Header Ads



ক্যারিবীয় বোলিং সাইক্লোনে লন্ডভন্ড বাংলাদেশ,২৯৬ রানে গুটিয়ে যায় মোমিনুল বাহিনী।

লিটন দাস ৭১ রানে এবং মেহেদী মিরাজ ৫৭ রান করে আউট হন। একাই পাঁচটি উইকেট শিকার করেছেন ক্যারিবীয় স্পিনার রাহকীম কর্নওয়াল।

ক্যারিবীয় বোলিং সাইক্লোনে লন্ডভন্ড বাংলাদেশ,২৯৬ রানে গুটিয়ে যায় মোমিনুল বাহিনী।

আজ শনিবার দিনের প্রথম সেশন শেষ হওয়ার কিছুক্ষণ আগেই মুশফিকের অপ্রত্যাশিত শটে বাংলাদেশ হারায় ৬ষ্ঠ উইকেট। তারপর লিটনের সাথে মাঠে যোগ দেন মিরাজ। প্রথম সেশনের বাকি সময়টা তারা ভালোই ভালোই শেষ করেছিলেন। দ্বিতীয় সেশনটিও তারা দুইজনে দখল করে নেন। বাংলাদেশ একসময়ে ফলোঅনের শঙ্কায় ছিল। তা থেকে দলকে বাঁচিয়ে দলকে এগিয়ে নেন এই দুই তরুণ।

লিটন দাস ও মেহেদী মিরাজের শতাধিক রানের জুটিতে তৃতীয় দিনের দ্বিতীয় সেশনে বাংলাদেশ যখন ঘুরে দাঁড়িয়েছে ঠিক তখনই মিরপুরে হঠাৎ ক্যারিবীয় সাইক্লোনে বিধ্বস্ত স্বাগতিক শিবির। যাতে ২৮১/৬ থেকে মুহূর্তেই ২৮৩/৯ হয়ে যায় বাংলাদেশের স্কোর। যাতে শেষ পর্যন্ত ১১৩ রানে পিছিয়ে থেকেই ২৯৬ রানে গুটিয়ে যায় মোমিনুল বাহিনী।

এর আগে দিনের সেরা ১২৬ রানে জুটি গড়ার পথে অর্ধশতক হাঁকিয়েছেন দুইজনেই। এর মধ্যে লিটন দাস ৭১ রানে এবং মেহেদী মিরাজ ৫৭ রান করে আউট হন। একাই পাঁচটি উইকেট শিকার করেছেন ক্যারিবীয় দৈত্যাকার স্পিনার রাহকীম কর্নওয়াল। যা পঞ্চম টেস্ট খেলতে নামা দানবীয় স্পিনার ক্যারিয়ারে প্রথম পাঁচ উইকেট।

এরই মাঝে টেস্ট ক্যারিয়ারের সপ্তম অর্ধশতক তুলে নেন লিটন। সাদা পোশাকে এখনও তিন অঙ্ক স্পর্শ করা হয়নি তার। দলকে বিপদের মুখ থেকে উদ্ধার করে শতক হাঁকানোর বড় সুযোগটাই ছিল তার সামনে। তবে কর্নওয়ালের চতুর্থ শিকার হওয়ার আগে লিটন খেলেন ১৩৩ বলে ৭১ রানের ইনিংস। তার এ ইনিংসে ছিল ৭টি চার। এর আগের ইনিংসেও (চট্টগ্রামে) অর্ধশতক হাঁকান লিটন।

অপরপ্রান্তে মিরাজও চা বিরতির ঠিক আগে পূর্ণ করেন টেস্ট ক্যারিয়ারের তৃতীয় অর্ধশতক। ইতোমধ্যে বাংলাদেশের ইনিংসের সর্বোচ্চ জুটিও গড়ে ফেলেন তারা। আগের ম্যাচে শতক হাঁকিয়ে আত্মবিশ্বাসের সাথে ব্যাটিং করে যাচ্ছিলেন মিরাজ। তবে লিটনের পর নাঈম হাসানও (০) কর্নওয়ালের শিকার হলে যেন খেই হারিয়ে ফেলেন মিরাজ। পরের ওভারেই শ্যানন গ্যাব্রিয়েলের তৃতীয় শিকার হন শর্ট মিডউইকেটে দাঁড়ানো প্রতিপক্ষ অধিনায়ক ক্রেইগ ব্রাথওয়েটের হাতে সহজ ক্যাচ দিয়ে। তার আগে ১৪০ বল মোকাবেলা করা মিরাজের ব্যাট থেকে আসে ৫৭টি রান। যাতে ছিল ৬টি চারের মার।

আর মিরাজের আউটের মধ্যদিয়েই শেষ হয় বাংলাদেশের সব আশা ভরসা। ২৮৩ রানেই নবম উইকেট হারায় স্বাগতিকরা। আর অলআউট হয়ে যায় ২৯৬ রানেই। যাতে ১১৩ রানের লিড পায় সফরকারীরা। ওয়েস্ট ইন্ডিজের পক্ষে রাহকীম কর্নওয়াল ৫টি, শ্যানন গ্যাব্রিয়েল ৩টি ও আলজারি জোসেফ ২টি উইকেট শিকার করেন।

এর আগে বাংলাদেশ দিন শুরু করেছিল ৪ উইকেটে ১০৫ রান নিয়ে। ব্যাটে নেমেছিলেন মোহাম্মদ মিঠুন ও মুশফিকুর রহিম। মিঠুন ধৈর্যশীল ব্যাটিং করলেও স্কোরবোর্ডে বেশি রান যোগ করতে পারেননি। ভালো খেলতে থাকা মুশফিক রিভার্স সুইপ করতে গিয়ে ব্যাটে-বলে রসায়ন জমাতে না পেরে আউট হয়ে ফেরেন ৫৪ রান করে। তাদের বিদায়ের পরেই হাল ধরেন লিটন ও মিরাজ। যোগ করেন ১২৬ রান।

কোন মন্তব্য নেই

please do not enter any spam link in the comment box.

merrymoonmary থেকে নেওয়া থিমের ছবিগুলি. Blogger দ্বারা পরিচালিত.