Header Ads



আজ সুরঞ্জিৎ সেনগুপ্ত'র ৪র্থ মৃত্যু বাষিকী।

সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত বাংলাদেশের প্রথম সাংবিধান পরিষদে বিরোধী বেঞ্চের একজন সক্রিয় সদস্য ছিলেন।

আজ সুরঞ্জিৎ সেনগুপ্ত'র ৪র্থ মৃত্যু বাষিকী।

জন্ম

১৯৪৫ সালের ৫ মে, জল-জোস্নার শহর সুনামগঞ্জ জেলার দিরাই থানার পৌরশহরস্থ আনোয়ারপুর গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন সুরঞ্জিত ।তার পিতার নাম দেবেন্দ্র নাথ সেনগুপ্ত এবং মাতা  সুমতিবালা সেনগুপ্ত৷ দেবেন্দ্রনাথ ঢাকার বিক্রমপুর থেকে সুনামগঞ্জের দিরাইয়ে এসে স্থায়ীভাবে বসবাস শুরু করেন।
সুরঞ্জিত সেনগুপ্তের স্ত্রী ড. জয়া সেন, দিরাই- শাল্লার বর্তমান সংসদ সদস্য । তার একমাত্র  পুত্র সৌমেন  সেনগুপ্ত একজন কম্পিউটার ইঞ্জিনিয়ার,ও পুত্রবধূ রাখী মৈত্রী ভৌমিক পেশায় চিকিৎসক। সুরঞ্জিত সেনগুপ্তের এক নাতি ও একজন নাতনী রয়েছেন।
শিক্ষা
স্থানীয় স্কুল থেকে প্রাথমিক সমাপ্ত করা  সুরঞ্জিত, পরবর্তীতে  রাজানগর উচ্চ বিদ্যালয়, দিরাই  উচ্চবিদ্যালয়,  ও সিলেটের এমসি কলেজ থেকে কৃতিত্বের সাথে পাশ করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনার জন্য নিজের স্থান পাকাপোক্ত করেন।
প্রাচ্যের অক্সফোর্ড থেকে ১৯৬৫ সালে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর শেষ করা সুরঞ্জিত পরে সেন্ট্রাল ল কলেজ থেকে এলএলবি ডিগ্রি সম্পন্ন করেন। এবং পরবর্তীতে আইন পেশায় নিযুক্ত হন।

সুরঞ্জিৎ সেনগুপ্ত একজন বাংলাদেশী রাজনীতিবিদ। তিনি দ্বিতীয়, তৃতীয়, পঞ্চম, সপ্তম, অষ্টম, নবম ও দশম জাতীয় সংসদসহ মোট সাতবার সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছিলেন। এর আগে সত্তরের নির্বাচনেও তিনি প্রদেশিক পরিষদের সদস্য নির্বাচিত হন।তিনি ২০১২ সালে দ্বিতীয় রেল মন্ত্রী হিসেবে পদত্যাগ করেন। মৃত্যুর সময় তিনি দপ্তরবিহীন মন্ত্রী হিসেবে দায়িত্বরত ছিলেন।
প্রবীণ এ পার্লামেন্টারিয়ান ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর করেন। পরে এলএলবি ডিগ্রি সম্পন্ন করে আইন পেশায় নিযুক্ত হন।
রাজনৈতিক জীবন
ছাত্র জীবনেই তিনি বামপন্থী রাজনীতির মাধ্যমে তাঁর রাজনৈতিক জীবন শুরু করেন। হাওরাঞ্চলের ‘জাল যার জলা তার’ আন্দোলনে দীর্ঘদিন তিনি নেতৃত্ব দিয়েছেন। ১৯৭০ সালের পাকিস্তান নির্বাচনে তিনি সিলেট জেলা থেকে ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টির পক্ষ থেকে নির্বাচনে জয়লাভ করেন। তিনি ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহন করেন। তিনি সুনামগঞ্জ-২ আসন থেকে স্বাধীনতা পরবর্তী সময়ে মোট সাতবার সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। এর আগে সত্তরের নির্বাচনেও তিনি প্রদেশিক পরিষদের সদস্য নির্বাচিত হন।

বাংলাদেশের প্রথম সাংবিধান পরিষদে তিনি বিরোধী বেঞ্চের একজন সক্রিয় সদস্য ছিলেন। এরপর তিনি নিজে একতা পার্টি নামক একটি দল গঠন করেন। ১৯৯০ এর দশকে তিনি আওয়ামী লীগ এ যোগদান করেন। এর আগে তিনি স্বপ্রতিষ্ঠিত একতা পার্টির সাথে জড়িত ছিলেন।
২৪ ফেব্রুয়ারী ১৯৯৬ সালে বিশেষ ক্ষমতার অধীনে পুলিশ তাঁর বাসায় তল্লাশী চালালে তাঁকে ধরতে অসমর্থ হয়।১৯৯৬ সালে তিনি প্রধানমন্ত্রীর সংসদবিষয়ক উপদেষ্টা হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। সংসদে সব সময় সরব এ সংসদ সদস্য একজন অভিজ্ঞ সংবিধান বিশেষজ্ঞ হিসেবে সুপরিচিত ছিলেন।
মৃত্যু
৩ ফেব্রুয়ারি ২০১৭, শুক্রবার ফুসফুসের সমস্যার জন্য রাজধানীর ল্যাবএইড হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল সুরঞ্জিত সেনগুপ্তকে।
৪ ফেব্রুয়ারি ২০১৭, শনিবার রাতে শারীরিক অবস্থার অবনতি ঘটায় তাঁকে প্রথমে করোনারি কেয়ার ইউনিটে (সিসিইউ) নেওয়া হয়। পরে রাতেই তাঁকে লাইফ সাপোর্টে রাখা হয়।
৫ ফেব্রুয়ারি ২০১৭, রবিবার ভোর রাত ৪টা ২৪ মিনিটে ৭৭ বছর বয়সে তিনি শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন৷

কোন মন্তব্য নেই

please do not enter any spam link in the comment box.

merrymoonmary থেকে নেওয়া থিমের ছবিগুলি. Blogger দ্বারা পরিচালিত.