চট্টগ্রামের প্রকৃতি ও ঐতিহ্যকে ধ্বংস করে সিআরবিতে হাসপাতাল চাইনা,সংবাদ সম্মেলনে নাগরিক সমাজ-চট্টগ্রাম।
সরকারী-বেসরকারী অংশীদারিত্বে (পিপিপি) হাসপাতাল ও মেডিকেল কলেজ নির্মাণ প্রকল্প সিআৱৰি থেকে সরিয়ে চট্টগ্রাম রেলওয়ের অন্য কোন জায়গায় স্থানান্তরের দাবিতে নাগরিক সমাজ, চট্টগ্রামের পক্ষে আজকের সংবাদ সম্মেলন।
সম্মানিত সাংবাদিকবৃন্দ,
আসসালামু আলাইকুম/আদাব মুজিববর্ষের শুভেচ্ছা গ্রহণ করবেন। আজকের এই সংবাদ
সম্মেলনে আপনাদের স্বাগত জানাই। প্রথমে নাগরিক সমাজ, চট্টগ্রামের পক্ষ থেকে আমরা চট্টগ্রাম
তথা দেশের সাংবাদিক সামজকে ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানাতে চাই, সিআরবি রক্ষার আন্দোলনের
শুরু থেকে আপনারা পাশে ছিলেন বলেই আমাদের আন্দোলন উত্তরোত্তর বেগবান হয়েছে। আপনাদের
মাধ্যমে চট্টগ্রামের আপামর মানুষ সিআরবি রক্ষার আন্দোলনে শরীক হয়েছে। এই কৃতিত্ব আপনাদের।
প্রিয় সাংবাদিক বন্ধুগণ,
চট্টগ্রাম মহানগরীর হৃদপিন্ডে অবস্থিত, হাজার বছরের বৃক্ষরাজী শোভিত,
ছোটবড় টিলা পাহাড় নিয়ে প্রকৃতির অপরূপ সৌন্দর্য্য ধারণ করে দাঁড়িয়ে আছে সি.আর.বি।
চট্টগ্রাম শহরে সি.আর.বির মত অপর কোন উন্মুক্ত স্থান নেই, যেখানে গিয়ে নগরবাসী বুকভরে
শ্বাস নিতে পারেন। পাহাড় ও প্রাচীন বৃক্ষবেষ্টিত সি.আর.বিকে চট্টগ্রামবাসী শ্বাস দেয়ার
উন্মুক্ত সবুজ স্থান হিসেবে চিহ্নিত করে চট্টগ্রামের ফুসফুস হিসেবে আখ্যায়িত করেছেন।
এখানে প্রতিবছর পহেলা বৈশাখের সার্বজনীন অনুষ্ঠানে সর্বস্থরের মানুষের মিলনমেলায় পরিণত
হয়। তাছাড়া এখানে উদযাপিত হয় চট্টগ্রামের ঐতিহ্যবাহী শাহাবুদ্দিনের বলীখেলা: ২৬
মার্চ মহান স্বাধীনতা দিবসে স্বাধীনতাপ্রেমী মানুষ জড়ো হয়ে স্বাধীনতা রক্ষার আন্দোলনে
একাত্বতা ঘোষণা করে এবং ১৬ ডিসেম্বর সি.আর.বিতে এসে বিজয়ের জয়গান গেয়ে ৩০ লক্ষ শহীদ,
২ লক্ষ সম্ভ্রম হারানো মা-বোনকে হৃদয় নিংড়ানো সম্মান প্রদর্শনের মাধ্যমে স্মরণ করে।
প্রকৃতির । উদযাপিত হয় বসন্ত উৎসব। তাছাড়া রবীন্দ্র-নজরুল জয়ন্তীও এখানে অনুষ্ঠিত
হয়। প্রমা বোধন আবৃত্তি পরিষদসহ অন্যান্য সাংস্কৃতিক সংগঠনের বিভিন্ন সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানগুলো
প্রায় প্রতিদিন সি.আর.বিকে অনুষ্ঠানের মাধ্যমে সংস্কৃতি চর্চাকেন্দ্র হিসেবে গড়ে
তুলেছে। এসব অনুষ্ঠানে অগণিত মানুষ স্বপরিবারে উপস্থিত হয়ে অনুষ্ঠান উপভোগ করে। তাই
কালের পরিক্রমায় সি.আর.বি হয়ে উঠে আবহমান বাঙালী সংস্কৃতিচর্চার প্রাণকেন্দ্র।
বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা ইফেটিভ ক্রিয়েশন অন হিউম্যান অফিনিয়নের (ইকো)
উদ্যোগে পরিচালিত গবেষণায় সিআরবিতে ১৯৭টি উদ্ভিদ প্রজাতি পাওয়া গেছে। এর মধ্যে বড়গাছ
৭৪ প্রজাতির ও মাঝারিগাছ ৩৭ প্রজাতির, গুল্ম প্রজাতি ৬৭টি এবং লতা জাতীয় উদ্ভিদ ১৪
প্রজাতির বিপন্নপ্রায় ৯টি প্রজাতির গাছও আছে। এখানে বেসরকারী উন্নয়ন সংস্থা (ইকো),
ভেনম রিসার্চ সেন্টার বাংলাদেশ, চিটাগাং বার্ডস ক্লাব, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের
কয়েকটি গবেষণাগারসহ বিভিন্ন গবেষণা প্রতিষ্ঠান গবেষণার স্থান হিসাবে চিহ্নিত প্রাকৃতিক
গবেষণাগার।
সিআরবিতে ঔষধি গাছ মস, টোনা, অর্জুন, লজ্জাবতী, আপাং, নিশিন্দা, টগর,
সঞ্জিনা, দেবকাঞ্চন ও মাটিসুন্দার, বিলুপ্তপ্রায় দুধকুরুস, বাঁকা গুল, সোনাতলা, গুলঞ্চ,
সর্পগন্ধা, বকুল, পিতরাজ, দুরুষ-এর দেখা মিলেছে। সিআরবির বৃক্ষরাজি সংরক্ষণ করা না
হলে ভবিষ্যতে অনেক প্রজাতি বিলুপ্ত হয়ে যাবে। শতবর্ষী রেইনট্রিগুলোতে অনেক ধরনের পরগাছা,
যেমন- ছত্রাক, শৈবাল, অর্কিড ও পরজীবীর বসবাস। এসব প্রজাতির সংখ্যা দেড়শতাধিক হবে।
এছাড়া সিআরবি ব্যাঙ, বহুবিধ সাপ ও বিভিন্ন পাখ-পাখালির অভয়রণ্য। এখানে হাসপাতাল নির্মাণের
প্রকল্প বাস্তবায়িত হলে, তা হবে দেশের পবিত্র সংবিধান ও পরিবেশ আইন বিরোধী আত্মঘাতী
সিদ্ধান্ত। ফলে উল্লেখিত জীববৈচিত্র হুমকির মুখে পড়বে।
মানুষের চেতনা, নতুন প্রজনের দৃষ্টিভঙ্গি উপেক্ষা করে, প্রাকৃতিক সৌন্দর্য
নষ্ট করে কোনো উন্নয়ন হতে পারে না। সিআরবি আমাদের শৈশবের স্মৃতিধন্য বিচরণক্ষেত্র।
সিআরবি রক্ষা করতে হবে চট্টগ্রামের স্বার্থে। ব্রিটিশ বিরোধী আন্দোলনের স্মৃতিধন্য
সিআৱৰি। ১৯৭১ এ স্বাধীনতা যুদ্ধে বহু মানুষ শহীদ হয়েছেন এখানে। শহীদের সমাধির উপর
রক্তাক্ত স্বাধীনতার ইতিহাস গ্লান করতে ষড়যন্ত্র শুরু হয়েছে। আমরা মনে করি, সুকৌশলে
চট্টগ্রামের হৃৎপিন্ড
হাসপাতাল নির্মাণের নির্ধারিত স্থানেই তিনশ শতবর্ষী গাছ আছে। প্রস্তাবিত
স্থানটিতে রয়েছে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র সংসদের প্রথম নির্বাচিত সাধারণ সম্পাদক,
বীর মুক্তিযোদ্ধা শহীদ আব্দুর রব, শহীদ শেখ নজির আহাম্মদ, শহীদ এম. এ. মনোয়ার হোসেন,
বিমল সিং, ফখরুল আলম, মোঃ সিরাজউদ্দিন, আলী নূর চৌধুরী, মহিউদ্দিন, নুরন্নবী চৌধুরী
ও গঙ্গারামের স্মৃতিস্তম্ভ। শহীদ আবদুর রবের পৈত্রিক বাসস্থান এখানে সে বাসা থেকে তিনি
যুদ্ধে যান। যুদ্ধের ইতিহাস মুছে দিতে এখানে বাণিজ্যিক হাসপাতাল হতে পারে না।
উল্লেখিত পরিবেশ ও প্রতিবেশগত কারণে চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ ডিটেইলড
এরিয়া প্ল্যান, ২০০৮ সালের ডিসেম্বর মাসে প্রজ্ঞাপন জারী করে, যাতে বাংলাদেশের মহামান্য
রাষ্ট্রপতি সম্মতি প্রদান করলে ২৫ জানুয়ারী, ২০০৯ সালে তা গেজেট আকারে প্রকাশিত হয়।
উক্ত ডিটেইলড এরিয়া প্ল্যানের জোন-৩ এর ৮৩ সংস্কৃতিচর্চার প্রাণকেন্দ্র ও চট্টগ্রামের
ফুসফুস খ্যাত সি.আর.বিকে কালচার এণ্ড হেরিটেজ ঘোষণা করা হয় এবং সেটা রক্ষার জন্য ৮টি
নির্দেশিকা প্রদান করা হয়। কালচার এণ্ড হেরিটেজ এর ৮টি নির্দেশিকা বাস্তবায়নকারী
হিসেবে বাংলাদেশ রেলওয়ে, চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ ও অন্যান্য সংশ্লিষ্ট সরকারি
সংস্থার উপর দায়িত্ব প্রদান করা হয়। সিআরবিকে প্রোটেকটেড এরিয়া হিসেবে সংরক্ষণের
নির্দেশ দেয়া হয়। ডিটেইলড এরিয়া প্ল্যানে এটি সংরক্ষণের জন্য রেলওয়ে, চউক, সিটি
কর্পোরেশনসহ
সেবাদানকারী সংস্থাকে নির্দেশ দেয়া হয়েছে। সিআরবিতে বেসরকারী ব্যবস্থাপনায়
বাণিজ্যিক স্থাপনা নির্মান সংবিধান পরিপছি। আশা করি, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী প্রকৃত
বিষয়টি অবহিত হলে জনস্বার্থ বিরোধী এই প্রকল্প চট্টগ্রামে রেলওয়ের অন্য কোন জায়গায়
স্থানান্তরের নির্দেশ দিবেন।
ইতোমধ্যে কালচার এও হেরিটেজ ঘোষিত সি.আর.বি.তে খননকার্য শুরু করা হয়েছে,
যেটি প্রচলিত আইনের পরিপন্থী: যা মহানগরী, বিভাগসহ ও জেলা শহরের পৌর এলাকাসহ দেশের
সকল পৌর এলাকার খেলার মাঠ, উন্মুক্ত স্থান, উদ্যান এবং প্রাকৃতিক জলাধার সংরক্ষণ আইন,
২০০০ এর ধারা ২(খ), ২(গ), ২(), ৩, ৫, ১১ এবং বাংলাদেশ পরিবেশ সংরক্ষণ আইন, ১৯৯৫ এর
ধারা ২(১৮), ৬(খ) ৮(১) যারা স্পষ্টত বারিত। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য যে, সি. আর.বি এলাকাটি
দ্যা প্রটেকশন অব দ্যা ওয়ার্ল্ড কালচারাল এণ্ড ন্যাচারাল হেরিটেজ কনভেনশন, ১৯৭২ অনুযায়ী
আর্ন্তজাতিকভাবে সংরক্ষিত এলাকার অধিভুক্ত। এছাড়া সিআরবি এলাকাটি দ্যা এন্টিক্যুইটি
এই, ১৯৬৮ (পুরাকীর্তি আইন) এর বিধান অনুযায়ী বিশেষায়িত এলাকা।।
রেলওয়ে ভূ-সম্পত্তি ব্যবস্থাপনা নীতিমালা, ২০০৬ বলবৎ থাকাবস্থায় বিগত
২০/১২/২০১৭ তারিখ বাংলাদেশ রেলওয়ে টেন্ডার আহবান করে এবং ১৮ মার্চ, ২০২০ সালে পিপিপি
চুক্তি সম্পাদন করে, সেপ্টেম্বর, ২০২০ সালে নতুনভাবে (রেলওয়ে ভূ-সম্পত্তি ব্যবস্থাপনা
নীতিমালা, ২০০৬ বাতিল করে রেলওয়ে ভূ-সম্পত্তি ব্যবস্থাপনা নীতিমালা প্রণয়ন করেন।
অতীব দুঃখের বিষয় যে, বাংলাদেশ রেলওয়ের পক্ষে (২০/১২/২০১৭ তারিখে সরকারী-বেসরকারী
অংশীদারিত্বের (পিপিপি) ভিত্তিতে একটি হাসপাতাল ও কলেজ নির্মাণের জন্য Invitation
for Bit (IFB) নোটিশ প্রচার করা হয়। সেখানে উল্লেখ করা হয় যে, হাসপাতালটি চট্টগ্রাম
রেলওয়ের যে কোন জায়গায় প্রতিষ্ঠিত হবে, যেখানে সুনির্দিষ্ট কোন জায়গার উল্লেখ নাই।
পরবর্তীতে তথ্য-উপাত্ত গোপন করে ১৮/০৩/২০২০ তারিখে হাসপাতাল নির্মাণের জন্য ইউনাইটেড
ন্টারপ্রাইজ এ0 কোম্পানী লিমিটেড এর সাথে বাংলাদেশ রেলওয়ে চুক্তিবদ্ধ হলে সেখানে ২০০৯
সালে চট্টগ্রাম ডিটেলইড এরিয়া প্ল্যানের জোন-৩ এর ৮এ কালচার এণ্ড হেরিটেজ ঘোষিত সি.আর.বি.কে
হাসপাতাল নির্মাণের নির্ধারিত স্থান হিসেবে বেআইনীভাবে চিহ্নিত করা হয়। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য
যে, টেন্ডারে স্থান হিসেবে সি.আর.বি. উল্লেখ ছিল না। সি.আর. বি.কে হাসপাতাল নির্ম হিসাবে
অর্ন্তভুক্ত করায় চট্টগ্রামবাসী মর্মাহত ও সংক্ষুব্ধ। চট্টগ্রামের সর্বস্তরের মানুষ
সিআরবিতে হাসপাতাল নির্মাণ বিরোধী আন্দোলনের সাথে একাত্মতা ঘোষণা করছেন।
আমরা সবাই জানি, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী অদম্য নেত্রী। তিনি চট্টগ্রাম
নিয়ে ভাবেন। নিশ্চয় তাঁর কাছে এতদিনে এ বার্তা পৌঁছে গেছে। মাননীয় প্রধানমন্ত্রীকে
অনেক কিছু জানানো হয়নি। মাননীয় প্রধানমন্ত্রীকে সঠিক তথ্য জানানো হলে, তিনি এ প্রকল্পের
স্থান চট্টগ্রামে রেলওয়ের অন্য কোন জায়গায় সরিয়ে নেওয়ার নির্দেশ দিবেন বলে আমরা
বিশ্বাস করি।
ইতিমধ্যে আমরা চট্টগ্রামের মাননীয় জেলা প্রশাসক এর মাধ্যমে প্রস্তাবিত
হাসপাতাল সিআরবি থেকে সরিয়ে রেলওয়ের অন্য জায়গায় স্থানান্তর করার জন্য মাননীয়
প্রধানমন্ত্রীর বরাবরে আবেদন করেছি। এছাড়াও মাননীয় মেয়র, চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন,
চেয়ারম্যান, চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষসহ সংশ্লিষ্ট সকল কর্তৃপক্ষকে কালচার এণ্ড
হেরিটেজ ঘোষিত সিআরবিকে রক্ষার জন্য স্মারকলিপি প্রদানের মাধ্যমে অবহিত করেছি।
মানুষের বৃদ্ধি কেবল দৈহিক নয়, আত্মিকও। মানুষকে তা সৃষ্টি করে নিতে
হয়, তা তৈরী পাওয়া যায় না। বৃক্ষের অংকুরিত হওয়া থেকে ফলবান হওয়া পর্যন্ত সেখানে
কেবলই বৃদ্ধির ইতিহাস, বৃক্ষের পানে থাকিয়ে তাই আমরা লাভবান হতে পারি, জীবনের পুরম
অর্থ সম্বন্ধে সচেতন হতে পারি, বৃক্ষ যে কেবল বৃদ্ধির ইশারা তা নয়, প্রশান্তিরও
জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সুযোগ্য তনয়া, গণতন্ত্রের
মানস কন্যা বাংলাদেশের উন্নয়নের নেত্রী, পরিবেশ ও জলবায়ু ভারসাম্য রক্ষার আন্দোলনে
বিশ্বময় প্রশংসিত নেত্রী, বিশ্বনেত্রী, চট্টল দরদী, বাংলাদেশের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী
জননেন্ত্রী শেখ হাসিনা সমীপে কালচার এ0 হেরিটেজ ঘোষিত পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষাকারী
পাহাড়-টিলা ও হাজার বছরের বৃদ্ধরাজি শোষিত চট্টগ্রামবাসীর শ্বাস নেয়ার উন্মুক্ত সবুজ
স্থান, সংস্কৃতিচর্চার প্রাণকেন্দ্র, চট্টগ্রামের ফুসফুস খ্যাপ্ত সি.আর.বি.তে সংবিধান
পরিপন্থী কোন স্থাপনা তথা প্রস্তাবিত হাসপাতাল ও কলেজ নির্মাণের প্রকল্প চট্টগ্রামে
রেলওয়ের অন্য কোন জায়গায় স্থানান্তর করার জন্য আপনাদের মাধ্যমে চট্টগ্রামবাসীর পক্ষে
আকুল আবেদন জানাচ্ছি।
সম্মানিত সাংবাদিকবৃন্দ, এতক্ষণ ধৈর্য্য সহকারে আমাদের বক্তব্য শোনার
জন্য আপনাদের আন্তরিক ধন্যবাদ জানাচ্ছি। আপনারা চট্টগ্রামের ফুসফুস খ্যাত সিআরবি রক্ষার
আন্দোলনে সোচ্চার থাকবেন-এ আশাবাদ ব্যক্ত করছি। জয়-বাংলা - বাংলাদেশ চিরজীবী হউক।
কোন মন্তব্য নেই
please do not enter any spam link in the comment box.