রাজনীতির মাঠে হাইব্রিড,বসন্তের কোকিল ও কাউয়াদের দাপট।
হাইব্রিড নেতারা সদ্য আওয়ামী লীগে এলেও তাদের অস্থিমজ্জায় মিশে থাকে অতীতে করে আসা দলের আদর্শ ও চিন্তা-চেতনা।
আমাদের রাজনীতির আশেপাশে সব সময় সুযোগের সন্ধানে হাইব্রিড কাউয়ারা(কাক) ঘোরাফেরা করে। কখন কোথায় কি পাওয়া যাবে কিংবা কিভাবে অবৈধ ধন-সম্পদ অর্জন করে নিজের ঝুলি ভরা যাবে, এরকম চিন্তায় বিভোর হয়ে এদিক-ওদিক ঘুরে বেড়ায়।
এই হাইব্রিড কাউয়াড়ের রাজনৈতিক কোনো দর্শন কিংবা কোনো ধরনের নীতি-আদর্শ থাকে না। তারা রাজনৈতিক দর্শন ও নীতি আদর্শের ধার ধারে না। তারা যে সময় যে দল ক্ষমতায় থাকে, সেই দলের পতাকা নিয়ে রাজপথে-জনপথে সার্কাসের জোকারের মত ছোটাছুটি করে। নেতা-নেত্রীদের তোষামোদ করে নিজের স্বার্থ উদ্ধার করতে চায় আজকের দিনের হাইব্রীড নেতা-কর্মীরা। এই হাইব্রীড নেতা-কর্মীদের তাপে দলের মূল ত্যাগী নেতা-কর্মীরা অনেক সময় দলীয় অফিসে পর্যন্ত
প্রবেশ করতে পারে না।
হাইব্রিড
আজকাল দেশের রাজনৈতিক অঙ্গনে হাইব্রিড ও কাউয়া শব্দ দুটির বহুল ব্যবহার পরিলক্ষিত হচ্ছে। আওয়ামী লীগের প্রথম সারির অনেক নেতার মুখেই শোনা যাচ্ছে- বহিরাগত নব্য আওয়ামী লীগার বনে যাওয়া নেতাকর্মীদের দল থেকে বের করে দেওয়া উচিত।
কারণ এই অনুপ্রবেশকারীরাই দল ও সরকারের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করে,দলের দুঃসময়ে এর কেটে পরে।
দুঃসময়ে দলের পরীক্ষিত নেতাকর্মীরা কখনও দল এবং সরকারের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন হয় এমন কাজ করে না। সম্প্রতি দেখা গেছে, দলের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্নের জন্য অনুপ্রবেশকারী হাইব্রিডরাই দায়ী।
আওয়ামী লীগ নেতারা এসব সদ্য দলে আসা নেতাকে হাইব্রিড, কাউয়া এবং বসন্তের কোকিল আখ্যায়িত করেন। মূল দলের ত্যাগী নেতাদের ভাষ্যমতে, এসব হাইব্রিড নেতা দলের জন্য ক্ষতিকর। আধুনিক হাইব্রিড পদ্ধতিতে উৎপন্ন ফসল এবং ফল-ফলাদির গুণগত মান যেমন ঠিক থাকে না, তেমনি রাজনীতিতে হঠাৎ আগত হাউব্রিড নেতা/কর্মীরাও মূল দল আওয়ামী লীগের গুণগত মান বহন করে না।
হাইব্রিড নেতারা সদ্য আওয়ামী লীগে এলেও তাদের অস্থিমজ্জায় মিশে থাকে অতীতে করে আসা দলের আদর্শ ও চিন্তা-চেতনা। তাই এরা স্বল্পকালীন আওয়ামী লীগে থেকে বরং দলের ক্ষতি করছে।
কাউয়া
আর একশ্রেণির আগত নেতা/কর্মীকে বলা হয় কাউয়া। কাউয়া বা কাক যেমন কোনো খাদ্যের সন্ধান পেলে ঝাঁক বেঁধে ঝাঁপিয়ে পড়ে, আবার ক্ষেত্রবিশেষে কলহে লিপ্ত হয়, ঠিক তেমনি হালুয়া-রুটি খাওয়ার জন্য অন্য দল থেকে অনেক নেতাকর্মী ঝাঁকে ঝাঁকে ক্ষমতাসীন দলে এসে ভিড় করে।
অন্যদিকে কাউয়া হিসেবে আসা নেতা/কর্মীরা দলের সভা-সমিতিতে ঢুকে স্যাবোটাজও করে দলে ঢুকে দলের বিরূদ্ধে নানা রকম ষড়যন্ত্রে লিপ্ত থাকে। যেমন ইদানীং দেখা যাচ্ছে দলের স্থানীয় কাউন্সিল গুলোতে প্রায়ই চেয়ার ভাঙ্গাভাঙ্গি মারামারি হচ্ছে। বর্তমানে কাউয়া নেতা/কর্মীদের এই গ্যাঁরাকল থেকে বেরিয়ে আসার উপায় হিসেবেই দল থেকে বের করতে হবে।




কোন মন্তব্য নেই
please do not enter any spam link in the comment box.