আওয়ামী লীগের উপদেষ্টামণ্ডলীর সদস্য প্রবীন রাজনীতিবিদ ইসহাক মিয়া।
ইসহাক মিয়া
ইসহাক মিয়ার জন্ম ১৯৩০ সালের ১ মে, উত্তর আগ্রাবাদের হাজীপাড়ায়। তার পিতার নাম জোনাব আলী, মাতার নাম তমিজা খাতুন।
ইসহাক মিয়া ৫৪ সাল থেকেই আওয়ামী লীগে যুক্ত হন, ইসহাক মিয়া ১৯৭০-এর নির্বাচনে গণপরিষদের সদস্য নির্বাচিত হয়েছিলেন।১৯৮৬ সালের নির্বাচনে তখনকার এইচ এম এরশাদ সরকারের প্রভাবশালী মন্ত্রী ব্যারিস্টার সুলতান আহমেদকে পরাজিত করে চট্টগ্রামের বন্দর আসন থেকে সাংসদ নির্বাচিত হয়েছিলেন তিনি। তিনি বঙ্গবন্ধুর ঘনিষ্ঠ সহযোগী ছিলেন। এছাড়া চট্টগ্রামে মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক হিসেবে ভূমিকা রাখেন। আওয়ামী লীগের হয়ে চট্টগ্রামে বিভিন্ন সময়ে গুরুত্বপূর্ণ আন্দোলন সংগঠিত করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখেন ইসহাক মিয়া। দীর্ঘ সময় চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেছেন তিনি।
ইসহাক মিয়ার ১৯৫৩ সালেই বঙ্গবন্ধুর সঙ্গে নিজের প্রথম সাক্ষাতের সুযোগ হয়। মহান ভাষা আন্দোলনের এই কর্মী ছিলেন চট্টল শার্দূল জননেতা এম এ আজিজের ঘনিষ্ঠ সহচর ৫৪-এর যুক্তফ্রন্ট নির্বাচন, ’৫৮-এর সামরিক সরকারবিরোধী আন্দোলন, ’৬২-এর সম্মিলিত বিরোধী দলের আন্দোলন, ’৬৮-৬৯-এর গণআন্দোলন, ’৭০-এর নির্বাচন, ’৭১-এর মুক্তিযুদ্ধ হয়ে ’৭৫-এ বঙ্গবন্ধুর হত্যার প্রতিবাদ, ’৭৯ ও ’৮৬-এর নির্বাচন, ’৯০-এর স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলন, ’৯৬ ও ২০০১-এর নির্বাচন, ২০০৭-এ ওয়ান-ইলেভেনের সময় শেখ হাসিনার পক্ষে প্রকাশ্য অবস্থান নিয়ে জনমত সৃষ্টি ও কারামুক্তি আন্দোলনে ওতপ্রোতভাবে জড়িত ছিলেন এই প্রবীণ নেতা। কারাভোগও করেছেন বার বার।
প্রবীন রাজনীতিবিদ ইসহাক মিয়া ছিলেন চট্টগ্রামের আওয়ামী রাজনীতির অভিভাবক। যিনি দলের সর্বস্তরের নেতা কর্মীদের কাছে একজন আদর্শ ও বিশস্ত নেতা ছিলেন। গণ পরিষদ, সংসদ সদস্য, বন্দর চেয়ারম্যান, আগ্রাবাদ ইউনিয়নের চেয়ারম্যান, আওয়ামী লীগের উপদেষ্ঠাসহ নানা পদ পদবীতে থেকেও ব্যক্তিগত জীবনে তিনি তেমন কোন অর্থবৃত্তের মালিক হননি । মরহুম জননেতা ইসহাক মিয়া ছিলেন জনমানুষের নেতা, মানুষের কল্যাণে যিনি আমৃত্যু সংগ্রাম করেছেন। যার দেশপ্রেম আর মানুষের প্রতি অপরিসীম ভালোবাসা মানুষকে আজও প্রেরণা যোগায়।
২০১৭ সালে ২৪ জুলাই প্রবীন রাজনীতিবিদ জননেতা ইসহাক মিয়া ৮৭ বছর বয়সে মৃত্যু বরণ করেন।
কোন মন্তব্য নেই
please do not enter any spam link in the comment box.