এরা জানেনা দলের নীতি আদর্শ কি,মানেনা দলের কোন বিধি বিধান।

এদের দলে ঢুকতে আমরাই সুযোগ করে দিয়েছি

বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ এখন এক কঠিন সময় অতিক্রম করছে,ভেতরে ভেতরে সবার অলক্ষ্যে অশুভ শক্তি এক হয়ে আওয়ামী লীগকে ছোবল মারার জন্য প্রস্তুত হচ্ছে,একথা আমরা অনেকে জেনেও না জানার ভান করছি। এরা মুখোশ পরে আওয়ামী লীগে প্রবেশ করে এখন আওয়ামী লীগকে ছোবল মারছে,এদের দলে ঢুকার জন্য আমরাই দায়ী আমরাই বুঝে না বুঝে হয়তোবা লোভের টোপে পড়ে এ অশুভ শক্তিকে আওয়ামী লীগের সুরক্ষিত ঘরে প্রবেশ করার জন্য সুযোগ করে দিয়েছি - দিচ্ছি।

দল নয়  গ্রুপ বড় করতে হবে

আওয়ামী লীগের আরো ক্ষতি করছে কিছু নব্য আর লোভী মুখোশ পরা নেতা এরা শুধু নিজের আখের গোছানো জন্য দল করে,।কিছু নেতা আছে ওদের শুধু কর্মী চাই সে কর্মীর নীতি আদর্শ থাক বা নাথাক,নিজ দলের হোক বা অন্যদলের, স্বাধিনতার পক্ষের হোক বা বিপক্ষের, যেমনই হোক তাতে ঐ নেতাদের কিছুই যাই আসেনা কারণ তার মানুষের দরকার তাকে দল নয় গ্রুপ বড় করতে হবে।

শাসনের আসন  পোক্ত করতে হবে-ভোট আর ভোটার চাই

আর এক ধরণের নামধারী নেতা আছে তারা আরও একধাপ এগিয়ে এদের কাছে সন্ত্রাসী,জঙ্গি,স্বাধিনতা বিরোধি হোকনা সে নিজ দলের বা দল বিরোধি,তার এত কিছু পরখ করার সময় নাই ,তার কাছে সবাই সমান কারণ ক্ষমতার চেয়ারটি তার চাই চাই,এদের দিয়ে তার শাসনের আসন পাকাপোক্ত করতে হবে।

ক্ষমতাসীন দলের নাম ব্যবহার

কিছু বহুরূপী মানুষ আছে এরা সব সময় থাকে সরকারি দলে্,এরা দল ক্ষমতাসীন হওয়ার সাথে সাথে দলে অনুপ্রবেশ করে বা করাই। এরা জানেনা দলের নীতি আদর্শ কি,মানেনা দলের কোন বিধি বিধান। অবশ্য এদের নীতি আদর্শ বা বিধি বিধান জানার বা মানার প্রয়োজন নেই,কারণ দলের ক্ষতি হলে এদের কিছুই যায় আসেনা এরাতো দলের শুভাঙ্খাখি নয়। এরা দল করতে আসেনি এরা আসছে ক্ষমতাসীন দলের নাম ব্যবহার করে আখেরগোছাতে।

এরা আওয়ামী লীগ করে না করে ভাই লীগ

আর এক রকমের কর্মী আছে এরা আওয়ামী লীগ করে না করে ভাইলীগ,এদের কাছে দলের কোন খবর বা কর্মসূচি না থাকলেও থাকে ভাই লীগের কর্মসূচি ভাইয়ের কর্মসূচি পালন করতে প্রয়োজনে এরা দলীয় নেতা কর্মীদেরও প্রচণ্ড আঘাত করতে পিছপা হয়না।এর পিছনে একটি কারণ এরা আওয়ামী লীগের সাইনবোড ব্যবহার করে ভাইয়ের ভয় দেখিয়ে চালিয়ে যেতে পারে সন্ত্রাসী চাঁদাবাজির মত জগন্য অপরাধ মূলক কাজ এতে তারা আর্থিক লাভবান হলেও বদনাম হয় দলের।

জাতির জনকের রক্তে রঞ্জিত বাংলা,কারণ তিনি ঘুষখোর দুর্নীতিবাজদের বিরোদ্ধে রুখে দাড়িয়েছিলেন, অন্ন,বস্ত্র,বাস্হানহীনদের  মুখে হাসি ফটোনোর জন্য হাতে নিয়েছিলেন নতুন কর্মসূচী ।

জাতির জনকের কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনা মৃত্যুর দুয়ার থেকে বার বার ফিরে এসেছেন,কারণ তিনি সন্ত্রাস জঙ্গিবাদ,দুর্নীতি, চাদাঁবাজদের বিরোদ্ধে কঠিন এবং কঠোর পদক্ষেপ গ্রহন করেছেন।

আজ আমরা কি করছি জাতির জনকের সোনার বাংলায়,দেশরত্ন শেখ হাসিনার ডিজিটাল বাংলায়? এদের বিরুদ্ধে মুজিব আদর্শের সৈনিকদের রুখে দাড়াতে হবে,এদের রুখতে পারলেই দেশ বাচঁবে দল বাচঁবে।