেউ নেতা বানিয়ে দেয়নি,কেউ তাকে নেতৃত্বের আসনেও অধিষ্টত করেননি তিনি জনগনের সুখে দুঃখে আপদে বিপদে সবার আগ ঝাপিয়ে পড়তেন,তিনি নিজেকে উৎসর্গ করেছিলে জনমানুষে জন্য, চট্টল স্বার্থ রক্ষায় তিনি ছিলেন নির্বীক ভয় পেতেন না কারো রক্ত চোক্ষুকে সে যত বড় শক্তিধর হউক না কেন।
এভাবেই তিনি ধীরে ধীরে হয়ে উঠেন জননেতা। ঠাই নিয়েছেন সাধারণের হ্রদয়ে। আলহাজ্ব এ বি এম মহিউদ্দিন চৌধুরী ছিলেন চট্টগ্রাম তথা চট্টলবাসীর বীর সেনাপতি যখনই চট্টগ্রাম বা চট্টলবাসীর স্বার্থবিরোধি কোন কাজ দেখতেন বা কেউ করার চেষ্টা করতেন তার বিরূদ্ধে ঝাপিয়ে পড়তেন অকৃত্রিম চট্টলপ্রেম নিয়ে।রুখে দিতেন সকল অপশক্তিকে রক্ষা করতেন চট্টলবাসীর অধিকার চট্টলবাসীর উপর যত বড় বিপদই আসুক বুক পেতে দিতেন চট্টলবীর।
২৯ এপ্রিল ১৯৯১ চট্টগ্রামের উপর দিয়ে দানবীয় শক্তিতে বয়ে যায় প্রলয়ঙ্করী ঘুর্নিঝড় লন্ডভন্ড হয়ে যায় চট্টগ্রাম সমুদ্র উপকুল তৎমধ্যে নগরের হালিশহর পতেঙ্গার অবস্হা খুবই ভয়াবহ।
৩০ এপ্রিল আমি চাকুরির সুবাদে আমি উঃ পতেঙ্গা কাটগড়ে গিয়েছিলাম।অনেক কষ্টেসৃষ্টে এদিক ওদিক ঘুরে দেখার চেষ্টা করছিলাম।এক স্হানে গিয়ে দাড়িয়ে গেলাম বেশ কিছু মানুষেরর জটলা দেখে হঠাৎ চোখ পড়ল কাদায় লেপটে যাওয়া একজন লোক লাশ নিয়ে আসছে কখনো ঘরের ভিতর থেকে কখনো ঝোপঝাড় এর ভেতর থেকে চিনার কোন উপায় ছিলনা তিনি কে, অনেক ক্ষণ পর কাদামাটি পরিস্কার করার পর বুঝতে পারলাম ইনিতো এ বি এম মহিউদ্দিন চৌধুরী।
লাশ গুলি নিজ হাতে পরিষ্কার করে তুলে দিচ্ছেন আপন জনের হাতে।যে লাশ গুলির কোন আত্মীয় স্বজন পাওয়া যাচ্ছিল না চট্টলবীর নিজ দায়ীত্বে কাফন দাফনের ব্যবস্হা করছিলেন।
ঘুর্ণিঝড় পরর্বতীতে দেখাদিল নানা রোগ চট্টলবীর অসুস্হদের চিকিৎসার দায়ীত্ব তুলে নিলেন নিজ হাতে,খুলে দিলেন অস্হায়ী চিকিৎসা কেন্দ্র সর্ব প্রকার ঔষধ খাওয়ার সেলাইন নিজ হাতে অসুস্হদের পরিচর্যা শুরু করে দিলেন মানবতাবাদী আলহাজ্ব এ বি এম মহিউদ্দিন চৌধুরী।
অন্যদিকে অভুক্তদের জন্য চালু করেলেন লঙ্গরখানা মুসলিম হলেতো ছিল চট্টলবীরের নেতৃত্বে মহা কর্মজ্ঞ এখানে সমগ্র চট্টগ্রাম উপকূলের ক্ষতিগ্রস্হ মানুষ চিকিৎসা সেবা খাদ্য বস্ত্র সহ সকল সুবিধাই পেতেন,এভাবে আলহাজ্ব এ বি এম মহিউদ্দিন চৌধুরী হেয়ে উঠেন চট্টলবাসীর কাছে জনদরদী মানবতাবাদী নেতা।
কোন মন্তব্য নেই
please do not enter any spam link in the comment box.