চট্টগ্রাম সিটি নির্বাচনে নীলু নাগ এর সমর্থনে শ্রীমতি পম্পি দাশ’র প্রার্থীতা প্রত্যাহার।
চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে অন্যান্য ওয়ার্ড গুলোতেও এভাবে ঐক্য গড়ে তোলার জন্য হাসিনা মহিউদ্দিন এর আহবান ।
চট্টগ্রাম মহানগর মহিলা আওয়ামী লীগের সভাপতি,চট্টলবীর এবি এম মহিউদ্দিন চৌধুরী সুযোগ্য সহধর্মিনী হাসিনা মহিউদ্দিন'র আহ্বানে চট্টলবীর আলহাজ্ব এ বি এম মহিউদ্দিন চৌধুরী'র(প্রয়াত) বাসভবনে (২২ নং এনায়েত বাজার- ৩০ নং পূর্বমাদারবাড়ি-৩১ নং আলকরন ওয়ার্ড) সংরক্ষিত আসন ৮ এর মহিলা কাউন্সিলর পদপ্রার্থী শ্রীমতি পম্পি দাশ আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী নীলু নাগ এর সমর্থনে তাঁর প্রার্থীতা প্রত্যাহার করে নেন এবং মহানগর মহিলা আওয়ামী লীগের সভাপতি হাসিনা মহিউদ্দিনের হাতে ফুলের তোড়া তুলে দিয়ে সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে আওয়ামী লীগের নিরঙ্কুশ বিজয়ে নিলু নাগ এর সাথে ঐক্যবদ্ধ ভাবে কাজ করার অঙ্গীকার ব্যক্ত করেন।
এ সময় উপস্হিত ছিলেন চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের বন ও পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক মশিউর রহমান চৌধুরী,চট্টগ্রাম মহানগর যুবলীগের যুগ্ন আহবায়ক মাহবুবুল আলম সুমন, কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের সাবেক সহ -সম্পাদক শওকত হোসাইন,মহানগর ছাত্রলীগের সাবেক সহ- সভাপতি মাইনুল হক লিমন,মহানগর যুবলীগ,ছাত্রলীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতৃবৃন্দ সহ ৩১নং আলকরন ওয়ার্ডের আওয়ামী লীগ মনোনীত কাউন্সিলর প্রার্থী আব্দুস সালাম মাসুম,মোঃ নাছির ,শওকত ওসমান মুন্না ,রফিকুল মান্নান জুয়েল,সজীব তালুকদার উপস্হিত ছিলেন।
সারা চট্টগ্রামে সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে অন্যান্য ওয়ার্ড গুলোতেও এভাবে ঐক্য গড়ে তোলার জন্য চট্টগ্রাম মহানগর মহিলা আওয়ামী লীগের সভাপতি হাসিনা মহিউদ্দিন আহবান জানান।
উল্লেখ্য যে গত ১৫ অক্টোবর ২০১৫ ইং সোমবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে মন্ত্রিসভার নিয়মিত বৈঠকে স্থানীয় সরকারের পাঁচটি প্রতিষ্ঠানের সংশোধন আইন একযোগে অনুমোদন করা হয়।
স্থানীয় সরকারের পাঁচটি স্তরেই দলীয় পরিচয় ও প্রতীকে নির্বাচন করতে আইনের সংশোধন অনুমোদন করেছে মন্ত্রিসভা।
আইনগুলো হচ্ছে:স্থানীয় সরকার (সিটি করপোরেশন) সংশোধন আইন, ২০১৫,স্থানীয় সরকার (ইউনিয়ন পরিষদ) সংশোধন আইন, ২০১৫; উপজেলা পরিষদ (সংশোধন) আইন, ২০১৫; জেলা পরিষদ (সংশোধন) আইন এবং ২০১৫; স্থানীয় সরকার (পৌরসভা) সংশোধন আইন, ২০১৫।
যার পরিপেক্ষিতে এবার চট্টগ্রাম সিটি নির্বাচনে মেয়র প্রার্থীকে সরাসরি দল থেকে মনোনয়ন দেয়া হয় অন্যদিকে কাউন্সিলর প্রার্থীদের স্ব স্ব দলের সর্মথন দেয়া হয়ে।
এখানে উল্লেখ্য যে মেয়র পদপ্রার্থী একক হলেও ৪১ টি ওয়ার্ডের মধ্যে অন্তত ৩৫টি ওয়ার্ডে কাউন্সিলর পদে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী রয়েছেন এই কাউন্সিলর প্রার্থীরা দলের নির্দেশ অমান্য করে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্ধিতায় থেকে য়ান।
এব্যাপারে কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগ নেতৃবৃন্দ বার বার বিদ্রোহীদের নির্বাচন থেকে প্রার্থীতা প্রত্যাহারের নির্দেশ দিলেও বিদ্রোহী প্রার্থীরা নির্বাচন করার সিদ্ধিান্তে অনড় থাকেন। যার পরিপেক্ষিতে গতকাল ৫ জানুয়ারি/২০২১ চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে আওয়ামী লীগের নির্বাচন পরিচালনা কমিটির সমন্বয়ক দলের প্রেসিডিয়াম সদস্য ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন বিদ্রোহী প্রার্থীদের ব্যাপারে আওয়ামী লীগের চট্টগ্রাম বিভাগের দায়িত্বপ্রাপ্ত,কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাঃ সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফ এমপি, দপ্তর সম্পাদক ও প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ সহকারী ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়ার সাথে কথা বলে।
বিদ্রোহী প্রার্থীদের ব্যাপারে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগকে ৮ জানুয়ারি/২১ পর্যন্ত সময় দিয়ে ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন বলেন ৮ তারিখের মধ্যে বিদ্রোহী প্রার্থীরা নির্বাচন থেকে সরে না দাড়ালে ৯ তারিখ সংবাদ সম্মেলন করে দলীয় প্রার্থীদের নাম প্রকাশ করা হবে এবং বিদ্রোহীদের মধ্যে যাদের পদ-পদবি আছে তাদের বহিষ্কার করা হবে এবং মহানগর, থানা ও ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের কেউ যদি বিদ্রোহীদের কোনো ধরনের সহযোগিতা করে তাদেরকেও বহিষ্কারের সুপারিশ করা হবে।যাদের পদ-পদবি নেই তারা আওয়ামী লীগের কেউ নয়, তারা বহিরাগত।
আগামী ২৭ ডিসেম্বর চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।
কোন মন্তব্য নেই
please do not enter any spam link in the comment box.