সাবেক সফল মেয়র চট্টলবীর আলহাজ্ব এ বি এম মহিউদ্দিন চৌধুরী।
![]() |
আলহাজ্ব এ বি এম মহিউদ্দিন চৌধুরী |
চট্টলবীর আলহাজ্ব এ বি এম মহিউদ্দিন চৌধুরী পরপর তিনবার চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের মেয়ার নির্বাচিত হন।
১৯৯৪ সালে সিটি কর্পোরেশনের নির্বাচনে চট্টলবীর আলহাজ্ব এ বি এম মহিউদ্দিন চৌধুরী নাগরিক কমিটির প্রার্থী হিসাবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন এবং বিপুল ভোটে নির্বাচিত হন।মেয়রের দায়িত্বভার গ্রহন করার পর তিনি সিটি কর্পোরেশনের কার্যক্রম ঢেলে সাজানোর লক্ষ্যে স্বল্প ও দীর্ঘমেয়াদী পরিকল্পনা গ্রহণ করেন। তিনি অনুধাবন করেন যে, শিক্ষাই উন্নয়নের পূর্বশর্ত তাই কর্পোরেশনের শিক্ষা ব্যবস্থার উন্নয়নে তিনি যুগান্তকারী পরিকল্পনা গ্রহণ করে তা বাস্তবায়ন করেন।
মেয়র হিসাবে তাঁর উন্নয়ন ও জনকল্যাণমূলক কাজের সংক্ষিপ্ত বিবরণ :
শিক্ষা ক্ষেত্রে তার ঐকান্তিক সদিচ্ছা ও আন্তরিকতার ফল হিসাবে বর্তমানে কর্পোরেশন শিক্ষা বিভাগের আওতায় ৪৪টি বিদ্যালয়, ১৩টি কলেজ, ৬টি কিন্ডার গার্টেন, ৪টি নৈশ গণশিক্ষা কেন্দ্র, ৪১০টি ফোরকানিয়া মাদ্রাসা, ৭টি সংস্কৃতি টোল, ১টি কম্পিউটার ইনষ্টিটিউট ৫টি কম্পিউটার কলেজ, ১টি মিডওয়াইফারি প্রতিষ্ঠান পরিচালনা করে আসছে। এছাড়াও প্রিমিয়ার বিশ্ববিদ্যালয় নামে একটি আন্তর্জাতিক মানের বিশ্ববিদ্যালয়ও স্থাপন করেন। তিনি নগরীর শিক্ষা ব্যবস্থায় অভূতপূর্ব উন্নতি সাধন করেছেন। চট্টগ্রামে সুস্থ ধারার নাট্য ও সংস্কৃতি চর্চাকে প্রণোদিত করার লক্ষ্যে তিনি চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের উদ্যোগে থিয়েটার ইনস্টিটিউট প্রতিষ্ঠা করেন।আলহাজ্ব এ বি এম মহিউদ্দিন চৌধুরী কর্পোরেশনের স্বাস্থ্য ক্ষেত্রেও বিরাট সাফল্য অর্জন করেন।
মেমন মাতৃসদন হাসপাতালকে আধুনিক ও উন্নয়নের করে ১০০ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতালে রূপান্তরের উদ্যোগ নেন। আধুনিক যন্ত্রপাতি ও ব্যবস্থাপনার কারণে বর্তমানে যা সবার সুনাম অর্জনে সক্ষম হয়েছে। এছাড়া তিনি মা ও শিশু স্বাস্থ্য সেবার মানউন্নয়নে আরো ৫টি মাতৃসদন হাসপাতাল নির্মাণ করেন। এগুলো হচ্ছে: উত্তর কাট্টলী সিটি কর্পোশেন মোস্তফা হাকিম মাতৃসদন হাসপাতাল, বন্দরটিলা সিটি কর্পোরেশন মাতৃসদন হাসপাতাল, হাজী ওয়াইজ খাতুন মাতৃসদন হাসপাতাল, দক্ষিণ বাকলিয়া নূরুল ইসলাম বিএসসি মাতৃসদন হাসপাতাল। এছাড়াও তিনি ডা. জাকির হোসেন হোমিও কলেজকে সিটি কর্পোরেশনের অন্তর্ভুক্ত করে উক্ত উক্ত কলেজকে আধুনিক কলেজ ও হাসপাতালে রূপান্তর করেন। গরিব জনসাধারণের জন্য তিনি ৬টি ওয়ার্ডে ৬টি হোমিওপ্যাথিক দাতব্য চিকিৎসালয় স্থাপনা করেন। সমাজের জনকল্যাণকামী সম্মানিত ব্যক্তিবর্গের দানকরা জমিতে প্রতিটি ওয়ার্ডে সিটি কর্পোরেশনের অধীনে আরবান স্বাস্থ্যকেন্দ্র প্রতিষ্ঠা করেন।
মরদেহ সংরক্ষণ ও পরিবহনের জন্য ৬টি আধুনিক শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত পরিবহন চালু। জরুরি ভিত্তিতে বিশুদ্ধ খাবার পানি সরবরাহের জন্য পানির ভ্যান গাড়ি চালু। মেয়র বৃত্তি প্রধান ও মেয়র গোল্ডকাপ টুর্নামেন্ট চালু। ব্যবসা-বাণিজ্য সম্প্রসারণ ও উন্নয়নের লক্ষ্যে নগরীতে বেশ কয়েকটি বহুতল বিশিষ্ট আধুনিক মার্কেট নির্মাণ করেন। মুসলমানদের হজ্ব পালনের জন্য মেয়র হজ্ব কাফেলা গঠন ও হজ্বে প্রেরণ। হিন্দু-বৌদ্ধ সম্প্রদায়ের জন্য তীর্থ দর্শণ সেবা কমিট গঠন ও তীর্থ দর্শনে প্রেরণ। বাটালী হিলে বিজয়স্তম্ভ নির্মাণ। বিদ্যুৎ সংকট নিরসনে বিদ্যুৎ কেন্দ্র স্থাপনের উদ্যোগ। আধুনিক শৈলীতে সিটি গেট নির্মাণ। লালদিঘি ও শেখ ফরিদ চমশা মসজিদের উন্নয়ন। লালদিঘিকে ঘিরে আধুনিক পার্ক বিনোদন স্পট তৈরি। আগ্রাবাদ সংযোগ সড়ক নির্মাণ। জাকির হোসেন রোডের উন্নয়ন ও সম্প্রসারণ। আর্থিক সাশ্রয়ের লক্ষ্যে নিজস্ব পেট্রোল পাম্প স্থাপন। কেন্দ্রীয় কবরস্থানের উন্নয়ন। নগরীর গুরুত্বপূর্ণ স্থানে যাত্রী ছাউনি নির্মাণ। বিপ্লব উদ্যানে বাংলার বিজয় নামে স্মারক ভাস্কর্য স্থাপন। অভয়মিত্র শ্মশানে গ্যাস চুল্লি স্থাপন।
নগরীর বহু সড়কে আলোকায়ন ও নগর আলোকায়নে উন্নত প্রযুক্তি এবং পরিকল্পনা বাস্তবায়ন। দুস্থ মহিলাদের কর্মসংস্থানের লক্ষ্যে মহিলা কমিশনারদের তত্ত্বাবধানে কর্ণফুলী প্রকল্প স্থাপন। শিক্ষক প্রশিক্ষণ কেন্দ্র স্থাপন ও একাডেমিক কাউন্সিল গঠন। মহান বিজয়ের মাসে মুক্তিযুদ্ধের বিজয় মেলার আয়োজন। চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবের উন্নয়ন। কর্পোরেশনের বহু জায়গা অবৈধ দখল মুক্ত করা। সিটি কর্পোরেশনের স্কুলগুলোতে গাইড ও স্কাউট চালু এবং ক্যাম্প স্থাপন। আলহাজ্ব এ বি এম মহিউদ্দিন চৌধুরী চট্টগ্রাম মহানগর উন্নয়ন সমন্বয় কমিটির কো-চেয়ারম্যান। বঙ্গবন্ধু দাতব্য চিকিৎসালয়ের প্রতিষ্ঠা, শেখ মুজিব ফাউন্ডেশন ও জহুর হকার মার্কেটের প্রতিষ্ঠাতা,রেড ক্রিসেন্ট সিটি ইউনিটের চেয়ারম্যান।
কোন মন্তব্য নেই
please do not enter any spam link in the comment box.