Header Ads



জিয়া এরশাদ,ফ্রিডম পার্টির বিরুদ্ধে এরা জীবনের শেষ ধাপের ঝুঁকি নিয়ে লড়াই করতো – হাসান মনসুর

 

জিয়া এরশাদ,ফ্রিডম পার্টির বিরুদ্ধে এরা জীবনের শেষ ধাপের ঝুঁকি নিয়ে লড়াই করতো

বীর মুক্তিযোদ্ধা শফিকুল আহসান শুধু আওয়ামী লীগের নয় দেশের একজন সাহসী সন্তান বীর মুক্তিযোদ্ধা। তার অবদান চট্টগ্রামের আওয়ামিলীগে অনস্বীকার্য।

১৯৭৫ সালে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের হত্যার পর জীবনের ঝুকি নিয়ে - প্রানের মায়া আর পরিবারের সুখ  বিসর্জন দিয়ে এই মানুষগুলো আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে সাহসী ভুমিকা পালন করেছিল। বিত্ত বৈভব সুখ শান্তি পদ পদবী কোনোটাতেই তাদের মোহ ছিলনা। চট্টগ্রামের আওয়ামিলীগের রাজনীতিতে বিপ্লবী ও ড্যাসিং নেতা হিসেবে এরা সবসময় পাদপ্রদীপেই ছিলেন।

মুক্তিযুদ্ধ কালীন সময়ে বাংলাদেশ ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য ছিলেন মাঝখানের জন - বীর মুক্তিযোদ্ধা নইম উদ্দীন চৌধুরী। যদিও পরবর্তীতে তিনি সরকারী চাকরীতে থাকলেও জিয়া, এরশাদ সরকারের রোষানলে পরে চাকুরীতে বারবার নিগৃহীত হন। ১৯৮০ দশকের শুরু থেকেই  নইম উদ্দীন চৌধুরী। শত প্রতিকূলতার মধ্যেও আজ অবধি চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের কোনো না কোনো পদে অলংকৃত হয়ে আছেন।

এতো ঝড়-ঝঞ্ঝা সংগ্রাম এবং পরে ক্ষমতসীন দলের বড় নেতা হয়েও সাধারণ চপ্পলে তিনি এখনো চলাফেরা করেন শহর এলাকার বাসে। পাশে দাঁড়ানো দুজনেই আওয়ামী লীগের রাজনীতির জীবন্ত কিংবদন্তি - যাদের সাহস   আর বঙ্গবন্ধুর প্রতি আদর্শিক ভালেবাসা একসময় ১৯৮০ /৯০ দশকে  চট্টগ্রামের রাজনৈতিক কর্মীদের কাছে ছিল গল্পের নায়কদের মতো।

জিয়া এরসাদ সরকার,ফ্রিডম পার্টির বিরুদ্ধে এরা জীবনের শেষ ধাপের ঝুঁকি নিয়ে লড়াই করতো,  বামে লুঙ্গি পরিহিত বাকলিয়ার ফকির জামাল আর ডানে বীর সাহসী নেতা শফিকুল আহসান ভাই। যাদের সাহস, ত্যাগ, লড়াই আর বিভিন্ন অপারেশনের গল্প -- একসময় এই জনপদে মুজিব আদর্শের নেতাকর্মীদের উজ্জীবিত করতো। আজ প্রিয় শফিকুল আহসান ভাই জীবন মৃত্যুর সন্ধিক্ষণে।

রাজনীতির মেকানিজম করতে গিয়ে,  আদর্শের লড়াইয়ে নিজেকে সঁপে দিয়ে এরা নিজের ক্যারিয়ারের জন্য কোনো জমা রেখে যেতে পারননি।আওয়ামিলীগের দুঃসময়ের অনেক হিরো আজ দলের সুদিনে নীরবেই পৃথিবী থেকে বিদায় নিয়েছেন অবহেলায় বা দলে স্বীকৃতি না পেয়ে।বেঁচে আছেন শফিকুল আহসান, মুক্তিযোদ্ধা ইউনুস, ক্যাপটেন এনামুল হক,  ফকির জামাল,অমল মিত্র,সফর আলীদের মতো গুটিকয়েক। বর্তমান সময়ের সুপারস্টার নেতারা এই ত্যাগী নেতাদের না চেনার কথা নয়।

হাজারো প্রতিবন্ধকতা সত্বেও  তারা  আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে এখনো সক্রিয় থাকলেও -- বাস্তবে  এরা দলে মূল্যায়ন হননি বললেই চলে,সবসময় অবহেলিত। অনেকেই টাকার অভাবে চিকিৎসা ও করাতে পারেননা। বীর মুক্তিযোদ্ধা শফিকুল আহসান শুধু আওয়ামী লীগের নয় দেশের একজন সাহসী সন্তান বীর মুক্তিযোদ্ধা। তার অবদান চট্টগ্রামের আওয়ামিলীগে অনস্বীকার্য।  আজ তিনি মেক্স হাসপাতালে শুয়ে আছেন অচেতন হয়ে। তার সুচিকিৎসার জন্য দাবী জানাই।

তাকে জরুরী ভিত্তিতে ঢাকায় উন্নত চিকিৎসার জন্য পাঠানো প্রয়োজন। শফিকুল আহসান ভাইয়ের অবদান শ্রমের বিপরীতে এটা কোনো চাওয়াও নয়। সরকারের উচিৎ রাষ্ট্রীয়ভাবে এই বীর মুক্তিযোদ্ধার চিকিৎসার দায়িত্ব নেওয়া। মহান আল্লাহ শফিকুল আহসান সহ বীর মুক্তিযোদ্ধা ফকির জামাল ও নইম উদ্দীন চৌধুরীকে সুস্থতা দান করুন-আমিন

হাসান মনসুর – সাঃ সম্পাদক (সাবেক) কোতোয়ালী থানা আওয়ামী লীগ-চট্টগ্রাম মহানগর।

কোন মন্তব্য নেই

please do not enter any spam link in the comment box.

merrymoonmary থেকে নেওয়া থিমের ছবিগুলি. Blogger দ্বারা পরিচালিত.