Header Ads



মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল

মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল
মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল


ব্যারিস্টার মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল

 জন্ম

১৯৮৩ সালের ২৬ জুন চট্টগ্রামে জন্মগ্রহণ করেন মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল।

মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল হলেন বাংলাদেশের একজন প্রখ্যাত রাজনীতিবিদ ও ২৮৬ নং (চট্টগ্রাম-৯) আসন থেকে নির্বাচিত জাতীয় সংসদ সদস্য। তিনি ২০১৮ সালের ৩০ ডিসেম্বর তারিখে অনুষ্ঠিত একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে একজন “সংসদ সদস্য” হিসাবে নির্বাচিত হন। সংবিধান অনুযায়ী দশম জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর কাছে ৩ জানুয়ারী ২০১৯ তারিখে একাদশ সংসদের সংসদ সদস্য হিসেবে তিনি শপথবাক্য পাঠ করেন।মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল বাংলাদেশের শিক্ষা উপমন্ত্রী।

লন্ডন স্কুল অব ইকনোমিক্স থেকে স্নাতক করা মহিবুল পরে লন্ডন থেকে ব্যারিস্টারি সম্পূর্ণ করেন।

চট্টগ্রামের সাবেক মেয়র এবং চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের দীর্ঘদিনের সভাপতি প্রয়াত এ বি এম মহিউদ্দিন চৌধুরীর বড় ছেলে তিনি। রাজনৈতিক যাত্রাও শুরু হয় চট্টগ্রাম মহানগর থেকে। যদিও ১/১১ সময়কালীন লন্ডনে অবস্থানরত বিদেশী আইনজীবী ও অর্থনীতিবীদদের একত্রিত করে শেখ হাসিনা মুক্তি আন্দোলনের মাধ্যমে দেশের বাইরে জনমত তৈরীর ভূমিকা রেখেছেন রাজনৈতিক পরিবারে বেড়ে উঠা নওফেল। ২০১০ সালে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে বাবার পক্ষে কাজ করে আলোচনায় আসেন তিনি। ২০১৪ সালে ৭১ সদস্যের নগর কমিটির নির্বাহী সদস্য করা হয় নওফেলকে। যুক্ত ছিলেন যুব লীগের রাজনীতির সাথে।।

রাজনীতির বাইরেও ঢাকা বারের আইনজীবী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিরও সদস্য এবং বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেল বিজয় টিভির ব্যবস্থাপনা পরিচালকের দায়িত্বেও রয়েছেন।

মহিবুল হাসান চৌধুরী মুক্তিযুদ্ধের বিজয় মেলা কমিটি  চেয়ারম্যান  ও খাজা আজমেরী উচ্চ বিদ্যালয়ের সভাপতির দায়িত্বও তাকে দেয়া হয়েছে।  এছাড়া তাকে হযরত গরীবুল্লাহ শাহ মাজারের প্রধান মোতোয়াল্লীর দায়িত্ব দিয়েছে মাজার পরিচালনা কমিটি। মোতোয়াল্লীর দায়িত্ব পড়েছে চকবাজারস্থ নবাব ওয়ালিবেগ খাঁ জামে মসজিদেরও। প্রিমিয়ার বিশ্¦বিদ্যালয়ের উদ্যোক্তা এবিএম মহিউদ্দীন চৌধুরী যে ট্রাস্টি বোর্ড গঠন করেছিলেন তার সদস্য হিসেবে দেখাশোনা করছেন প্রিমিয়ার বিশ্ববিদ্যালয়েরও।

মাত্র ৩৩ বছর বয়সে আওয়ামী লীগের মতো ঐতিহ্যবাহী রাজনৈতিক সংগঠনের সাংগঠনিক সম্পাদকের দায়িত্ব দেওয়া হয় মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেলকে। সেই দায়িত্ব যোগ্যতা, মেধা এবং নিজের রাজনৈতিক প্রজ্ঞা দিয়ে পালন করছেন তিনি। বক্তব্যে যেমন অনলবর্ষী, টকশোতে যুক্তির মহারাজ মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল। ২০১০ সালে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে বাবার পক্ষে কাজ করে আলোচনায় আসেন তিনি।

মহিউদ্দিন চৌধুরী দীর্ঘ ১৬ বছর চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের দায়িত্ব পালনকালে বাবাকে নানা উন্নয়ন কাজে পেছন থেকে পরামর্শকের ভুমিকা পালন করেছে তিনি। দলে দায়িত্ব পাওয়ার পর থেকে দলীয় গুরুত্বপূর্ণ জাতীয় এবং আন্তর্জাতিক সভা, সেমিনার, দলীয় সফরে প্রতিনিধিত্ব করছেন চট্টগ্রামের তরুণদের প্রতিনিধি নওফেল। শেখ হাসিনার দেয়া দলের গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব যেমন পালন করছেন তেমনি উন্নয়ন কাজে পরামর্শকের ভুমিকা পালন করছে তরুণ এই নেতা।

রাজনীতির বাইরেও ঢাকা বারের আইনজীবী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিরও সদস্য এবং বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেল বিজয় টিভির ব্যবস্থাপনা পরিচালকের দায়িত্বেও রয়েছেন।

করোনা যুদ্ধে চট্টলবীরের সূর্যসন্তান নওফেলের অবিরাম ছুটে চলা ছিলো যেন একটি রুটিন। একটু সময় পেলে নিজের ওপর অর্পিত দায়িত্ব পালন শেষ করে ছুটে আসেন নিজের প্রিয় শহর চট্টগ্রামে। চট্টগ্রামে এসে তিনি ঘরে ফেরেন না, ছুটে যান মানুষের কাছে। তাঁর জন্মদাতা বাবাও এমন ছিলেন। মানুষের বিপদে আপদে ঝাপিয়ে পড়তেন। কাউকে অনুকরণ কিংবা অনুসরণ নয়, তার প্রতিটি পদক্ষেপই যেন মানবতার কল্যানে বিলিয়ে দিয়েছেন। করোনায় সারাদেশ যখন কার্যত লকডাউন, তখন তার দায়িত্ব যেনো আরো বেড়ে গেছে। দেখা গেছে, বিশ্ব মহামারি করোনাযুদ্ধে মানুষ যখন খাবারের জন্য রাস্তায় বেরিয়ে আসছে, তখন তাদের পাশে দাঁড়াচ্ছেন।

শুধু তা-ই নয়, করোনা আক্রান্ত রোগীদের হাসপাতালে পৌঁছানোর ব্যবস্থা, চিকিৎসা নিশ্চিত করা, লকডাউনে থাকা বাড়িতে নিত্য প্রয়োজনীয় সামগ্রী পৌঁছে দেওয়াসহ নানা মানবিক কাজে চট্টগ্রাম মহানগরীতে সবার আগে দেখা যায় তাকে। করোনায় ঝুঁকি আছে জেনেও নওফেল থেমে থাকেননি। মানবতার বার্তা নিয়ে হাজির হচ্ছেন মানুষের সামনে। ছুটে যাচ্ছেন ঘরে ঘরে।

কার্যত লকডাউনের মধ্যেই মানুষের বাসায় চিকিৎসা সামগ্রী ও খাবার পৌঁছে দিচ্ছেন তিনি। নিজস্ব অর্থায়নে অনেকটা গোপনে গরীব ও অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছেন। করোনার এই ভয়াল পরিস্থিতিতে দিন নেই- রাত নেই হরদম ছুটছেন তিনি। খোঁজ রাখছেন চট্টগ্রাম মহানগরীর ৪১ ওয়ার্ডে কষ্টে থাকা মানুষের হাড়ির খবরের। যার উনুনে জ্বলছে না আগুন, যার ঘরে নাই দু’মুটো চাল-ডাল, দাঁড়াচ্ছেন তাদের পাশে। বাড়িয়ে দিচ্ছেন সহায়তার হাত।

নওফেল চট্টগ্রাম ভেটেরিনারি ও এনিম্যাল সাইন্সেস বিশ্ববিদ্যালয়ে (সিভাসু)’তে করোনাভাইরাস শনাক্তকরণ কাজ চালু করতে ওতোপ্রোতো ভাবে জড়িত ছিলেন। এছাড়াও সীতাকুণ্ডে চট্টগ্রাম ফিল্ড হাসপাতালে আইসিইউ বেডের জন্য এক লাখ ৪০ হাজার টাকা, চট্টগ্রামে করোনা চিকিৎসায় বিশেষায়িত আন্দরকিল্লা জেনারেল হাসপাতালের চতুর্থ শ্রেণীর কর্মচারীদের জন্য ৩ লাখ টাকা অনুদান করেন তিনি। বেসরকারী উদ্যোগে নির্মিত হতে যাওয়া ১০০ শয্যার ‘করোনা আইসোলেশন সেন্টার চট্টগ্রাম’ পরিদর্শন করে সেখানে ৩ লাখ টাকা আর্থিক অনুদান প্রদান করেন

বলুয়ার দিঘীর অভয় মিত্র মহাশ্মশানে মৃতদেহ সৎকার কাজে নিয়োজিত ব্যক্তিদেরও পিপিই উপহার ও হলি ক্রিসেন্ট হাসপাতালের জন্য অক্সিজেনের ব্যবস্থা করে দিয়েছেন তিনি।

শিক্ষা উপমন্ত্রী নওফেল মধ্যবিত্ত পরিবারের পাশে দাঁড়াতে চালু করেছেন ‘জরুরি সেবা’। যেখানে পরিচয় গোপন রেখে মধ্যবিত্ত পরিবারের সদস্যরা প্রয়োজনে জরুরি সেবা গ্রহণ করছেন। নওফেলের এমন উদারতা দেখে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে কেউ তাকে ‘করোনা বীর’, কেউ তাকে ‘মানবতার ফেরিওয়ালা’ আবার কখনো ‘চট্টলবীরের সূর্যসন্তান’ হিসাবে আখ্যা দিয়ে স্ট্যাটাস দিতেও দেখা গেছে।

মন্ত্রনালয়ের দাপ্তরিক কাজ শেষ করে যতক্ষণ সময় পান ততক্ষণেই ছুটে আসেন প্রানের শহর চট্টগ্রামে। এখানে এসেই তিনি হাসপাতালে হাসপাতালে ছুটে যান করোনা মোকাবেলার বিভিন্ন উপকরণ নিয়ে।

চট্টগ্রামবাসী মনে করেন, বাংলাদেশের প্রতিটি ক্ষেত্রে মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল মতো মানুষ খুব প্রয়োজন। জাতীয় দুর্যোগে তার মতো মানুষই দিশা হয়ে দাঁড়াবেন।

 

কোন মন্তব্য নেই

please do not enter any spam link in the comment box.

merrymoonmary থেকে নেওয়া থিমের ছবিগুলি. Blogger দ্বারা পরিচালিত.