Header Ads



সারাবিশ্বের অর্থনীতির অবস্থা মন্দা,সব দেশেই দ্রব্যমূল্য বেড়েছে:প্রধানমন্ত্রী

 

সারাবিশ্বের অর্থনীতির অবস্থা মন্দা

প্রধানমন্ত্রী বলেন,এখন একটা অনাকাঙ্খিত ঘটনা রাশিয়া ইউক্রেনে আক্রমণ করেছে। সেটা নিয়েও একটা অস্বাভাবিক পরিস্থিতি সারাবিশ্বে। যার কুফলটা আসছে, আমরাও তার কুফল ভোগ করছি। আমাদের এখানেও কিছু জিনিসের দাম বাড়ছে।

 

সারাবিশ্বের অর্থনীতির অবস্থা মন্দা উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী বলেন, দ্রব্যমূল্য নিয়ে একটা কথা এসেছে। দ্রব্যমূল্য কেবল বাংলাদেশে নয়, করোনাভাইরাসের কারণে সারা বিশ্বের অর্থনীতি মন্দা। যে কারণে আজকে পৃথিবীর সব দেশে, সেই সুদূর আমেরিকা থেকে শুরু করে সব দেশের দ্রব্যমূল্য ভীষণভাবে বেড়ে গেছে। 

তিনি বলেন, এটা একটা অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা, রাশিয়া ইউক্রেন আক্রমণ করেছে। যার কুফলটা আমরা ভোগ করছি। আমাদের এখানে কিছু জিনিসের দাম বাড়ছে। কারণ আন্তর্জাতিক বাজারে দাম বেড়ে গেলে স্বাভাবিকভাবে এখানেও তার প্রভাবটা পড়ে। তাছাড়া কিছু লোক এখানে আছে এই সংকটময় মুহূর্তে ব্যবসা করে তারা দু পয়সা বেশি কামাই করতে চায়। সেখানে মনিটরিং আমরা করছি।

সোমবার (৭ মার্চ) ঐতিহাসিক ৭ মার্চ উপলক্ষে আওয়ামী লীগ আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধানমন্ত্রী এ কথা বলেন। বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ের আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত এ আলোচনা সভায় প্রধানমন্ত্রী তার সরকারি বাসভবন গণভবন থেকে ভার্চুয়ালি যুক্ত হন।

 

রাশিয়া ইউক্রেনের যুদ্ধের প্রসঙ্গ টেনে প্রধানমন্ত্রী বলেন, এখন একটা অনাকাঙ্খিত ঘটনা রাশিয়া ইউক্রেনে আক্রমণ করেছে। সেটা নিয়েও একটা অস্বাভাবিক পরিস্থিতি সারাবিশ্বে। যার কুফলটা আসছে, আমরাও তার কুফল ভোগ করছি। আমাদের এখানেও কিছু জিনিসের দাম বাড়ছে। কারণ আন্তর্জাতিক বাজারে যখন বেড়ে যায়, তখন এটা স্বাভাবিক কিছু প্রভাব পড়ে।

 

সরকার প্রধান বলেন, তাছাড়া এখানে কিছু লোক আছেই, যারা এই সময়ে একটু ব্যবসা করে দুই পয়সা কামাই করতে চায়। সেখানে মনিটরিং করার ব্যবস্থা আমরা করছি।

 

জনগণ ও আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের উদ্দেশে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমাদের খাদ্যের যেন অভাব না হয়। এক ইঞ্চি জমিও যেন অনাবাদি না থাকে। যে যা পারবেন কিছু উৎপাদন করবেন। নিজের চাহিদা, নিজেই পূরণ করতে চেষ্টা করবেন। নিজের খাদ্য নিজেই জোগান দিতে চেষ্টা করবেন। যদি এটা আমরা করতে পারি, তাহলে আমাদের আর কারও মুখাপেক্ষী হয়ে থাকতে হবে না।

 

তিনি বলেন, আমাদের মাথাপিছু আয় তো বৃদ্ধি পেয়েছে। বিএনপির আমলে কতইবা ছিল। আজকে আমাদের মাথাপিছু আয় ২ হাজার ৫৯১ মার্কিন ডলার। অর্থাৎ মানুষের ক্রয়ক্ষমতা বেড়েছে। সেই সঙ্গে সবাইকে বলবো যার যেখানে যতটুকু জমি আছে। সবাই কিছু না, কিছু ফসল ফলান। তরি-তরকারি ফলান। নিজের খাবারের ব্যবস্থা নিজে তৈরি করেন। যে কোনোরকম প্রাকৃতিক দুর্যোগ হোক, যুদ্ধাবস্থা হোক বা যেকোনও ঘটনা হোক, অন্তত আমাদের দেশের মানুষের খাদ্যের অভাব না দেখা দেয়। সেটাই আমাদের চেষ্টা।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, খাদ্যে আমরা স্বয়ংসম্পূর্ণ হওয়ার পরে আমরা পুষ্টির ব্যবস্থা করেছি। বিনা পয়সায় চিকিৎসা ও বই দেওয়া। সবধরনের ব্যবস্থা আমরা করে যাচ্ছি।

কোন মন্তব্য নেই

please do not enter any spam link in the comment box.

merrymoonmary থেকে নেওয়া থিমের ছবিগুলি. Blogger দ্বারা পরিচালিত.