Header Ads



একুশে আগস্টের হামলায় গ্রেনেড যোগানদাতা ছিলেন পাকিস্তানি জঙ্গি ইউসুফ ভাট।

 

একুশে আগস্টের হামলায় গ্রেনেড যোগানদাতা ছিলেন

তারেক রহমানসহ বিএনপি জামায়াতের সাথে আন্তর্জাতিক জঙ্গি কানেকশনের সূত্র যেখানে:

হামলায় ব্যবহার হওয়া গ্রেনেডগুলোর জোগানদাতা কারা? গ্রেনেডগুলো কোথা থেকে, কীভাবে এসেছিল? কে কীভাবে ওই গ্রেনেডগুলো জঙ্গিদের হাতে পৌঁছে দিয়েছিল? এসব প্রশ্নের জবাবের সাথে উঠে এসেছিল তারেক রহমানসহ বিএনপি জামায়াতের সাথে আন্তর্জাতিক জঙ্গি কানেকশনের সূত্র।

একুশে আগস্টের হামলায় গ্রেনেড যোগানদাতা ছিলেন

পাকিস্তানি জঙ্গি ইউসুফ ভাট। তার সাংগঠনিক নাম আব্দুল মাজেট ভাট ওরফে আব্দুল মজিদ, তার প্রকৃত নাম আবু ইউসুফ ভাট। বাংলাদেশে সুদূরপ্রসারী জঙ্গি কর্মকাণ্ড পরিচালনার অ্যাসাইনমেন্ট নিয়ে এদেশে আসে সে। পাকিস্তানের গোয়েন্দা সংস্থা আইএসআই এর মদদে থাকা ইউসুফ ভাট ২০০২ সালে বিএনপি জামায়াত ক্ষমতায় আসলে স্থায়ীভাবে বসবাসের জন্য বাংলাদেশে চলে আসেন। ২০০৭ সালের জুন মাসে তিনি সিরাজগঞ্জে পুলিশের হাতে গ্রেফতার হন। আটক হওয়ার পর তিনি একে একে স্বীকার করেন একুশে আগস্ট গ্রেনেড হামলা ছাড়াও সিলেটে ব্রিটিশ হাইকমিশনারের উপর হামলা, সাবেক অর্থমন্ত্রী শাহ এস এম কিবরিয়া হত্যার মাষ্টারমাইল্ড ছিলেন এ পাকিস্তানি জঙ্গী।

২০০৯ সালের ৬ ডিসেম্বর আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন। সেদিন ইউসুফ ভাট বলে, পাকিস্তানের চিরশত্রু শেখ হাসিনা। পাকিস্তানের গোয়েন্দা সংস্থা, মূলধারার রাজনৈতিক দল ও ধর্মভিত্তিক জঙ্গি সংগঠনগুলো তাই শেখ হাসিনাকে পছন্দ করে না। পাকিস্তানের প্রত্যক্ষ সহযোগিতায় ২১শে আগষ্টের গ্রেনেড হামলার কথাও স্বীকার করে এই ইউসুফ ভাট। ভারতকে অস্থিতিশীল রাখতে হলে শেখ হাসিনাকে ক্ষমতায় আসতে দেয়া যাবে না এটা বিশ্বাস করে পাকিস্তান।” বাংলাদেশকে ব্যবহার করে ভারতে জঙ্গি কর্মকাণ্ড পরিচালনার জন্য এদেশে ধর্মভিত্তিক জঙ্গিদের পছন্দের সরকারকে ক্ষমতায় রাখার ইচ্ছার কথাও আদালতে জানায় ইউসুফ বাট।

সেদিন ইউসুফ ভাট আদালতকে বলে, হামলায় ব্যবহৃত গ্রেনেডগুলো আসে পাকিস্তান থেকে। গ্রেনেডগুলো পাকিস্তান থেকে জাহাজে করে চট্টগ্রামে আসার পর ঢাকায় পাঠানো হয়। ২০০৪ সালের ২১ আগস্ট ঢাকার বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ে আওয়ামী লীগের জনসভায় যে গ্রেনেড হামলা হয়েছে, তা পাকিস্তান থেকে তাজউদ্দিনের কাছে আসে। তাজউদ্দিনকে গ্রেনেডগুলো পাকিস্তানভিত্তিক জঙ্গি সংগঠন তেহরিক-ই-জিহাদি ইসলামী (টিজেআই) নেতা মুজাফফর শাহ তাকে দিয়েছিল। এসব গ্রেনেড পাকিস্তানের সেনাবাহিনী ব্যবহার করে।” সেদিন জবানবন্দিতে ইউসুফ ভাট আরও জানায়, বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারের আমলে পাকিস্তানি জঙ্গিরা নির্বিঘ্নে বাংলাদেশে আসা-যাওয়া করতো।

২০০৯ সালের ৬ ডিসেম্বর ইউসুফ ভাট আদালতে ১৪ পৃষ্ঠার যে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেয়, সেখানে ভারত, বাংলাদেশ ও পাকিস্তানে সক্রিয় জঙ্গিদের বিষয়ে বিস্তারিত তথ্যের উল্লেখ আছে।

কেন বিএনপি জামায়াত সরকারের পৃষ্টপোষকতা নিয়ে

শেখ হাসিনার ওপর হামলা—এ বিষয়ে ইউসুফ ভাট তার জবানবন্দিতে স্পষ্ট করে বলেছে:

১. ভারতকে অস্থিতিশীল রাখতে হলে ধর্মভিত্তিক জঙ্গিদের পছন্দের সরকার প্রয়োজন। এক্ষেত্রে শেখ হাসিনাকে পছন্দ নয় তাদের।

২. ধর্মনিরপেক্ষ হওয়ায় শেখ হাসিনাকে ইসলামপন্থীদের শত্রু মনে করে জঙ্গিরা।

৩. শেখ হাসিনা ক্ষমতায় থাকলে ইসলামবিদ্বেষী বুদ্ধিজীবীরা প্রশ্রয় পায়।

৪. শেখ হাসিনাকে হত্যা করা গেলে আওয়ামী লীগ টুকরো টুকরো হয়ে যাবে। ফলে আওয়ামী লীগ আর ক্ষমতায় যেতে পারবে না। এতে করে বাংলাদেশ ও ভারতে জঙ্গি কর্মকাণ্ড পরিচালনায় সুবিধা হবে।

৫. পাকিস্তানের চিরশত্রু শেখ হাসিনা। ওই দেশের গোয়েন্দা সংস্থা, মূলধারার রাজনৈতিক দল ও ধর্মভিত্তিক জঙ্গি সংগঠনগুলো শেখ হাসিনাকে পছন্দ করে না।

৬. বাংলাদেশের জঙ্গিপন্থী রাজনৈতিক দলগুলোও শেখ হাসিনার বিরোধী।

৭. বিভিন্ন সময়ে বাংলাদেশে ক্ষমতাসীন হয়েছে বা ক্ষমতায় অংশীদারিত্ব করেছে, এমন কিছু রাজনৈতিক দলও শেখ হাসিনাকে অপছন্দ করে। তাদের স্বার্থ ও জঙ্গিদের স্বার্থ এক।

৮. ধর্মভিত্তিক জঙ্গিদের পাশাপাশি ভারতে সক্রিয় বিভিন্ন জঙ্গি গোষ্ঠীরও শত্রু শেখ হাসিনা।

নুরুল আজিম রনি (সাবেক সাঃ সম্পাদক চট্টগ্রাম মহানগর ছাত্রলীগ) এর facebook থেকে।

কোন মন্তব্য নেই

please do not enter any spam link in the comment box.

merrymoonmary থেকে নেওয়া থিমের ছবিগুলি. Blogger দ্বারা পরিচালিত.