Header Ads



হেফাজতে ইসলামের বিবৃতিতে আনীত অভিযোগ সমূহ সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন:শিক্ষা উপমন্ত্রী নওফেল

 


মাননীয় শিক্ষামন্ত্রী ডা. দিপু মনি এমপি ইতিমধ্যেই পরিস্কার করে বলেছেন ধর্ম শিক্ষা আবশ্যিক ভাবেই নতুন পাঠ্যক্রমে/কারিকুলামে থাকছে।


হেফাজতে ইসলাম নামের একটি সংগঠনের বিবৃতি আমাদের দৃষ্টিগোচর হয়েছে। এই বিবৃতিতে আনীত অভিযোগ সমূহ সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন, উদ্দেশ্যপ্রণোদিত এবং বিভ্রান্তিকর। বিবৃতিতে উনারা দাবি করেছেন নতুন কারিকুলামে ইসলাম শিক্ষা বাধ্যতামূলক এর পরিবর্তে ঐচ্ছিক করার কথা উনারা শুনেছেন।


 এর প্রেক্ষিতে শিক্ষা আইনের সাথে সম্পৃক্ত হওয়ার দাবি উনারা করেছেন, এবং আরও দাবি করেছেন যেনো পাঠ্যক্রম প্রণয়নে আলেম ওলামাদের সম্পৃক্ত করা হয়।

       

মাননীয় শিক্ষামন্ত্রী ডা. দিপু মনি এমপি ইতিমধ্যেই পরিস্কার করে বলেছেন ধর্ম শিক্ষা আবশ্যিক ভাবেই নতুন পাঠ্যক্রমে/কারিকুলামে থাকছে। এই প্রেক্ষিতে একটি কথা এখানে বলা প্রয়োজন, হেফাজত নেতৃবৃন্দ এমন এক বিষয় নিয়ে মন্তব্য করেছেন যা উনাদের নেতৃবৃন্দের বেশিরভাগের পরিচালিত কওমী মাদ্রাসাগুলোতে পড়ানো হয়না, সেটি হচ্ছে আলিয়া মাদ্রাসা সমূহের জন্য প্রযোজ্য আমাদের সরকার প্রনীত জাতীয় পাঠ্যক্রম।


 বর্তমানে কওমী মাদ্রাসা সমূহ আমাদের মাদ্রাসা শিক্ষা, সাধারণ শিক্ষা, বা কারিগরি শিক্ষার পাঠ্যক্রম, কোনোটাই অনুসরণ করেনা। যেই পাঠ্যক্রম উনারা অনুসরণই করেন না, তা উনারা পরিবর্তন করার বিষয়ে কেনো এবং কিভাবে মতামত দেবেন?


 আমাদের মাদ্রাসা শিক্ষাক্রম বিশিষ্ট ইসলামী চিন্তাবিদদের দ্বারা করা হয়েছে। নতুন কারিকুলামের সাধারণ, মাদ্রাসা, কারিগরি সকল পর্যায়ে, কি প্রক্রিয়ায় ইসলাম ধর্ম বই এবং পাঠ্যক্রম পড়ানো হবে তা আমাদের দেশের আলিয়া মাদ্রাসা শিক্ষার সাথে সম্পর্কিত দ্বীনি আলেম, ইসলামি চিন্তাবিদগণের সাথে আলোচনা করেই নির্ধারণ করা হয়েছে। 


ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, ইসলামি আরবি বিশ্ববিদ্যালয়, ও অন্যান্য ইসলামি উচ্চ শিক্ষার প্রতিষ্ঠানের সাথে আলোচনা করেই পাঠ্যক্রম হয়েছে। আলিয়া মাদ্রাসা সমূহে পাঠদান করার জন্য ধর্মীয় বিষয়ে যথাযথ গুরুত্ব দিয়ে প্রণীত পাঠ্য, পাশাপাশি সাধারণ বিষয় সমূহের পাঠ্যবই, আমাদের আলিয়া মাদ্রাসা শিক্ষার্থীরা ইতিমধ্যেই পড়ছে।


 তাদের অনেকেই দেশের সর্বোচ্চ বিদ্যাপীঠ থেকে শুরু করে মেডিকেল, নার্সিং, ইঞ্জিনিয়ারিং সকল পর্যায়েই উচ্চশিক্ষা নিচ্ছে, এবং বিদেশেও পড়াশোনা করছে। সরকার প্রনীত পাঠ্যক্রম অনুসারে দাখিল-আলিম-ফাযিল-কামিলে প্রচলিত পাঠ্যক্রম যদি কওমী মাদ্রাসা গুলো অনুসরণ করতে চায়, আমরা অবশ্যই উনাদের সাথে আলোচনা করবো। 


দেশের সকল নাগরিকদের সাথে, বিশেষ করে শিক্ষাবিদ, পাঠ্যক্রম বিশেষজ্ঞ, শিক্ষক, ইসলামী ও অন্যান্য ধর্মীয় চিন্তাবিদ, সকলের মতামত নিয়েই, সকলের সাথে আলোচনা করেই পাঠ্যক্রম প্রনয়ণ করা হয় এবং হচ্ছে। উন্মুক্ত মতামত দেয়ার প্রক্রিয়াও সম্পন্ন হয়েছে। এখন হঠাৎ কোনো সুনির্দিষ্ট বিষয় ছাড়া সম্পৃক্ত হওয়ার দাবি জানানো গ্রহণযোগ্য নয়।


 বিবৃতি প্রদানকারীগণ অবশ্যই জানেন, বাংলাদেশের সংবিধান মতে প্রাথমিক শিক্ষা বাধ্যতামূলক। আমাদের প্রত্যাশা, দেশের সংবিধানের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হয়ে কওমী মাদ্রাসা গুলো অন্তত প্রাথমিক পর্যায়ে আলিয়া মাদ্রাসা শিক্ষার এবতেদায়ী পর্যায়ের পাঠ্যক্রম যেনো অনুসরণ করে।


 সরকার দাওরায়ে হাদিসকে ২০১৮ সালের ৪৮ নং আইন দ্বারা ইসলামিক স্টাডিজ এ মাস্টার্স এর মর্যাদা দিয়েছে। এই প্রতিষ্ঠানগুলোর শিক্ষার্থীরা যদি প্রাথমিক শিক্ষা ধাপের ন্যুনতম শিখনফল ও দক্ষতা অর্জন যদি করতে না পারে, তাহলে সেই প্রতিষ্ঠান গুলোর শিক্ষার্থীদের প্রতি অবিচার করা হবে।  


এই শিক্ষার্থীদের ভবিষ্যতের কথা ভেবেই আমরা আশা করবো হেফাজতে ইসলাম, কওমী মাদ্রাসা সমূহে বাংলাদেশের মাদ্রাসা শিক্ষায় প্রচলিত পাঠ্যক্রম, যা নতুন কারিকুলামের মাধ্যমে আরো বেশি সমৃদ্ধ হতে যাচ্ছে, সেই পাঠ্যক্রম যেনো প্রচলনের উদ্যোগ নেন। সেটি না করে "শোনা যাচ্ছে" মর্মে অভিযোগ করা একটি ষড়যন্ত্রমূলক কাজ। 


 আমরা বঙ্গবন্ধুর কন্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী দেশরত্ন জননেত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে সবাই কে সাথে নিয়ে কাজ করছি। বিবৃতি প্রদানকারী সংগঠনের সাথেও আমরা আলোচনা করতে পারি, কিন্তু আমাদের পাঠ্যক্রম অনুসরণ করার বিষয়ে সিদ্ধান্ত উনাদের নিতে হবে। অনুসরণই যদি না করা হয় সেটি নিয়ে আলোচনা করার কোনো যৌক্তিকতাই নেই।

মাননীয় শিক্ষা উপমন্ত্রী চট্টলরত্ন ব্যারিস্টার মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল (এম.পি) Facebook page থেকে।

কোন মন্তব্য নেই

please do not enter any spam link in the comment box.

merrymoonmary থেকে নেওয়া থিমের ছবিগুলি. Blogger দ্বারা পরিচালিত.