যোদ্ধারা কখনো খেতাবের আশায় যুদ্ধে যায় না-নুরুল আজিম রনি
করোনা যোদ্ধা’ খেতাব লাগানোর আগে ‘যুদ্ধ ও যোদ্ধা এবং সহযোগী যোদ্ধা’ এই তিনটি শব্দের ব্যবহার সম্পর্কে সচেতন হওয়া জরুরী।
সম্মুখ যুদ্ধে অংশগ্রহন কারীরা মুক্তিযোদ্ধা। এখানে তৎকালিন সামরিক বাহিনীর সদস্যরা যেমন ছিল ঠিক তেমনি বেসামরিক বাহিনী কিংবা জনসাধারনও শত্রুর সাথে মুখোমুখি যুদ্ধ করে বীর মুক্তিযোদ্ধার খেতাব পেয়েছেন।
এখানে গ্রাম বাংলার কৃষক, শ্রমিক, জনতা থেকে শুরু করে শহরের বরেন্য সাংবাদিক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-ছাত্র যারাই সম্মুখ যুদ্ধক্ষেত্রে গিয়ে শত্রুর মুখোমুখি যুদ্ধ করেছেন তারা সবাই বীর মুক্তিযোদ্ধা। পাশাপাশি মুক্তিযোদ্ধাদের যারা ভাত, পানি, তরকারি, কাপড়, লেপ, তোষক, বিছানা দিয়ে অথবা পথ দেখিয়ে সাহায্য করেছেন তাদের বলা হয় সহযোগি মুক্তিযোদ্ধা।
এদের কোন সম্মানি সনদ এতোদিন না থাকলেও সম্প্রতি মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক জানিয়েছেন, মুক্তিযোদ্ধার সহযোগীদের তালিকা করা যায় কিনা সেই বিষয়টি ভেবে দেখা হবে! বিষয়টি খুব পরিষ্কার।
এদিকে করোনা মহামারিতে করোনা রোগ মোকাবিলায় রোগীদের সরাসরি চিকিৎসা সেবা দিয়ে করোনা যোদ্ধা খেতাব পেয়েছেন দেশের লাখ লাখ চিকিৎসক, নার্স কিংবা স্বাস্থ্যকর্মী। এখানে সেচ্ছাসেবকের ভূমিকায় করোনা রোগীদের সরাসরি সংস্পর্শে এসে সেবাদান করেছেন আরো লাখো সেচ্ছাসেবী। পাশাপাশি সমাজের অর্থশালী লোকরা নিজেদের সামর্থ্য অনুযায়ী মানুষকে খাবার সহ বিভিন্ন নিত্তপ্রয়োজনীয় জিনিস বিলিয়ে নিজেদের মানবিকতার উজ্জল দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন। এখানে সবাই সম্মান পাওয়ার যোগ্য।
তবে ‘করোনা যোদ্ধা’ খেতাব লাগানোর আগে ‘যুদ্ধ ও যোদ্ধা এবং সহযোগী যোদ্ধা’ এই তিনটি শব্দের ব্যবহার সম্পর্কে সচেতন হওয়া জরুরী। অন্যতায় ‘ললনা যোদ্ধা’ গন ‘করোনা যোদ্ধা’ খেতাব লাগানোর যে অসুস্থ প্রতিযোগিতা শুরু হয়েছে তা অব্যাহত থাকবে। যদিও যোদ্ধারা কখনো খেতাবের আশায় যুদ্ধে যায় না।
নুরুল আজিম রনি-সাঃ সম্পাদক(সাবেক)চট্টগ্রাম মহানগর ছা্ত্রলীগ।
কোন মন্তব্য নেই
please do not enter any spam link in the comment box.