Header Ads



রাজনীতির অনেক উত্থানপতন দেখেছি,হয়তো কপাল গুনে বেঁচেও আছি,এটাই সফলতা -হাসান মনসুর

সারাদিন রাজনীতিতে সময় দেওয়া-নিজেকেই ঠকানো। দিন শেষে ভাই বা প্রিয় নেতা আকাশচুম্বী হেভিওয়েট নেতা হলেও-দেখা যাবে নিজের জীবন ১৬ আনা মিছা (মিথ্যা)। 

রাজনীতির অনেক উত্থানপতন দেখেছি,হয়তো কপাল গুনে বেঁচেও আছি,এটাই সফলতা

জননেত্রী শেখ হাসিনা-হাসান মনসুর

পরিবারকে বঞ্চিত করে ভাইয়ের পেছনে না ঘুরে নিজের পায়ের তলার মাটি টা আগে শক্ত করো। ভাই তোমার জন্মদিন ভুলে যাবে। কিন্তু সামান্য পরিচিত একটা সরকারী পিওনের জন্মদিনেও ছবিসহ নিজের ওয়ালে পোস্ট দেবে। মনে করে দেখো শেষ কখন তোমার ফেসবুক পোস্টে লাইক দিয়েছে তোমার নেতা। অথচ কারনে অকারনে সেই ভাই / নেতাদের সুনাম করতে করতে কিবোর্ডে আঙুল ব্যাথা করে ফেলছি আমরা বোকারা।  মাঠের রাজনীতির দিন শেষ। মন দিয়ে পড়ালেখা করো। নিজের ক্যারিয়ার গড়ো। দিনশেষে ভাই এবং পার্টি দুইটাই তোমাকে খুঁজে নেবে।" আজ মনের কথাগুলো বলেছিলেন সাবেক ছাত্রলীগ নেতা বানী ইয়াসমিন হাসি আপা। কথাগুলো চরম সত্য।  তাই এটা নিয়ে নিজের কিছু উপলব্ধি, অভিজ্ঞতা শেয়ার করছি। 

প্রিয় প্রজন্ম -  ভাই বা নেতার পিছনে  ".... ভাই এগিয়ে চলো আমরা আছি তোমার সাথে বলে মিছিল করে, কারনে অকারণে ফেসবুকে নেতাকে চামচ মেরে - একে ওকে গালি দিয়ে পোস্ট করে -  লেখাপড়া বাদ দিয়ে নেতা/ বড়ভাইয়ের  ফায়ফরমাস খেটে সাময়িক আনন্দ বা আত্মতৃপ্তি পেলেও এটা কিন্ত  ক্ষনিকের। নিজের যোগ্যতা, মেধা,  সততা, লেখাপড়া না থাকলে দিন শেষে তুমি "ঘোড়ার ডিম" এটাই  বাস্তবতা। ২০০৮ সালের ডিসেম্বর থেকেই - প্রিয় বাংলাদেশ পরিচালনা করছে,  প্রিয় নেত্রী বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন ''বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ" সরকার । দল সরকারে থাকলে,  দলের সুসময়ে - সারাদিন রাজনীতি নিয়ে মত্ত থাকার প্রয়োজন নাই ---নিজেকে বিপ্লবী সাজানোর সুযোগ নাই। আমি যখন ওয়ার্ড ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক হই ১৯৮৯ সালে - তখন অন্তরে রক্তক্ষরন হতো - "রাজাকার -যুদ্ধাপরাধী, বঙ্গবন্ধুর আত্মস্বীকৃত খুনীদের দল freedom party" এদের সদম্ভে রাজনীতি করতে দেখে।জিদ হতো স্বাধীনতা বিরোধী শক্তির  দুঃসাহস ও ক্ষমতা  দেখে। তাই সে সময়ে অনেকেই  রাজনীতিতে আসতেন বিবেকরে তাড়না,  দেশপ্রেম থেকে -  নিজেদের লাইফ সেক্রিফাইস করে।

আলহামদুলিল্লাহ এখন সে দুঃসময় নাই-  আজ রাজাকার,  যুদ্ধাপরাধী, বঙ্গবন্ধুর খুনী - এই শব্দ গুলো পরাজিত। দেশ আজ পরিচালনা হচ্ছে ১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনায়।এখন নিজের কাজকর্ম,  লেখাপড়া,  ক্যারিয়ার বাদ দিয়ে-  সারাদিন রাজনীতিতে সময় দেওয়া -- নিজেকেই ঠকানো। দিন শেষে ভাই বা প্রিয় নেতা আকাশচুম্বী হেভিওয়েট নেতা হলেও - দেখা যাবে নিজের জীবন ১৬ আনা মিছা ( মিথ্যা)।  বর্তমান সময়ে এই উপলব্ধি আমার সমসাময়িক অনেকেই করেন - যারা রাজনীতিকে নিজের ক্যারিয়ার ও লেখাপড়া থেকেও গুরুত্ব  দিয়েছিলেন।  শহরের নামকরা স্কুল থেকে স্টার মার্কস নিয়ে SSC, জামাত- শিবিরের সন্ত্রাসীবেষ্টিত চট্টগ্রাম কলেজের মতো খ্যাতিমান বিদ্যাপীঠে রাজনীতি করার কারনে পুলিশের নিরাপত্তায় HSC তে অংশ নেওয়া আমিও -- গত ৩০ বছর ধরে রাজনীতিতে মত্ত থাকার কারনে - সেভাবে ক্যারিয়ার গড়া সম্ভব হয়নি।

এটা তখনই বুঝি যখন দেখি - সমবয়সী সহপাঠীদের কেউ বা জেলা অধিকারী বা জেলা জজ বা উচ্চ সরকারি পদে। হয়তো কপালে থাকলে সরকারী অনেক বড় অফিসারও স্যালুট ঠুকবে -- কিন্তু এসব সম্পূর্ণ ভাগ্যের উপর। মোট কথা রাজনীতি কখনো পেশা হতে পারে না, ক্যারিয়ার গড়ে দেয় না - এটা মনের খোরাক, অন্তর থেকে ধারক করার বিষয়। রাজনীতি করলে সবাই পদ পদবি বা মূল্যায়ন হয় বা হতে হবে - এরকম নিশ্চয়তাও নেই। আমাদের সময়ে - আমাদের দুঃখবোধ ছিল - জাতির জনক বঙ্গবন্ধুকে অবমাননায়, মুক্তিযুদ্ধের অসম্মানে। আজ মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আমাদের সব আশা পূর্ণ হয়েছে। রাজনীতির অনেক উত্থানপতন দেখেছি -  হয়তো কপাল গুনে বেঁচেও আছি - এটাই সফলতা।

নেত্রী শেখ হাসিনা কোনোসময় খোঁজ নিয়ে - দয়া করলে নেতা ---- এছাড়া আমাদের মতো - রাজনৈতিককর্মী দের বর্তমান সময়ে পদপদবী পাওয়ার সুযোগ নাই। এখন রাজনীতিতে সফল হতে হলে --চাটুকারিতা, তোষামোদিতে  অনেক পটু হতে হবে,  বিত্তশালী হতে হবে ও ভাইলীগ থাকতে হবে। অথনস কঠিনভাবে যোগ্য, মেধাবী, লেখাপড়া জানা হতে হবে -- তখন হয়তো পদ পদবীতে আলোকিত হওয়ার সুযোগ হতে পারে। তা না হলে রাজনীতি করা মানে সময় নষ্ট। 

আমার একান্ত নিজস্ব উপলব্ধি,  অভিজ্ঞতা। 

হাসান মনসুর-সাঃ সম্পাদক (সাবেক) কোতোয়ালি থানা আওয়ামী লীগ-চট্টগ্রাম মহানগর

কোন মন্তব্য নেই

please do not enter any spam link in the comment box.

merrymoonmary থেকে নেওয়া থিমের ছবিগুলি. Blogger দ্বারা পরিচালিত.