যদি উচিৎ কোন কথা লিখি বা বলি তখন ঐসব ধান্ধাবাজ নেতাদের আঁতের হৃদপিন্ডে ঘা লাগে-রাশেদ হায়দার
আমরা কেউ যদি উচিৎ কোন কথা লিখি বা বলি তখন ঐসব ধান্ধাবাজ নেতাদের আঁতের হৃদপিন্ডে ঘা লাগে। তখন সেসব লীগার ভাইদের দৃষ্টিতে তৃণমূল পোঁড় খাওয়া নেতা, কর্মী, সমর্থকরা হয়ে যান জামাতী সমর্থক।
আমরা যারা অনলাইন অফলাইনে আওয়ামী লীগ নিয়ে গলা ফাটাই আমরা আসলে ছাগলের তিন নাম্বার বাচ্চার মত। কেউ আমাদের দিক ফিরে চাইবে না কোনদিন । কারণ আমরা কোন ইউনিটের নেতাও না কর্মীও না।.
আজ আমি জামাত শিবির কিংবা বিএনপির সহিংসতায় মরে গেলে আমার জন্য কোন আওয়ামী লীগ -ছাত্রলীগ কিংবা কোন অঙ্গ সংগঠন শোক বার্তা পাঠাবে না। আমাকে নিয়ে কোন মিছিল হবে না। দলীয় প্রধান কোন সান্ত্বনা পত্র পাঠাবে না আমার বাসায়। কোন ইউনিটের নেতাকর্মী ও আফসোস করে আমার নাম নিবে না।
আওয়ামী লীগের তৃণমূল নেতা-কর্মী, সমর্থকরা জীবন দিয়ে সকল প্রতিকূলতা, ষড়যন্ত্র মোকাবিলা করে দলকে টিকিয়ে রেখেছে, শক্তিশালী করেছে। আর সে টিকিয়ে রাখা আওয়ামী লীগকে পুঁজি করে তৃণমূল নেতা, কর্মী ও সমর্থকদের ত্যাগে লাথি মেরে নিজেদের আখের গোছাতে ব্যাস্ত কিছু ধান্ধাবাজ লীগার ভাইরা।
এসব ধান্ধাবাজ লীগার ভাইদের রুটি রুজি এখন এ আওয়ামী লীগকে কেন্দ্র করে। তাদের কিন্তু দেখা যায় না মুজিব বা দলের নেত্রী বা দলকে নিয়ে নিজ জ্ঞান থেকে এক কলম কিছু লিখতে সে হউক অনলাইনে বা অফলাইনে। কালে ভদ্রে কারো লিখা শেয়ার করে প্রমান করতে চেষ্টা করেন তিনি বা তেনারা কত বড় খ্যাতা নেতা। তার যথোপযুক্ত কারন অবশ্য প্রমানিত বিদ্যমান, তেনাদের জ্ঞান পরিসর এতোটাই পরিপক্ক যে, ওনারা 'দন্ড' লিখতে গেলে 'ভন্ড' লিখেন, অবশ্য এটা তেনাদের সার্বিক কর্মকান্ডের সাথে যায়।
কিন্তু দলের নিভৃতে থেকে দলকে নিজের নিঃস্বার্থ ভালোবাসা মনে করে আমরা কেউ যদি উচিৎ কোন কথা লিখি বা বলি তখন ঐসব ধান্ধাবাজ নেতাদের আঁতের হৃদপিন্ডে ঘা লাগে। তখন সেসব লীগার ভাইদের দৃষ্টিতে তৃণমূল পোঁড় খাওয়া নেতা, কর্মী, সমর্থকরা হয়ে যান জামাতী সমর্থক। কিন্তু এরাই এ টিকিয়ে রাখা আওয়ামী লীগকে সাইনবোর্ড বানিয়ে নিজের ঘরের বাজার করেন, বাচ্চা কাচ্চাদের স্কুলে ভর্তি ফি ভরান, বউয়ে বিলাশীতা পূরন করান আর এসব পূরন করার জন্য ব্যবসায়ী থেকে শরু করে রাস্তার ভিক্ষুককেও তুলে দিতে হয় তাদের রুজির একটা অংশ এসব ধান্ধাবাজ ভাই লীগারদের হাতে।
জননেত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, শিশুদেরকেও অন্যায়ের প্রতিবাদ করতে হবে, সেখানে শিশু তো দুরের কথা দলের ত্যাগী নেতা, বড়দেরও ক্ষমতা নাই এসব ভাই লীগারদের দাপটে কোন অন্যায়ের প্রতিবাদ করার। কিন্তু হাস্যকর বিষয় হলো এসব দুর্ণিতীবাজ, ধান্ধাবাজ ভাই লীগাররা দলের পদ নিয়ে বিপুল পরাক্রমে সকল অন্যায়ের প্রতিবাদকারীদের দমিয়ে রাখছেন নিজেদের দাপুটে ক্ষমতা দিয়ে।
এই তিতা সত্য কে মেনে আমরা গলা ফাটাই। আমাদের চাওয়া পাওয়ার কিছু নেই। আমাদের এই কার্যক্রম সম্পূর্ণ নিঃস্বার্থ। আমার কোন ইউনিটের নেতা কিংবা কর্মী না হয়েও আওয়ামী লীগ নিয়ে গলা ফাটাই কারণ আমরা শেখ হাসিনা কে নিঃস্বার্থ ভালোবাসি। এই ভালোবাসার কমতি হবে না কোন দিন। কারণ শেখ হাসিনা বঙ্গবন্ধুর আমানত। আমরা বঙ্গবন্ধু কে ভালোবাসি।
কোন মন্তব্য নেই
please do not enter any spam link in the comment box.