দেশটারে লুইট্টা পুইট্টা খাইয়া আর কিছু রাখছোস যে ভারতের কাছে বেইচ্যা দুইটা পয়সা পাইমু?শেরে বাংলা
এই লোকগুলো ছয় দফা পেশ করার পর বঙ্গবন্ধুকে ভারতের দালাল ঘোষনা দিয়েছিল।
পিউর জিনিস। স্বাধীন বাংলার আলো বাতাস খাওয়া স্ব-ঘোষিত পাকিস্তানি! তবে আমরা কিভাবে ‘ভারতীয় এজেন্ট’ হলাম এমন প্রশ্ন সামনে আসছে! উত্তরটা ইতিহাস থেকে দেয়া যেতে পারে। যেমন-হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দীকে পাকিস্তানের প্রথম প্রধানমন্ত্রী লিয়াকত আলী খান ‘ভারতের লেলিয়ে দেয়া কুকুর’ গালি দিয়ে বিসমিল্লাহ্ করেছিলেন। খাজা নাজিমুদ্দিন পূর্ব বাংলার মুখ্যমন্ত্রী হয়ে হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দীকে "ভারতীয় এজেন্ট" বলে গালি দেন। তখন থেকে ক্রমাগত বাঙালিদেরকে ‘ভারতীয়’ অপবাদ ও গালি দেওয়াটা একটা রেওয়াজে পরিনত হয়। পাকিস্তানের ২য় গভর্নর জেনারেল থাকাকালে চুয়ান্নর নির্বাচনের সময় খাজা নাজিমুদ্দিন শেরে বাংলা এ কে ফজলুল হককে ‘ভারতের দালাল’ বলে গালি দেয়। তবে শেরে বাংলা এ কে ফজলুল হক দারুন জবাব দিয়ে বলেন ‘চোরার পুত চোরারা, দেশটারে লুইট্টা পুইট্টা খাইয়া আর কিছু রাখছোস যে ভারতের কাছে বেইচ্যা দুইটা পয়সা পাইমু?’
এই লোকগুলো ছয় দফা পেশ করার পর বঙ্গবন্ধুকে ভারতের দালাল ঘোষনা দিয়েছিল। একাত্তরে দেশের মধ্যে যারা স্বাধীনতা বিরোধি এবং পাকিস্তানিদের দালাল ছিল তারাই মুক্তিযোদ্ধাদের ‘ভারতীয় চর’ বলতো- তৎকালিন পত্রিকায়ও তার প্রমান পাবেন। স্বাধীনতার এতও বছর পর এসেও তারা নিজেদের অবস্থান ভুলতে পারেনি। তারা মনে করে, উত্তরাধিকার সূত্রে পশ্চিম পাকিস্তানের নাগরিক এবং ভাগ্যদোষে কেবল তাদের বাংলায় জন্ম হয়েছে।
নুরুল আজিম রনি'র(facebook থেকে)
কোন মন্তব্য নেই
please do not enter any spam link in the comment box.