চট্টলবীর ন্যায়ের প্রশ্নে,আদর্শের প্রশ্নে অটল হিমাদ্রির মতো দাঁড়িয়ে থাকতেন।
আলহাজ্ব এ বি এম মহিউদ্দিন চৌধুরীকে লোভ-লালসা,ভয়-ভীতি দেখিয়ে কখনো আন্দোলন থেকে বিরত রাখা যায়নি।
রাজনীতিতে সাফল্যের জন্য যা’ দরকার যেমন পড়ালেখা, দলের নেতা, কর্মী ও জনগণের আস্থা, সাংগঠনিক দক্ষতা, ত্যাগ, রাজনীতিতে সময় ও শ্রম দেয়া এসব গুণ আলহাজ্ব এ বি এম মহিউদ্দিন চৌধুরী‘র ছিল। একজন রাজনীতিবিদ হিসাবে তাঁর যেটা প্রয়োজন, সেটা হলো সংগ্রামী মনোভাব,অন্যায়, দুর্নীতি এবং জনগণের সমস্যা ও অভাব-অভিযোগ নিয়ে আন্দোলন করার মধ্য দিয়ে রাজনৈতিক জনপ্রিয়তা অর্জন করা,জনগণের আস্থা ও বিশ্বাস অর্জন করতে পারা সেটা তিনি অর্জন করতে সক্ষম হয়েছিলেন। আলহাজ্ব এ বি এম মহিউদ্দিন চৌধুরীর রাজনীতিকে যদি একটি শব্দ দিয়ে প্রকাশ করতে হয়,তাহলে সেটা হবে আন্দোলন বা সংগ্রাম করেছেন সারাজীবন লোভ-লালসা, ভয়-ভীতি দেখিয়ে তাঁকে কখনো আন্দোলন থেকে বিরত রাখা যায় নি। ন্যায়ের প্রশ্নে, আদর্শের প্রশ্নে তিনি অটল হিমাদ্রির মতো দাঁড়িয়ে থাকতেন। এক্ষেত্রে তিনি কখনো আপস করেননি। রিক্সাঅলা, ঠেলাগাড়িঅলা, মেথর, মুচি, দোকানদার, কুলি, শ্রমিক, বস্তিবাসী প্রত্যেকের জন্য তিনি আন্দোলন করেছেন।
০৯ মার্চ ২০০৬ সাল তখন বিএনপি ক্ষমতায়। নৌ পরিবহন মন্ত্রী ছিলেন কুমিল্লার শ্রমিক নেতা ও বিএনপির দাপুটে নেতা আকবর হোসেন। তিনি চট্টগ্রাম বন্দর নিয়ে কাস্টমস হাউজে জরুরি বৈঠক ডাকলেন। বৈঠকে তৎকালীন চট্টগ্রাম সিটি মেয়র আলহাজ্ব এ বি এম মহিউদ্দিন চৌধুরীকে আমন্ত্রণ জানানো হয়।
মন্ত্রী বৈঠক করে চট্টগ্রাম বন্দর নিয়ে তার সিদ্ধান্তের কথা সবাইকে বললেন। সবাই হাততালি দিলেন।কিন্তু বেঁকে বসলেন প্রিয় নেতা চট্টলবীর আলহাজ্ব এ বি এম মহিউদ্দিন চৌধুরী। তখন মঞ্চে মন্ত্রীর পাশের চেয়ারে বসে চট্টলবীর বলে উঠলেন সবাই আপনার ভয়ে হাততালি দিলেও আমি আপনার এই সিদ্ধান্ত মানি না। কারণ আপনার সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন হলে বছরে দেশের ক্ষতি হবে শত শত কোটি টাকা। আমি আপনার সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন করতে দেবো না বলেই রাগ করলেন এরপর মন্ত্রী কতো কি বুঝালেন। চট্টলবীর মহিউদ্দিন চৌধুরী অনড়।তিনি মন্ত্রীর সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন হতে দিবেন না এটাই শেষ কথা।মন্ত্রী চট্টলবীর রাগান্বিত চেহারা অনুমান করতে পেরে মুহুর্তেই মন্ত্রী দ্রুত না খেয়েই চট্টগ্রাম ছাড়লেন। মন্ত্রী সেই সময় যে চট্টগ্রাম ছাড়লেন জীবিত থাকা অবস্থায় আর চট্টগ্রামে আসেননি।প্রিয় নেতার হুংকার কাজে আসলো। তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী বেগম জিয়া আলহাজ্ব এ বি এম মহিউদ্দিন চৌধুরীর কথা শুনলেন এবং কথা রাখলেন। বেগম জিয়া মন্ত্রীর সিদ্ধান্ত বাতিল করলেন এবং কিংবদন্তি নেতা চট্টলবীর আলহাজ্ব এ বি এম মহিউদ্দিন মহিউদ্দিন চৌধুরীকে ধন্যবাদ দিলেন।
এখন চারদিকে চলছে চাটুকারিতা। দুর্নীতি আর স্বজনপ্রীতি-অধিকার আদায়ে চট্টলবীর মহিউদ্দিন চৌধুরীর মত নেতার এখন খুবই দরকার।বৃহত্তর জনস্বার্থে তিনি কাজ করেছেন,জননেতা চট্টলবীর আলহাজ্ব এবিএম মহিউদ্দিন চৌধুরী দলের বাইরেও অনেক মানুষের সমর্থন পেয়েছেন। তিনি যেহেতু রাজনীতিবিদ,তাই সব সময় জনস্বার্থকেই অগ্রাধিকার দিয়েছেন। তিনি সবসময় নিজেকে চট্টগ্রামের রাজনীতির সাথেই যুক্ত রাখতেই পছন্দ করতেন,চট্টলবাসীর অধিকার রক্ষায় ছিলেন আপোষহীন তাইতো তিনি চট্টলবাসীর কাছে চট্টলদরদী চট্টলবীর।
কোন মন্তব্য নেই
please do not enter any spam link in the comment box.